২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১০:৪২

স্যালাইনের তীব্র সঙ্কট

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার। রাজধানী ঢাকার পর সারাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চাপ ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। রোগীদের চিকিৎসায় সবার আগে প্রয়োজন স্যালাইনের। অথচ সেই স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে স্যালাইনের ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারিভাবে একমাত্র জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্ল্যান্টের স্যালাইন উৎপাদন তিন বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিচালকের একগুঁয়েমির কারণে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, ‘মানসম্মত উৎপাদন না হওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালে স্যালাইন ইউনিট বন্ধ করে দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এরপর এটি চালুর জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।’ তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েল স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সম্প্রতি স্যালাইন ইউনিট চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের স্যালাইন ইউনিট পরিদর্শনও করেছেন বলে জানা গেছে।

রাজধানী ঢাকায় এডিস মশাবাহিত এ রোগের বড় প্রাদুর্ভাব হয় ২০০০ সালে। সে বছর ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। দেশে ২০২২ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৫৩ জন। আর এ বছরের শুরু থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৮৭৫ জনের। রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের অভিযোগ আছে চিকিৎসাসেবা নিয়ে। এই সময়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার অন্যতম উপকরণ শিরায় দেয়া আইভি ফ্লুইড বা স্যালাইনের সঙ্কট। দেশের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্ল্যান্টে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ তিন বছর ধরে। এতে বেসরকারি কোম্পানি ও বিদেশ থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে বেশি টাকায়। ৮০ টাকার একটি আইভি ফ্লুইড কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। কোথাও ৪০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। অথচ দেশের প্রথম এবং একমাত্র সরকারি এই প্রতিষ্ঠানে তৈরি আইভি ফ্লুইডের দাম ছিল মাত্র ৪২ টাকা। একাধিক সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চাহিদামতো স্যালাইন দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি শুরু করেছে সরকার। গত বুধবার ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে ২৭ হাজার ৭৮০ ব্যাগ স্যালাইন দেশে এসেছে। বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় স্যালাইন বোঝাই ট্রাকটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর আগে সোমবার ভারত থেকে ২৫ হাজার ৪৭০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হয়। এ নিয়ে দুই চালানে ৫৩ হাজার ২৫০ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হলো।

বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্যালাইন আমদানির কথা বলেছিলেন। ওই দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেউ কেউ বলছেন, বাজারে স্যালাইনের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য ভারত থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শিগগিরই ৩ লাখ ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন দেশে আসবে। আর গত বুধবার সঙ্কট নিরসনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি ভারত থেকে ২০ লাখ ব্যাগ আইভি ফ্লুইড আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এদিকে উৎপাদন বন্ধ থাকায় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের স্যালাইন ইউনিটের অন্তত ছয়শ’ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। যদিও ২০২০ সালে প্ল্যান্টের জরাজীর্ণ পরিবেশ ও মানসম্মত উৎপাদন না হওয়ায় স্যালাইন ইউনিট বন্ধ করে দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। কয়েক মাস আগেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্যালাইন উৎপাদনে ল্যাবের পরিবেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী হলে এবং সংস্থাটি সুপারিশ করলেই অবার শুরু করা হবে স্যালাইন উৎপাদন। তিনি একাধিকবার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন কিন্তু জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের দায়িত্বশীলরা এটি চালুর জন্য নেয়নি কোনো উদ্যোগ। এমনকি স্বাস্থ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলার পরও বর্তমানে যিনি দায়িত্বে আছেন তারও কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। যদিও তিনি মনে করেন, এই পদটি তার জন্য যথোপযুক্ত নয়। এখানে তিনি আসলে থাকতেও চান না বলে বেড়ান কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যদের। এমনকি এখনকার পরিচালক দায়িত্ব নেয়ার পর ডেঙ্গু রোগীদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গরমে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব কমাতে অন্যতম নাম খাবার স্যালাইন উৎপাদনও বন্ধের পথে। খাবার স্যালাইন উৎপাদনস্থল ঢাকা, রংপুর, বরিশাল, যশোর এবং কুমিল্লা ইউনিটে দেখা দিয়েছে কাঁচামালের সঙ্কট। কাঁচামালের অভাবে এ মাসেই অধিকাংশ স্থানের খাবার স্যালাইনের মজুদ শেষ হয়ে যাবে। গত মাসের শেষের দিকে ৫টি ইউনিটে খাবার স্যালাইন মজুদ ছিল ১৭ লাখ, যা এ মাসের শেষে শূন্য হয়ে যেতে পারে। যদিও চাহিদার ২৫ শতাংশ সরবরাহ করে সমন্বয় করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে। আর শিগগিরই খাবার স্যালাইন তৈরি করা সম্ভব হবে না, কারণ গত অর্থবছরে খাবার স্যালাইন নিয়ে দরপত্র আহ্বান করেও শুধুমাত্র পরিচালক ও স্বার্থান্বেষী গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কাজ পাচ্ছে না দেখে একগুঁয়েমি করে দরপত্র বাতিল করে দেন। যদিও কয়েক দিন আগে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বর্তমান পরিচালক প্রফেসর ডা. নাসির উদ্দীন বলেছেন, ই-জিপির মাধ্যমে দ্রুতই খাবার স্যালাইনের কাঁচামাল ক্রয় করে স্যালাইন উৎপাদন করা হবে। অবশ্য এর অগ্রগতি নেই বললেই চলে। কারণ কাঁচামাল ক্রয় ও উৎপাদনের জন্য ইউনিটগুলোতে পৌঁছাতেই ৩ মাস সময় লাগে।

