১১ জানুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৯

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, নিরপেক্ষ সরকারের  অধীনে নতুন নির্বাচনের আহ্বান

বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষায় অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যরা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে মূল্যায়ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুষ্ঠু হয়নি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি করেছে-বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বর্তমানে রাইট টু ফ্রিডমের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম বি মাইলাম। গণতান্ত্রিক মূলনীতি পূরণ হয়নি বাংলাদেশের নির্বাচনে, হতাশ কানাডা। গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য মানবাধিকার ও আইনি সুবিধা অত্যাবশ্যক বলেছে-জাতিসংঘ। ভোটে অনিয়মের সময়োচিত তদন্ত ও রাজনৈতিক সংলাপ চায় ইইউ। নির্বাচনে সকল অংশীজন অর্থপূর্ণ ও প্রকৃতভাবে অংশ নিতে পারেনি বলেছে-অস্ট্রেলিয়া। গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার পৃথক পৃথকভাবে বিবৃতিতে এই বক্তব্য দেয় তারা। 

এক্সে গ্রেগরি মিকস: বাংলাদেশের ভোটকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে সমর্থন দিয়েছেন ডেমোক্রেট দলের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য গ্রেগরি মিকস। তিনি এক্সে বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্রের প্রতি আকাক্সক্ষায় অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশীদার হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সহিংসতার রিপোর্ট তদন্তের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে আহ্বান জানিয়েছে তার প্রতি আমি সমর্থন জানাই। উল্লেখ্য, গ্রেগরি মিকস ১৯৯৮ সাল থেকে নিউ ইয়র্কে ডেমোক্রেট দল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য। তিনি ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি এখনও এই কমিটির একজন পদস্থ সদস্য।

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাইট টু ফ্রিডমের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম বি মাইলাম: বাংলাদেশে সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের নাগরিকদের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। তাদের বেশির ভাগই নির্বাচনের দিন ঘরে থাকার অপশন বেছে নিয়েছেন। তবে এর উল্টো দাবি করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বর্তমানে রাইট টু ফ্রিডমের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম বি মাইলাম। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে আমরা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম তাই সত্য হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যরা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নয় বলে মূল্যায়ন করেছে। উইলিয়াম বি মাইলাম এই বিবৃতি দিয়েছেন ৯ই জানুয়ারি। এতে তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় তা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান করতে পারবে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে নির্দলীয় একটি সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানাই আমরা। একই সঙ্গে যেসব দেশ এই নির্বাচনকে ‘অবাধ নয়’ হিসেবে দেখে তাদেরকেও একই আহ্বান জানানোর অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন, এমন নির্বাচনের অনুপস্থিতিতে আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই এই শাসকগোষ্ঠীর ওপর কূটনৈতিক ও বস্তুগত সমর্থন বন্ধ করতে। উইলিয়াম বি মাইলাম আরও বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার প্রতি অব্যাহত সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাইট টু ফ্রিডম। যারা এই অধিকারকে লঙ্ঘন করে তাদেরকে জবাবদিহিতায় আনতে নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বরকে একটি প্লাটফরম দিতে সমর্থন করবো।

গণতান্ত্রিক মূলনীতি পূরণ হয়নি বাংলাদেশের নির্বাচনে, হতাশ কানাডা: যে গণতান্ত্রিক মূলনীতি ও স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ তা পূরণ হয়নি সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এ জন্য হতাশা প্রকাশ করেছে কানাডা। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মৌলিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের পথে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সব দলের প্রতি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। গত ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দেয়া কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে। এতে তারা আরও বলেছে, বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে কানাডা। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং নির্বাচন চলাকালীন যে ভীতিপ্রদর্শন ও সহিংস ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা জানায় তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, এসব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি আমাদের সহানুভূতি। গণতন্ত্রের যে মূলনীতি ও স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা পূরণ করতে পারেনি এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া। এ জন্য হতাশা প্রকাশ করছে কানাডা। একই সঙ্গে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি শক্তিশালী ও সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি কার্যকর বিরোধী দল, নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা। এতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশকে প্রথমে যে কয়েকটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল কানাডা তার অন্যতম। এখনও একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের যে আকাক্সক্ষা বাংলাদেশী জনগণের মধ্যে তাতে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা। মনের মাধুরি মিশিয়ে হতাশ হতে পার। তাতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের কোন উপকার হবে না

