৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৭:৪৪

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রীদের দুর্ভোগ

 

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে শুক্রবারও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় সোয়া ৬ ঘণ্টা। বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। মধ্যরাত পর্যন্ত শুধু কমলাপুর স্টেশনেই ৯টি ট্রেন আটকা পড়ে। কোনো কোনো ট্রেন ৫ থেকে ৯ ঘণ্টা বিলম্বে চলাচল করে। শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অধিকাংশ ট্রেন বিলম্বে চলাচল করে। ট্রেনের এই শিডিউল বিপর্যয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

অনেক যাত্রী ভোরে স্টেশনে এসে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। কেউ দুপুরে স্টেশনে এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রেনের অপেক্ষা করেন। রাত ১২টার দিকে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার যাত্রী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের মধ্যে অনেক বৃদ্ধ ও শিশুও রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত চিত্রা এক্সপ্রেস (ছাড়ার সময় রাত সাড়ে ৭টা), কক্সবাজার এক্সপ্রেস (ছাড়ার সময় রাত সাড়ে ১০টা), পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (ছাড়ার সময় রাত সাড়ে ১১টা)সহ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রীরা অপেক্ষায় ছিল। সূত্র জানায়, কক্সবাজার এক্সপ্রেস রাত দেড়টায় ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ভোর ৫টায় ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করা হয়। 

কমলাপুর স্টেশন থেকে সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৬), তারাকান্দিগামী যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫), চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস (৮০৫), জয়দেবপুরগামী তুরাগ কমিউটার (তুরাগ), আখাউড়াগামী তিতাস কমিউটার (৩৬) ও টাঙ্গাইলগামী টাঙ্গাইল কমিউটার (১০৮) ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট শিডিউল অনুযায়ী ছেড়ে যেতে পারেনি। দীর্ঘ সময় ট্রেনগুলোকে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. শাহ আলম কিরণ শিশির জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতের কারণে কিছু ট্রেন বিলম্বে চলাচল করছে। আশা করছি শনিবার (আজ) থেকে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করবে।
 
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতির কারণে শুক্রবার পর্র্যন্ত ট্রেন বিলম্বে চলাচল করে। এতে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/749168