২০ মার্চ ২০২৪, বুধবার, ১০:১৬

জলাবদ্ধতা ও যানজটে নাকাল

হঠাৎ বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

রাজধানীতে গতকাল বিকেলে হঠাৎ মুষলধারায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই ইফতারের আগ মুহূর্তে ঢাকায় যানজট থাকে। গতকাল বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে শেষ বিকেলে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হন বহু মানুষ।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এলাকাভেদে সন্ধ্যার পরও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এতে রাজধানীর অনেক সড়কে জলাবদ্ধতা সষ্টি হয়। নিউমার্কেট, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, শান্তিনগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিকেলের ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টির পর ওই এলাকার রাস্তায় রাস্তায় পানি জমে যায়। ফলে যানবাহনগুলো গতি কমিয়ে চলতে হয়। এতে যানজট সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।

হঠাৎ বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা তৈরি হয় পুরো নিউমার্কেট এলাকাজুড়ে। কিছু সড়কে গোড়ালি সমান পানি জমে যায়। আবার পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পানি ঢুকে পড়ে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটেও। এমনকি বৃষ্টি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পার হলেও সেখানে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকতে দেখা যায়। কেনাকাটা করতে আসা অনেককে বাধ্য হয়ে জুতা হাতে নিয়ে পানি মাড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। তবে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন ধানমন্ডি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিসংলগ্ন আবাসিক এলাকার অধিবাসীরা। ময়লা পানিতে পুরো সড়ক ডুবে থাকার কারণে হেঁটে নিজের বাসায় যেতেও বিপদে পড়েন। অল্প একটু দূরত্বের জন্যও রিকশা ভাড়া করে যেতে হয়। পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায়ও। ফলে ইফতার কিনতে ও বাজার করতে আসা লোকজনকেও পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।

ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আফসারুল ইসলাম বলেন, মৌসুমের প্রথম এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেন পরিষ্কার না করার কারণে ব্লক হয়ে আছে। সে জন্য পানি নিষ্কাশন হওয়ার জায়গা পায়নি। ফলে মার্কেটে পানি ঢুকেছে। আর ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট সড়ক থেকে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় হওয়ায় পানি দ্রুতই ভেতরের দিকে প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি থামার পর আমরা কর্মচারীদের দিয়ে পানি পরিষ্কার করিয়েছি। তবে দ্রুতই এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যেন পানি মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। কেনাকাটা করতে আসা আরিফ হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, এমন বৃষ্টি হবে ধারণা ছিল না। সে জন্য বাসা থেকে ছাতা নিয়ে আসিনি। এ জন্য বৃষ্টির সময় ভিজতে হয়েছে। আবার পানি জমেও সব রাস্তার অবস্থা খারাপ। কেনাকাটা করতে এসে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

রাজারবাগ এলাকায় যানজটে আটকে থাকা শরিফুল ইসলাম নামে এক বাস যাত্রী বলেন, বিকেলের বৃষ্টির পর থেকে রাজারবাগ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এক দিকে যানজট, আরেক দিকে জলাবদ্ধতার কারণে গাড়ি সামনের দিকে এগোচ্ছে না। প্রায় এক ঘণ্টা পার হয়ে গেল, অথচ বাস নড়ছে না।

শান্তিনগর এলাকায় যানজটে আটকা পড়া যাত্রী মাইনুল হোসেন বলেন, ৪টা থেকে গাড়িতে বসে আছি। এখন ৫টা বাজতে চলল। কিন্তু যানজট কমার কোনো নামই নেই। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে এমনিতেই বিকেলের দিকে যানজট হয়। কিন্তু আজ বৃষ্টির কারণে যানজটের পরিমাণ আরো বেশি। রাস্তায় পানি থাকার কারণে যানবাহন এগোতে পারছে না।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/822720