৩১ আগস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার

জামায়াতের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও দুর্গম পথে তার অগ্রযাত্রা

ড. মো. নূরুল আমিন

॥ তিন ॥
১৯৬৯ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সাংঘাতিক মোড় নেয়; গণঅভ্যুত্থানে সারা দেশ অচল হয়ে পড়ে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে। ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খান বাধ্য হয়ে অবসরের ঘোষণা দেন এবং আট দফা দাবি মেনে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক আহবান করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কতিপয় প্রশ্নে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের এক গুয়েমীর কারণে গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ হয় এবং দেশের ভাগ্যাকাশে আরেকটি সামরিক শাসন নেমে আসে। গণতন্ত্র সদর দরজা থেকে ফিরে যায়।

১৯৭০ সালে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের শাসনামলে পাকিস্তানে একটি সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে ১৬০টি আসন লাভ করে। জামায়াত কোনো আসন পায়নি তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকৃত প্রত্যেকটি আসনে দলটি ভোটপ্রাপ্তির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। জামায়াত বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানায় এবং বিজয়ী শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সামরিক সরকারের নিকট দাবি জানায়। কিন্তু সরকার নানা অজুহাত তুলে ক্ষমতা হস্তান্তর থেকে বিরত থাকে। ফলে রাজনৈতিক আন্দোলন ভারতীয় সহযোগিতায় সশস্ত্র সংগ্রামের রূপান্তরিত হয়। এই সংগ্রাম স্বাধীনতা যুদ্ধে পরিণত হয়। নয় মাস সংঘর্ষ এবং ১১ দিন ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের পরিণতি হিসাবে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

বলাবাহুল্য গোলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ হবার পর সরকার ব্যাপক হারে নির্যাতনমূলক ব্যবস্থার আশ্রয় নেয় এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বর্তমানে বাংলাদেশ সর্বত্র সামরিক শাসন জারী করা হয়। সরকারি বাহিনীর নির্যাতনে প্রদেশের হাজার হাজার লোক প্রাণ হারায়। অনেকে বাড়ি-ঘর, সহায়সম্পত্তি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য হারান। বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যগণ প্রাণ ভয়ে ভারতে পালিয়ে যান। এতে নিরীহ, নিরপরাধ ও নিরস্ত্র জনগণ আরো বিপদে পড়েন। বিপদ মুহূর্তে তাদের সাহায্য করা এবং সাহস যোগানোর জন্য তাদের অগোচরে ভারতে চলে যাওয়ায় তারা হতোদ্যম হয়ে পড়ে। এ সময়ে বিপদে তাদের সাহস যোগানো এবং সাহায্য করার জন্য জামায়াত, নিজামে ইসলাম, মুসলিম লীগসহ ইসলামী ও ডানপন্থী দলগুলোই এগিয়ে এসেছিল।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই যে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর দেশ যখন স্বাধীন হলো তখন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ভারত থেকে ফিরে এসে জামায়াতের হাজার হাজার কর্মীকে স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে হত্যা করলো। অনুরূপভাবে মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামী, পিডিপিসহ দক্ষিণপন্থী দলগুলোর নেতাকর্মীরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। অবাঙ্গালী উর্দুভাষী মুসলমানরাও তাদের নির্মমতার শিকারে পরিণত হয়েছে। প্রতিবন্ধী বাঙ্গালী মুসলমান এবং অবাঙ্গালীদের বাড়ি-ঘর, কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তারা জবর দখল করে নেয় এবং তাদের জুলুমের শিকার লক্ষ লক্ষ পরিবার পথের ভিখারীতে পরিণত হয়, তাদের হাতে লক্ষ লক্ষ মা বোন, শিশু কিশোর নির্যাতিত ও নিহত হন।

এভাবে জামায়াত তৎপরতার চতুর্থ পর্যায় শুরু হয় বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয়ের মধ্য দিয়ে। এই অধ্যায় ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান গৃহিত হয়। এই সংবিধানে ইসলামী আদর্শভিত্তিক দল গঠনের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ফলে জামায়াতের পক্ষে বৈধভাবে উন্মুক্ত রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন সরকার রাজনৈতিকদল গঠন সংক্রান্ত সংবিধানিক বিধিনিষেধ শিথিল করে নেয় এবং ১৯৭৭ সালে ইসলামী আদর্শভিত্তিক দলগুলো। প্রকাশ্যে তৎপরতা চালানোর সুযোগ পায়।

১৯৭৭ সালের মে মাসে জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে জামায়াত প্রকাশ্যে তৎপরতা চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দিনটি ১৯৭৯ সালে ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ নামে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং ছয়টি আসনে জয় লাভ করে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৬ সালে জামায়াত সর্ব প্রথম নিজ নামে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। এবং ১০টি আসন লাভ করে।
ফলে দলটি পার্লামেন্টারি দল হিসাবে স্বীকৃত লাভ করে। এটা ছিল তার আইনগত স্বীকৃতি।

