৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ২:১৭

বৈঠক শেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব

 

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় পুরো বিশ্ব বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। আর সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ থাকে, বিভেদ-বিভাজন থাকে সেখানে কোনোভাবেই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। তবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোটের সুযোগ নেই।

আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের (সিইসি) সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে ইইউ রাষ্ট্রদূত এবং সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল আলাদা আলাদাভাবে এমন মন্তব্য করেন। বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে হোয়াইটলি ছাড়াও ইইউর সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার টিম খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আশাকরি গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। পুরো বিশ্বও এটি দেখতে চায়।

এ সময় তিনি কোনো প্রশ্ন নিতে চান না বলে জানান। সাংবাদিকরা তারপরও ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চান। জবাবে হোয়াইটলি বলেন, ‘না, ধন্যবাদ।’

বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলিসহ সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। এটাকে আমরা বলি ইইউ ডেলিগেশন। তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন পর্যবেক্ষণ টিম আসবেন বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যেই চারজন এসেছেন। তারা দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের প্রস্তুতিটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তারা জানতেন না। তারা আজো এসেছেন, এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয়- সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সিইসি বলেন, আমরা তাদের জানিয়েছি, আমাদের মাননীয় কমিশনাররা বিগত দুই সপ্তাহ ধরে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন এবং তারা জনগণ ও প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবহিত করেছেন। যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে। যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয়। তারা আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এটা আমরা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এটা তারা বুঝতে পেরেছেন।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/795272