১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১২:৫৬

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৮০০ প্রায়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৭৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২১২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪৩ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৮৬ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ১৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৮৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭১ হাজার ৫০৩ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯০ হাজার ৪৬১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮৩ জন। ঢাকায় ৬৬ হাজার ৯৪০ এবং ঢাকার বাইরে ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দক্ষিণ সিটির দুটি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ার্ড দুটিতে প্রতি সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী প্রাপ্তির মানদ-ে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো তালিকা, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে এসব ওয়ার্ডে চলতি মাসের ২ থেকে ৮ তারিখে ১১ জন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকা হলো- বীরবাস কাচড়া, গজমহল রোড, হাজারীবাগ, ট্যানারি এলাকা, জিকাতলা (তিন মাজার), দক্ষিণ সুলতানগঞ্জ, সোনাতনগড় (মেনেশ্বর), জিকাতলা স্টাফ কোয়ার্টার, মনেশ্বর (জিকাতলা), শিকারীটোলা, মনেশ্বর (১-৩৬), তলাবাগ এবং মিতালী রাস্তার অংশ, চরকঘাটা তল্লাবাগ, টালী অফিস রোড এবং দক্ষিণ মধুবাজার।

আর ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকা হলো, পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ রসুলপুর, বড়গ্রাম, বড়গ্রাম পশ্চিম, ইসলামনগর, আলীনগর, হুজুরপাড়া এবং পশ্চিম আশ্রাফাবাদ।

সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ঘোষিত রেড জোন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে দিনব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং সকাল ১১টায় ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অংশ নেবেন।

এ কার্যক্রমে ওয়ার্ড দুটিতে ৯৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে ১৩ জন ও বিকালে ১৩ জন করে মশককর্মী লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেবে। এর আগে গত ২৬ আগস্ট দক্ষিণ সিটির ৫, ২২, ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছিল।

https://www.dailysangram.info/post/535564