সূত্র মতে, বেশ কয়েকটি জেলায় বর্তমানে করোনা চিকিৎসার আইভি ফ্লুইড সঙ্কট চলছে। ১১টি জেলায় এই সঙ্কট বেশি। জেলাগুলো হলোÑ বাগেরহাট, পিরোজপুর, খাগড়াছড়ি, শেরপুর, যশোর, ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা। ১০ জেলায় মৃত্যুহার বেশি।

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগী আফসার মিয়া বলেন, খাওয়ার স্যালাইন, আইভি স্যালাইন এবং ওষুধ ঠিকমতো পাচ্ছেন না তারা। শুধু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের পরিবেশও অনেক খারাপ।

খাগড়াছড়ি জেলার সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্যালাইনের চরম সঙ্কট থাকায় জরুরি স্যালাইন সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে।

ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আছে সাত শ’র মতো। স্যালাইনেরও সঙ্কট আছে। স্যালাইন আছে মাত্র ১৩৯ ব্যাগ। তবে চাহিদা দেয়া হয়েছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রওশন আলী বলেন, গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। তবে চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট নই। হাসপাতাল থেকে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহ না বাড়লে কয়েক দিনের মধ্যে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আগে ১০ দিন পর পর স্যালাইন সরবরাহ দেয়া হতো। এখনো একইভাবে দেয়া হচ্ছে, কিন্তু রোগী বেড়ে যাওয়ায় সেগুলো দিয়ে ১০ দিন চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

অথচ মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের দূরদর্শিতার অভাবে এক সময়ের কর্মচঞ্চল স্যালাইন ইউনিটে এখন সুনশান নীরবতা। ভূগর্ভস্থ পানিকে স্যালাইন তৈরির উপযোগী করা হতো এখানে। প্রতি ঘণ্টায় তিন হাজার লিটার পানি বিশুদ্ধ করা গেলেও পুরো প্ল্যান্টই বন্ধ। কোথাও ধুলার স্তর, কোথাও মাকড়সার জালে বন্দি মূল্যবান যন্ত্রপাতি।

সরকারিভাবে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ থাকায় শিরায় দেয়া স্যালাইন উৎপাদনকারী ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পোয়াবারো। এদের মধ্যে অন্যতম ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল বাশার জানান, প্রতিষ্ঠানটি তাদের দৈনিক উৎপাদন বাড়িয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার ব্যাগ পর্যন্ত করেছে। কিন্তু চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে, আমরা চাহিদার মাত্র ৯০ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছি। সরকার স্যালাইন আমদানি করলে আমরা খুচরা দোকানে সরবরাহ বাড়াব। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলো আমাদের মোট উৎপাদনের ৬০ শতাংশ সংগ্রহ করে থাকে। অন্য পাঁচটি স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো বেক্সিমকো, লিব্রা, অপসো স্যালাইন, পপুলার ও একমি। সঙ্কট দেখিয়ে বাড়তি দামে ব্যবসা করছে তারা। অবশ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা স্যালাইনের দাম বাড়ায়নি। ফার্মেসিগুলো সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে রাজধানীর মগবাজারের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল হাসানের স্ত্রী ও ছেলে। আক্রান্ত দুই রোগীকেই দেয়া হচ্ছে স্যালাইন। চিকিৎসক ১০ বছর বয়সী ছেলের জন্য ডিএনএস ৫% স্যালাইন আনতে বললে বিপাকে পড়েন বলে জানান কামরুল। তিনি বলেন, অনেক ফার্মেসি ঘুরে স্যালাইন না পেয়ে শাহবাগে গিয়ে দেখলাম, একই স্যালাইনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক বাবা-মা। ১০০ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকা করে ৬০০ টাকা দিয়ে দু’টি স্যালাইন কিনতে হয়েছে।

রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এম এইচ চৌধুরী লেলিন বলেন, সরবরাহ সঙ্কটের কারণে হাসপাতালটি স্যালাইনের মারাত্মক ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে। আমরা যদি ১০০ ব্যাগের অর্ডার দেই, সরবরাহকারীরা মাত্র ২০-৩০ ব্যাগ দেয়। আমরা মিটফোর্ডের পাইকারি ওষুধের বাজারসহ অন্যান্য উৎস থেকে বেশি দামে স্যালাইন কিনছি। চাহিদা-সরবরাহের এই ব্যবধানের প্রভাব অন্য রোগীদের ওপরও পড়ছে।

সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে স্যালাইন কেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। ইডিসিএল সেসব স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ছয় কোম্পানি মাসে সাড়ে ৪৬ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করে। এর মধ্যে আছে সাধারণ স্যালাইন, গ্লুকোজ মিশ্রিত সাধারণ স্যালাইন ও কলেরার স্যালাইন।

ইডিসিএলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আগস্টে আমরা সাড়ে আট লাখ ব্যাগ স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করেছি। সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে সরবরাহ করেছি সাড়ে তিন লাখ ব্যাগ।

বাজারে কেন স্যালাইন সঙ্কট চলছেÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীর কারণে স্যালাইনের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো ২৪ ঘণ্টা উৎপাদনে আছে। তারপরও চাহিদার পুরোটা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আমদানি করা স্যালাইন দেশে পৌঁছলে সমস্যা আর থাকবে না।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক প্রফেসর বে-নজির আহমেদ জানিয়েছেন, প্রতিদিন ১২ হাজার ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদনে সক্ষম জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের আইপিএইচ। তৈরি হতো নয় ধরনের আইভি ফ্লুইড বা স্যালাইন। সরবরাহ হতো সরকারি সব হাসপাতালে। এতে বছরে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হতো সরকারের।

এ ছাড়া দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে চার ধরনের ব্লাড ব্যাগ, ব্লাড সেট ও ইনফিউশন সেটও বানাত আইপিএইচ। ২০১৮ সালে কেনা হয় আধুনিক অনেক যন্ত্রপাতি।

https://dailyinqilab.com/national/article/604358