১ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ১:১৮

ফুটপাতে টাকার খেলা দোকানের মেলা

রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের পাশের ফুটপাতে নিত্যদিন বাহারি পোশাকের পসরা সাজান হকার রইস উদ্দিন। এ জন্য প্রতিদিন গুনতে হয় ১৫০ টাকা। তবে রমজান আসতেই সেই চাঁদা লাফিয়ে ২৫০ টাকায় ঠেকেছে। চাঁদার লাইনম্যান চড়া গলায় বলে গেছেন, ‘ঈদ ঘিরে ব্যবসা হবে বাড়তি, তাই চাঁদাও দিতে হবে বেশি।’

আরেক দোকানি সামসুল হক। ফুটপাতে দোকান বসাতে তাঁকে এককালীন খরচা করতে হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। প্রতিদিন দিতে হয় ৩০০ টাকা। ঈদ, পূজা-পার্বণ এলে সেই চাঁদা হয়ে যায় দ্বিগুণ। টাকা না দিলে পুলিশ এসে দোকান গুঁড়িয়ে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়েই চলছে দোকান। তবে পুলিশ টাকা নিতে সর্বসমক্ষে আসে না, লাইনম্যানকে দিয়ে তোলে টাকা।

এমন চাঁদার খড়্গ শুধু রইস উদ্দিন বা সামসুল হকের বেলায় ঘটছে না; রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক-ফুটপাত দখল করে যারা দোকান পাতেন, তাদের সবার চাঁদা দিয়েই ব্যবসা সচল রাখতে হচ্ছে।

অভিযোগ আছে, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ ও বিভিন্ন হকার্স সংগঠনের নেতা নামধারীরা ফুটপাত ও রাস্তায় হকারদের বসার সুযোগ দিয়ে চাঁদার খেলায় মেতেছেন। এ টাকার বড় অংশ ক্ষমতাসীন দলের দু-চারজন নেতা-মন্ত্রীর পকেটেও ঢুকছে। এ কারণে রাজধানীকে হকারমুক্ত করা যাচ্ছে না। রাস্তা দখল করে দোকান বসতে দেওয়ায় অনেক এলাকায় বেড়েছে যানজট। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চাঁদাবাজির বিষয়টি বরাবরের মতো অস্বীকার করছেন।

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুই সিটি করপোরেশনের ৪৩০ কিলোমিটার রাস্তায় তিন লাখেরও বেশি হকার ব্যবসা করেন। বছরে প্রায় ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। এসব হকার প্রতিদিন ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেন। আট বছরের ফারাকে হকার ও চাঁদার টাকা দুটোই বেড়েছে। ঢাকায় এখন হকার প্রায় চার লাখ। প্রতিবছর চাঁদাবাজি হচ্ছে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকার।

জানা যায়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে গুলিস্তানকে হকারমুক্ত করার অভিযানে নামেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সে সময়ের মেয়র সাঈদ খোকন। গুলিস্তান, পল্টন, ফুলবাড়িয়া ও মতিঝিল এলাকায় একের পর এক অভিযান চালাতে থাকে ডিএসসিসি। অনেক জল ঘোলা করে ডিএসসিসি এক পর্যায়ে উচ্ছেদ অভিযান থেকে পিছু হটে। তখন হকারদের তালিকা করে পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়। তবে সেই কাজ আর এগোয়নি। এদিকে পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়। বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গুলিস্তান এলাকায় লাল, হলুদ ও সবুজ রং দিয়ে মার্কিং করে হকারদের বসার সময়সীমা ও স্থান নির্ধারণ করে দেন। সেটাও কাজে আসেনি। উল্টো ঈদ সামনে রেখে ফুটপাত ও রাস্তায় হকারদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়েছে।

