৭ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার, ১:০২

গ্রিড বিপর্যয় রাতে ঢাকায় লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি

দিনভর টানা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর মধ্যরাতে ভারী বর্ষণের মধ্যে টানা কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল ঢাকার একাংশ। আমিনবাজারে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎহীন ছিল গ্রাহকরা। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে এই গ্রিড বিপর্যয় ঘটে। ভোর ৫টা নাগাদ গ্রিড মেরামতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, আমিনবাজার ২৩০ কেভি সিটিতে সমস্যার কারণে ওইদিন রাত পৌনে ১টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল কল্যাণপুর, আগারগাঁও, মিরপুর, ধানমণ্ডি, সাভার, ক্যান্টনমেন্ট ও সাতমসজিদ এলাকা। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অন্যান্য গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। সঞ্চালন কোম্পানি পিজিসিবি’র মুখপাত্র এবিএম বদরুদ্দোজা খান বলেন, রাতে আমিনবাজার গ্রিডে একটা সমস্যা হয়েছিল, সেটা রাতেই ঠিক করে ফেলা হয়েছে। ১২টা ৪২ মিনেটের দিকে আমিনবাজার ২৩০ কেভি সিটিতে আগুন লাগে। ফলে কল্যাণপুর, আগারগাঁও, মিরপুর, সাভার, ক্যান্টনমেন্ট, সাতমসজিদ এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত ১টা ২৬ মিনিট থেকে মেরামত শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৪টার দিকে সবকিছু স্বাভাবিক হয়।

আমিনবাজার গ্রিডের সমস্যার কারণে মিরপুর, আগারগাঁও ও কল্যাণপুরে ১৩২ কেভি সাব- স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে জানান ঢাকার একাংশে বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী।

তিনি বলেন, পরে অন্যান্য গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে এসে এক ঘণ্টার মধ্যেই ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ চালু করা হয়। রাত সাড়ে ৪টার দিকে আমিনবাজার গ্রিড ঠিক হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। টঙ্গী, বসুন্ধরা ও অন্যান্য কিছু গ্রিড থেকে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ নিয়ে আসা হয়। ফলে রাতে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে সর্বোচ্চ ৪০ মেগাওয়াটের লোডশেডিং হয়েছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী আরেক প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, রাত ১২টা ৫০ মিনিটের সময় কয়েকটা এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। রাত আড়াইটার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। সব এলাকায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ দেয়া গেছে ভোর ৫টার সময়। এই সময়ের মধ্যে ২৫ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং হয়েছে। রাতের সময় হওয়ায় এবং বৃষ্টির মধ্যে গরম ততটা না থাকায় চাহিদা কম ছিল।

https://mzamin.com/news.php?news=77323