৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৩:১৫

১২০ টাকায় উঠেছে সবজি,সব ধরনের ডালের দাম বৃদ্ধি

নিত্যপণের বাজারে অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছেই। সবজির দাম বাড়তে বাড়তে এখন ক্রয় সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। অধিকাংশ সবজির দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। অপরদিকে নতুন করে সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে। আর বৃদ্ধি পাওয়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম এখনো কমেনি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-২০ টাকা। ৬০ টাকার মধ্যে এখন শুধু পেঁপে, পটল আর ঢেঁড়শ মিলছে। অন্যান্য সবজি কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০-১২০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে প্রায় সব রকম ডালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, ডালের দাম বাড়াতে সমস্যায় পড়বে স্বল্প আয়ের মানুষ। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেও কোনো সুখবর নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যে বলার মতো দাম কমেনি। চাল, চিনি, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আর কমেনি। বলা যায়, এসব পণ্য চড়া দামে আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সবজির। বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুম না হওয়ার কারণে সবজির সরবরাহ কমছে। এতে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে।
বাজারে দেখা যায়, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা আর গোল বেগুন ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুরমুখি ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ এর আগে ২৫-৩০ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারতো মানুষ। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে। যা প্রায় মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, কাঁচা মরিচ ১২০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেখা যায়, মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১০৫ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে মসুরের ডাল ১২৫ টাকা কেজি, মোটা মসুরের ডাল ৯০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৭০ টাকা, বুটের ডাল ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন এসব ডালের দাম বেড়েছে মুদি দোকানদার সেলিম জানান, প্রায় সব ধরনের ডালের দামই বেড়ে গেছে। মোটা মসুরের ডাল সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষই বেশি নিয়ে থাকে। কিন্তু এটারই দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এই ডালের দাম বাড়াতে তাদের সমস্যাই হবে।

মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্য মোটামুটি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, চিনি ১৩৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কমেনি আদা-রসুনের দামও। দেশি আদা ২২০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২২০, দেশি রসুন ২৫০ টাকা।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত ৭৫০-৮০০ টাকা, খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে ডিম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। এছাড়া হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে বাজারে মাছের দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশ চড়া। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৩০০ থেকে ১৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৫৬০-৬২০ টাকা, কাতল মাছ ৪৫০ টাকা, কালিবাউশ ৭৫০ টাকা, চিংড়ি ৯০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি ৫০০ টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, কৈ ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০- ৬০০ টাকা, শিং ৫০০-৬৫০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailysangram.info/post/534945