মতিঝিলে অফিসের সঙ্গে খোলে ফুটপাতের দোকান
মতিঝিলের ব্যাংক আর অফিসের সঙ্গে খোলে ফুটপাতের দোকান। তবে এসব দোকান অফিস সময় শেষ হলেও বন্ধ হয় না। শুক্র, শনিসহ প্রতিদিন সকাল থেকে চলে রাত পর্যন্ত। দোকানভেদে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গভবনের উত্তর পাশের কোনা থেকে মতিঝিল রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত আর সড়ক বেদখল হয়ে আছে। সেখানে নিয়মিত মাছ, মাংস ও সবজির সহস্রাধিক দোকান বসে। অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন ধরে এখানে চাঁদাবাজি করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম তাজ ও তাঁর ছেলে বাবলু। ছিন্নমূল হকার সমিতি নামে অবৈধ সংগঠনের ব্যানারে চাঁদাবাজি করেন তারা। এ ছাড়া নেপথ্যে রয়েছেন কামাল সিদ্দিকী নামের এক হকার নেতা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের উত্তর পাশে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত চাঁদা তোলেন লাইনম্যান হারুন। তাঁর সহযোগী হিসেবে আছেন দেলোয়ার। হারুন সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক সাইদের লোক। এ অংশের দোকানের ভাড়া দৈনিক ৩০০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে ২০ রমজানের পর থেকে ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষিণ দিকে এবং জীবন বীমা করপোরেশনের মাঝের সড়কে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান আজাদ। পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী ফেন্সী নাসির তাঁর গডফাদার। এ ছাড়া আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ভবনের সামনের ফুটপাত আর সড়ক থেকে ৩০০ টাকা হারে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান ছাদেক। সোনালী ব্যাংকের সামনের সড়ক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জাতীয় শ্রমিক লীগের মতিঝিল থানা কমিটির এক নেতার হাতে। এখানে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান মকবুল। জনতা ব্যাংকের সামনের শতাধিক দোকান থেকে চাঁদা তোলেন ফারুক। অগ্রণী ব্যাংকের সামনে চাঁদা তোলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আবুল কালাম ওরফে জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মান্নান। তবে তাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে আবুল হোসেন নামের এক বামপন্থি নেতা রয়েছেন বলে অভিযোগ। আবুল হোসেন নিজেও হকার্স সংগ্রাম পরিষদ নামে সংগঠনের মালিক! ব্যাংকপাড়ার বকচত্বরের দোকান থেকে চাঁদা তোলেন শ্রমিক লীগের নুরুল ইসলাম। জীবন বীমার প্রধান কার্যালয় আর ডিআইটি মসজিদের সামনে থেকে চাঁদা তোলেন কালা কাশেম, মাদারীপুরের দুলাল আর রহমান। দুলাল পল্টন থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত।

এদিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব গেট থেকে ভিআইপি রোড পর্যন্ত বিশাল ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণ করেন মাদারীপুরের দুলাল, তাঁর ছেলে শুভ, ছোট ভাই শরীফ, যুবলীগের জসিম ও ইব্রাহিম। বায়তুল মোকাররমের উত্তর পাশের ফুটপাতের দোকানে চাঁদা তোলেন রহিম ওরফে দুম্বা রহিম, চাঁটগাইয়া হারুন। কালা নবী তাদের প্রধান সহযোগী। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন দুলালের সঙ্গে দুম্বা রহিমের ঘনিষ্ঠতার কথা সবার জানা। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সামনের অংশের দোকানগুলোতে চাঁদা তোলেন নিষিদ্ধ বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হাশেম কবির ও হযরত আলী। পুরানা পল্টন মোড় থেকে আজাদ প্রোডাক্টের সামনে হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত দোকানের চাঁদা তোলেন আবুল হোসেন। দৈনিক বাংলা থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত দোকানে চাঁদা তোলেন পুলিশের সোর্স সাকিব ও খোকন মজুমদার। মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে আরামবাগ হয়ে আইডিয়াল স্কুল পর্যন্ত অংশে চাঁদা তোলেন পুলিশের সোর্স সাইফুল মোল্লা, শিবলু, আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা সাগর, যুবলীগ নেতা সনি। আগে সাইফুল বাসসের সামনের সড়ক থেকে চাঁদা তুলতেন। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে পল্টন ছেড়ে তিনি মতিঝিল চলে যান। একসময় সাইফুল বিএনপি করলেও সরকার বদলের পর থেকে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দেন। ডিএসসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুরসহ স্থানীয় সরকারদলীয় নেতারা তাঁর আশীর্বাদপুষ্ট।

অবশ্য কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ বলেন, ‘আমি এলাকার ফুটপাত থেকে ছয়বার দোকান উচ্ছেদ করেছি। তবে জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণে এই এলাকার অপকর্মে আমার নাম জুড়ে দেওয়া হয়। লাইনম্যান সাইফুলের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের আমার অফিসে ঢুকতে মানা। মূলত সড়কের মধ্যে কার পাকিং ভাড়া দেওয়ার কারণে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে দোকান বসানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’

