৩০ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার, ১২:২৩

ইবি শিক্ষক অপহরণ : এক ঘণ্টা পর উদ্ধার

অপহরণের এক ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দিন খান। গতকাল কুষ্টিয়া শহর থেকে অপহরণ করে কুমারখালী নিয়ে মারধরের একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা টের পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। উদ্ধার হওয়ার পর অপহৃত শিক্ষক কুষ্টিয়া সদর থানায় অপহরণ মামলা করেন।

নাসির উদ্দিন খান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার ভাষ্য মতে, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় কুষ্টিয়ার নিশান মোড় থেকে কটাইখানা যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় একটি মোটরসাইকেল তার গতিরোধ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে আরো তিনজন এসে তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। কোনো কথা বললে সমস্যা হবে বলে নাসির উদ্দিনকে শাসায় অপহরণকারীরা। এর কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে হেঁটে তারপর সিএনজিতে করে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ডাকবাংলা পুকুর পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
সুযোগ বুঝে নাসির উদ্দিন তার স্ত্রীকে ফোন করেন। ফোন রিসিভ হলে কিছু বলার আগেই অপহরণকারীরা গালাগাল করতে করতে ফোনটি কেড়ে নেয়। এর কিছুক্ষণ পর ফোন খুলে লাউডস্পিকার দিয়ে নাসির উদ্দিনের সামনে ধরে। নাসির উদ্দিন ‘আমার সাথে তিনজন আছে’ এ কথা বলতেই অপহরণকারীরা ফোন কেটে দেয়। সাথে সাথে বিষয়টি আশপাশের পরিচিত শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান নাসির উদ্দিনের স্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক অপহরণের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে তারা তাৎক্ষণিক তাদের তৎপরতা শুরু করে।

এ দিকে অপহরণকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বুঝতে পেরে নাসির উদ্দিনকে মারধর করে ‘তোর বিভিন্ন লিংক আছে’ বলে ছেড়ে দেয়। নাসির উদ্দিন কুমারখালীর ডাকবাংলার পুকুর পাড় থেকে দৌড় দিয়ে রাস্তায় এসে একটি সিএনজি রিজার্ভ করে দ্রুত কুষ্টিয়া চলে আসেন। পরে কুষ্টিয়া সদর থানায় গিয়ে অপহরণ মামলা করেন। ঘটনা জানার সাথে সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি এবং ট্রেজারার নাসির উদ্দিনের সাথে সাক্ষাতের জন্য তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়ায় যান।
নাসির উদ্দিন বলেন, আমি অপহরণকারীদের কাউকে চিনতে পারি নাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসার পর তারা আমাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। পরে আমি সিএনজি করে কুষ্টিয়া আসি। আমি নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছি।
কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, অহরণের পর উদ্ধার হওয়া শিক্ষক নাসির উদ্দিন নিজে বাদি হয়ে অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছেন (মামলা নম্বর ৪৬)। মামলার কার্যক্রম যথারীতি পরিচালিত হবে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/216332