২০ মে ২০১৭, শনিবার, ৯:৫২

ঝিনাইদহে ১৫ দিনে ৯ যুবক নিখোঁজ

ঝিনাইদহ সদরের পোড়াহাটি ইউনিয়নের ৩ গ্রাম থেকে ৯ যুবক নিখোঁজ। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে এরা নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজ থাকাদের মধ্যে রয়েছে- মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় নিহত তুহিনের ভাই টিটো বিশ্বাস, আত্মঘাতী জঙ্গি পোড়াহাটি গ্রামের নওমুসলিম আব্দুল্লাহর শশুর ভ্যানচালক আব্দুল লতিফ, ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাহীন জামাল, একই কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্র রানা আহম্মেদ, সাইকেল মেকার মনোয়ার হোসেন, গ্রিল মিস্ত্রি লিমন বিশ্বাস, ইজিবাইক চালক আল আমিন, কাপড় ব্যবসায়ী সাহেব আলী ও ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমন হোসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু টিটোর পরিবার নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এদিকে জঙ্গি সন্দেহে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন পোড়াহাটি ইউনিয়নের ধানহাড়িয়া চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আত্তাপের ছেলে সেলিম বিশ্বাস ও মতিউর রহমানের ছেলে প্রান্ত। সেলিম ও প্রান্ত সম্পর্কে চাচাতো ভাই। এলাকাবাসী জানায়, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে আব্দুল লতিফ তার জামাই আব্দুল্লাহর বাড়িতে অভিযানের দিন থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৪ঠা মে রাত ৮টার পর থেকে টিটো নিখোঁজ। এছাড়া লিমন নামে এক যুবক শুক্রবার নামাজ পড়তে গিয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। এছাড়া বাকি ছয়জনকে বিভিন্ন সময় সাদা পোশাকধারী লোকেরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে মাইক্রোযোগে নিয়ে গেছেন বলে তাদের পরিবার অভিযোগ করেছে। আবার চুয়াডাঙ্গা গ্রামে জঙ্গি অভিযানের ব্যাপারে র্যাবের দায়েরকৃত মামলায় নিখোঁজদের কেউ কেউ আসামি হয়েছেন এমন কথা প্রচার হচ্ছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, এসব বাক্তি নিখোঁজ হলেও শুধু চুয়াডাঙ্গা গ্রামের টিটো ছাড়া কোনো মিসিং ডায়েরি করেনি কারো পরিবার। তবে পুলিশ সদস্যরা তাদের কাউকে আটক করেনি। তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখা রয়েছে। অন্য কোনো বাহিনীও তাদের আটক করতে পারে। এছাড়া জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলছে, সেই ভয়ে সংশ্লিষ্টরা হয়তো পালিয়েও থাকতে পারে। আর সেটাকে আড়াল করতে তাদের পরিবার এধরনের গল্প ছড়াতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

 

 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=66110&cat=3/-