নিউমার্কেটের চাঁদার নিয়ন্ত্রক ক্ষমতাসীন দলের নেতা আর পুলিশ
কয়েক দিন নিউমার্কেট ও আশপাশের এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শুধু ফুটপাতই নয়; রাস্তারও প্রায় অর্ধেকজুড়ে জামাকাপড়, প্রসাধনসামগ্রী, তৈজসপত্র, সবজি, শরবতসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকান। ফুটপাত দখলের কারণে নিউমার্কেট থেকে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে যেতে নানা কসরত করতে হয়। হকাররা বলেন, প্রতিটি দোকানের জন্য প্রথমে জায়গা বরাদ্দ পেতে এককালীন ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। এর পর প্রতিদিন দোকানভেদে দিতে হয় ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এ টাকা সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতার পকেটে যায়। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ। চাঁদার টাকা তুলতে পেশাদার লাইনম্যানও নিয়োগ করা আছে। প্রতিটি দোকান থেকে ওঠানো টাকার মধ্যে পুলিশ পায় ৬০ থেকে ৮০ টাকা, লাইনম্যান পান ২০ থেকে ৪০ টাকা, স্থানীয় নেতারা পান ১০০ টাকা এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা পান ১০০ টাকা করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার ফুটপাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রক স্থানীয় ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ইব্রাহিম হোসেন ইবু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সমিরন রানা এবং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন। তাদের ইশারাতেই চলে ফুটপাতের সব কার্যক্রম। বিপ্লব নীলক্ষেত এলাকার ফুটপাতের বই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। অন্যদিকে লিটন নীলক্ষেত, ঢাকা কলেজ এবং নিউমার্কেট এলাকার ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে পরিচিত। একটি সংস্থার গোপন প্রতিবেদনেও তাদের নাম এসেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সমিরন রানা সমকালকে বলেন, ‘ফুটপাতে আমার দোকান নেই। চাঁদা নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আমি যে চাঁদা নিই, এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। আমি অ্যাডভোকেট মানুষ, এটা করেই খাই। আমার ফুটপাতের চাঁদার প্রয়োজন হয় না।’

এ ছাড়া ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সাত্তার মোল্লা, উজ্জ্বল, ছৈয়া, মামুন, বিল্লাল, বাচ্চু, রাহাত, ইসমাইল, আকবর, আমিনুল, সেলিম ও শাহিনের নামও উঠে আসে হকারদের মুখে। ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণে ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাও জড়িত। তারা হলেন– কলেজের নর্থ ব্লকের জসীম, এস এম শফিক, মাছুম, জনি, তামিম, সাউথ ব্লকের মৃদুল, রাশেদ, নিপু, ইমরান ও কাওসার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির তথ্য পেয়ে ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলা দেওয়া হয়েছে। এ এলাকায় আমাদের ৫০ সদস্য কাজ করছেন।

কারা কী বলছেন
বাংলাদেশ আওয়ামী হকার্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহ্বায়ক এস এম জাকারিয়া হানিফ বলেন, ‘হকার্স সমিতির নামে কিছু অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এ জন্য আদালত অর্ধডজন হকার সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছেন। পুলিশের ইন্ধনে সরকারি দলের কিছু নেতাকর্মী ফুটপাতের চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।’

বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি এম এ কাশেম বলেন, ‘ফুটপাত মানেই টাকার খেলা। যেখানেই হকার, সেখানেই আছে লাইনম্যান-চাঁদাবাজ। আর লাইনম্যানদের অধিকাংশই পুলিশের সোর্স। পুলিশ না চাইলে ফুটপাতে চাঁদাবাজি কখনোই বন্ধ হবে না। যারা কনস্টেবল, তারাও পয়সা পায়। এর ওপরে আছে বড় বড় পুলিশ কর্মকর্তা। এর সঙ্গে আছে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের কিছু নেতা।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, চাঁদাবাজি-নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িত থাকেন। রাস্তাকে রাস্তার মতো রাখতে হবে। এটাকে অকেজো করলে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য সরকারের ওপর মহলের সদিচ্ছা প্রয়োজন। সেটা হলেই চাঁদাবাজি ও রাস্তা দখল বন্ধ করা সম্ভব।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

https://samakal.com/capital/article/230575