৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:২২

ডেঙ্গুতে চলতি বছরে মৃত্যু, নারী ৯২৪ ও পুরুষ ৬৯১ জন

 

ডেঙ্গুতে নভেম্বর মাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। এই সময়ে মারা গেছেন ২৬৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এই নিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে এবছরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১৫ জনে। একদিনে আরও ৯৬৮ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১১ হাজার ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ১ লাখ ৭ হাজার ৬৯২ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৩ হাজার ৩২২ জন। মৃত ১ হাজার ৬১৫ জনের মধ্যে নারী ৯২৪ জন এবং পুরুষ ৬৯১ জন।

মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৬৮১ জন এবং রাজধানীতে ৯৩৪ জন। 

ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৬৮ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৯৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৭৫ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৮৭ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৬১৩ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১১ হাজার ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৪ জন এবং নারী ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৭০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৮১২ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরে শনাক্ত রোগী ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৬ জন। অক্টোবরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৩৫৯ জন। নভেম্বরের ২৯ দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৩৯ জন এবং মারা গেছেন ২৬৭ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। বর্তমান রোগীর চেয়ে আরও ১০ গুণ বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।

https://mzamin.com/news.php?news=85954