৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৬:৩১

সবজির বাজারে আবারও অস্বস্তি

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা কমতে শুরু করেছিল সবজির দাম। কিন্তু আবার দাম বেড়ে সবজির বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন বৃষ্টিকে। হঠাৎ দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন সবজির দাম। আর কাঁচা মরিচের দাম ১২০ টাকা থেকে এক লাফে ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়েছে। 

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, সবজির পাশাপাশি বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের মতো পণ্যের দামও। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ জানেন না বিক্রেতারাও। তবে তারা বলছেন, দাম আরও বাড়তে পারে। গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো আলু ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা। কয়েকদিন আগেও যে লাউ বিক্রি হতো ৪০ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। ৩০ টাকা দামের ফুলকপি বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা।

কাঁচা বাজারে দেখা গেছে, বাজারে শিম জাত ভেদে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শালগম ৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০-১২০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৯০-১০০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৮০ টাকা,  মুলা ৪০ টাকা, লাল মুলা ৫০ টাকা, 

 দেশী গাজর ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, শসা ৬০- ৮০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। 

বাজারে দেশী পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আলু ৫০ ও সাদা আলু ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। দেশী রসুন ২৪০, চায়না রসুন ২০০, ভারতীয় আদা ২২০, ইন্দোনেশিয়ান আদা ২৪০, চায়না আদা ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ভারতীয় আদা ২০০ টাকা, দেশী রসুন ২২০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

আলু পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়েছে আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের দামও। মুদি দোকানের সব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। ছোট মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১৫ টাকা, মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯৫ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪২ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫৫ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সয়াবিন তেল ৪ টাকা, আটা ১০ টাকা এবং ময়দা ১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। 

মাছের বাজারে দেখা গেছে, ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৫০০- ২২০০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০-৫০০ টাকা,  কাতল মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, কালিবাউশ ৪৫০-৭০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০-১০০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, বেলে মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৭০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ১২০০-১৪০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮৫ টাকা, কক মুরগি ২৭৫-২৮৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫৫ টাকা, দেশী মুরগি ৫৫০ টাকা, ৬০০ টাকার গরুর গোশত ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailysangram.info/post/542793