৬ মে ২০১৭, শনিবার, ১০:১১

ফতুল্লায় কান ধরে ওঠবস করানোয় শিক্ষককে মারধর

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক মাদরাসাছাত্রকে কান ধরে ওঠবস করানোয় শিক্ষককে মারধর করেছেন এক অভিভাবক। মারধরে শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অন্যান্য শিক্ষক শহরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষকের নাম মাওলানা কামাল হোসাইন। তিনি ওই মাদরাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক। 

মাওলানা কামাল হোসাইন জানান, এলাকার ওসমান মাহমুদের ছেলে রিফাত মাহমুদ (১০) নূরানী বিভাগের ছাত্র। গত বুধবার সকালে মাদরাসায় চারজন ছাত্র দুষ্টুমি করছিল। এ সময় ধমক দেয়ার পরও তারা কেউ কথা শুনেনি। তাদের মধ্যে রিফাতও ছিল। এতে প্রত্যেককে ডেকে ১০০ বার কান ধরে ওঠবস করতে বলি। তারা ১০ বার কান ধরে ওঠবস করলে আমি তাদের বসতে বলি। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা ওসমান মাহমুদ এসে আমাকে মাদরাসা থেকে ডেকে সড়কে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
ওসমান মাহমুদ মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, ১০০ বার কান ধরে ওঠবস করানোয় তার ছেলে রিফাত মাহমুদ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাত-পা ফুলে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেছি।
মাদরাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) মাওলানা আলী হোসেন জানান, ওসমান মাহমুদ শিক্ষককে মারধর না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন। তিনি একজন শিক্ষককে মারধর করায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ডাক্তার কয়েকটি টেস্ট দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/217770