বাংলাদেশে সহিংসতার রিপোর্টে উদ্বিগ্ন-জাতিসংঘ: বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার এবং প্রত্যেকের আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকারের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা দেখানো অত্যাবশ্যক। গত ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। তিনি আরও বলেছেন, অবশ্যই বাংলাদেশে সহিংসতার রিপোর্টে উদ্বিগ্ন মহাসচিব গুতেরাঁ। স্টিফেন ডুজাররিকের কাছে মুশফিক জানতে চান-কথিত নির্বাচনের নামে শাসকগোষ্ঠীর বেপরোয়া দমনপীড়নের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের জনগণ। এর শিকার, নিষ্পেষিত এবং ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, যেখানে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সপ্তাহান্তে বাংলাদেশে সব বড় রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জন, ভোট জালিয়াতি, ভীতিপ্রদর্শনের মাধ্যমে একপক্ষীয় ডামি নির্বাচন হয়েছে। তার এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আগেই আমি বলেছি মহাসচিব একেবারে প্রকাশ্যে সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সব রকম সহিংসতা বন্ধ করতে এবং প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে প্রতিটি মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা নিশ্চিত করতে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এটা অত্যাবশ্যক। আমরা যেসব সহিংসতা দেখেছি তাতে অবশ্যই উদ্বিগ্ন মহাসচিব।

ভোটে অনিয়মের সময়োচিত তদন্ত ও রাজনৈতিক সংলাপ চায় ইইউ: বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান সব ক’টি রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর পক্ষে ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোটের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) জোসেপ বোরেল গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানান। ভোটে অনিয়মের যেসব খবর বেরিয়েছে তার সময়োচিত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দপ্তর থেকে রাতে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত রোববার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফল নোটে নিয়েছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন-অভিন্ন ৩ মূল্যবোধের ওপর ইইউ-বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই নির্বাচনে প্রধান সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি বলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হতাশা ব্যক্ত করছে। জোসেপ বোরেল বিবৃতিতে বলেন, ইইউ নির্বাচনবিশেষজ্ঞ মিশনের আসন্ন প্রতিবেদন এবং সুপারিশগুলো প্রকাশ করার জন্য কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে হওয়া চুক্তিকে স্বাগত জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির চেতনায়, আমরা নির্বাচনে অনিয়মের যেসব খবর এসেছে, সেগুলোর সময়োচিত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনকালে সংঘটিত সমুদয় সহিংসতার নিন্দা জানায় ইইউ এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। এই সময়কাল এবং এর পরবর্তী সময়ে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে, বিরোধী নেতা-কর্মীদের আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইইউ প্রতিনিধির বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদ-ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে যুক্ত হওয়ার জন্য সব অংশীজনকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করছে ইইউ। গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ধরনের সেন্সরশিপ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে পারার পরিবেশ থাকাটাও জরুরি। রাজনীতি, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক যেসব অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে, সেগুলো নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ইইউ। এর মধ্যে আগামীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি প্লাসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও রয়েছে।

নির্বাচনে সকল অংশীজন অর্থপূর্ণ ও প্রকৃতভাবে অংশ নিতে পারেনি-অস্ট্রেলিয়া: বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গতকাল বুধবার অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, অস্ট্রেলিয়া ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নোট করেছে। যদিও লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী ভোটার নির্বাচনের দিন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই, কিন্তু এটি দুঃখজনক যে এই নির্বাচন এমন এক পরিবেশে হয়েছিল যেখানে সকল অংশীজন অর্থপূর্ণ এবং প্রকৃতভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে নির্বাচনের আগে ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং রাজনৈতিক বিরোধী (দলের) সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের কাছে ধারাবাহিকভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ান সরকার বাংলাদেশ সরকারকে তার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য অগ্রাধিকার দিতে জোর দিচ্ছে যেগুলো মানবাধিকারের সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের প্রচারের উপর ভিত্তি করে। ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

https://www.dailysangram.info/post/545710