২৫ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৪:১৩

চাল ডাল চিনি ও আটা ময়দার দাম বাড়ছেই

নিত্যপণ্যের বাজারে দফায় দফায় অস্থিরতা চলছেই। নতুন করে অস্থিরতা শুরু হয়েছে চিনি, ডাল ও আটা ময়দার বাজারে। সেই সাথে পেঁয়াজের দাম এখনো সেঞ্চুরিতেই আছে। আলুর দামও ৫০ টাকার নিচে আসেনি। বৃদ্ধি পাওয়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম এখনো কমেনি। তবে কয়েকটি সবজির দাম কিছুটা কমেছে। নিম্নমুখী আছে মুরগি ও ডিমের দাম।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, খোলা বাজারে খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত সাদা চিনি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। এসব চিনির দাম কয়েক সপ্তাহ আগে ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল। এদিকে, মুদি দোকানে চলতি মাসের শুরুতে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছিল। মাঝে কয়েক দিন কমে আবার বেড়েছে এখন। বর্তমানে মোটা দানার ডালের কেজি ১১০ থেকে ১২০ এবং ছোট দানার ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা আটা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা আর খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বেশি। অন্যদিকে, খুচরা বাজারে আলু এখনও ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। পাশাপাশি মানভেদে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, আমদানি রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আমদানি করা আদা ২২০ বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারে মানভেদে বি আর আটাশের চাল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, মানভেদে মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

চালের দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে চাল ব্যবাসায়ীরা জানান, বি আর আটাশ চালের দাম কেজিতে চার টাকা বাড়ছে। নাজিরেও বাড়ছে চার টাকা আর মিনিকেটে বাড়ছে দুই টাকা। কয়েক বছর থেকে ধান কাটার মৌসুমে আর চালের দাম কমে না। এখন অব সিজনে দাম কমে। সিজন সময়ে আগে কমতো।

সবজি বাজারে দেখা গেছে, কয়েকটি সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আবার কয়েকটির দাম এখনো আকাশচুম্বী। টমেটোর কেজি এখনো ১৪০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি পুরান আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা আর নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি।

শিম ৬০ টাকা, মৌ শিম ৬০ টাকা, শালগম ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৮০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৯০-১২০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৫০-৮০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা,  মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা , ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ৬০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা ও চাল কুমড়া ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাছের বাজারে দেখা গেছে, ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৩০০-২২০০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০-৬৫০ টাকা,  কাতল মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০-৭০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০-১০০০ টাকা, কাচকি মাছ  ৫০০-৬০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৫০-৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, শিং মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, বেলে মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, টেংরা মাছ ৮০০ টাকা, কাজলি মাছ ১০০০ টাকা, বোয়াল মাছ ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৪৫-২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর গোশত ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailysangram.info/post/541548