১৯৮০ সালে জামায়াত নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার ফর্মুলা পেশ করে। এই ফর্মুলাটি ছিল অবাধ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি নির্ভুল পরিকল্পনা। জামায়াতের এই পরিকল্পনাটি সকল মহলে আলোচিত একটি বিষয়ে পরিণত হয়। এবং ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে জামায়াত ১৮টি আসন লাভ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠনের উপযোগী (সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করায় জামায়াত নিঃস্বার্থভাবে তাদের সরকার গঠনে সহায়তা করে। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জামায়াত মাত্র তিনটি আসন লাভ করে। ১৯৯৯ সালে দলটি বিএনপি ও অন্যান্য দু’টি ইসলামী দলের সাথে চারদলীয় জোট গঠন করে। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলটি ৩১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৭টি আসনে জয়লাভ করে এবং জোটের নির্বাচন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জামায়াত জোট সরকারের দুটি মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করে। জামায়াত তার আমলে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এই দু’জন নেতাকে মন্ত্রীত্ব পদে মনোনীত করে। মন্ত্রী হিসাবে তার সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও সংহতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন দলপ্রীতি, স্বজনপ্রীতি ও দক্ষতার অপব্যবহারের ঊর্ধ্বে উঠে তারা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

পাকিস্তান আমলে জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি ছিল অত্যন্ত সীমিত। সারা প্রদেশ ব্যাপী এর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার এবং মুত্তাফিক বা সমর্থক সংখ্যা ছিল কয়েক লক্ষ্য। পক্ষান্তরে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে জামায়াতের রোকন বা সদস্য সংখ্যা ৮৯ হাজারে উন্নীত হয়। এ ছাড়াও সারা বাংলাদেশে দলটির কর্মী অগ্রসর কর্মী সহযোগী সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি লোক দলটির সাথে জড়িত রয়েছে।

জামায়াতের দু’জন মন্ত্রীর যোগ্য ও সততা পূর্ণ কর্মকাণ্ড এবং পরিচ্ছন্ন তৎপরতা এবং সাংগঠনিক দিক থেকে জামায়াতের অব্যাহত অগ্রগতি দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও বাম দলগুলোকে শংকিত করে তোলে। এই অবস্থায় তারা সংগঠনটিকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ইসলাম বিরোধী ও ইহুদীবাদী কিছু বিদেশী শক্তি তাদের এই অশুভ চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ এবং বিদেশী পরামর্শ ও ষড়যন্ত্রে ২০০৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠান সাময়িকাভাবে তাদের অবস্থানকে সুদৃড় করে। সরকার কর্তৃক জামায়াতের উপর অত্যাচার নির্যাতন পরিচালনা তাদের সীমাহীন ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ মাত্র।

জামায়াতের সহযোগী সংগঠন/পার্শ্ব সংস্থা : ইসলামী আন্দোলনের জন্য নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে জামায়াত শুরু থেকেই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সক্রিয় আন্দোলন ও কর্মতৎপরতা পরিচালনা করে আসছে। জামায়াতের সূচনা লগ্ন থেকেই ছাত্র ইসলামী আন্দোলন জামায়াতের সাথে কাজ করে আসছে। বর্তমানে দেশের ছাত্র এবং ছাত্রী উভয় সমাজই ইসলামী ছাত্র শিবির ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ব্যানারে এই কাজে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের প্রায় সকল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, মাদরাসা ও শিক্ষায়তনে তারা কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াতের লক্ষ্য বাস্তবানের জন্য প্রায় ১৫টি পাশর্^ সংগঠন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রত্যেকটিরই নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে এবং যে কোনা মুহূর্তে সেগুলো ভিজিট করা যায়।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে জামায়াতের দাওয়াতী কাজ ধর্মভিত্তিক শিক্ষায়তন বিশেষ করে মাদরাসা মক্তব ছাড়াও পাশ্চাত্য ধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যেও বাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

স্বাধীনতার আগেও পরে জামায়াত জনগণের সমস্যাবলী সমাধানের লক্ষ্যে যৌথ প্রচেষ্ঠা এবং আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করে এসেছে। এর ফলে জামায়াত তৃনমূল পর্যায়ের মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয় এবং দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিচালিত হয়। জামায়াত নেতাদের সততা নিষ্ঠা ও চারিত্রিক সংহতি, কর্মীদের শৃঙ্খলানুবর্তিতা এবং জনগণের উপর তার অনুকুল প্রভাব বর্তমান সরকার এবং রাম ও বামপন্থী দলগুলোকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তোলে। প্রতিবেশী ভারতে তাদের সহযোগী দল ও গোষ্ঠীগুলোও এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে এবং তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জামায়াতের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার জন্য সরকারকে উৎসাহিত করতে থাকে। ভারতের নেতৃস্থানীয় সংবাদপত্রগুলো এবং তাদের সামরিক বেসামরিক মিংট্যান্ডারসমূহ জামায়াত বিরোধী তৎপরতায় যোগ দেয় এবং এই দলটিকে মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে থাকে। বাস্তবতা হচ্ছে এই যে জামায়াত বরাবরই ধর্মীয় গোড়ামী এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরোধী, কেননা কুরআন সুন্নাহে সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও ধর্মীয় গোড়ামীকে কখনো সমর্থন করে না। কিন্তু জামায়াত নিজে তাতে সম্পৃক্ত হোক বা না হোক, ইসলামের শত্রুরা কারণে অকারণে তার সাথে জামায়াতের সম্পৃক্ততা খুঁজে বের করবেই। কেননা তারা মনে করে যে জামায়াতের সাথে কোনো অনৈতিক বা অন্যায় কাজের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারলেই তাদের পক্ষে ইসলামের গায়ে কালিমা লিপ্ত করা সহজ হবে। জামায়াতের সাফল্যও তাদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (Research and Analysis Wing RAW) এর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ঐ দেশের শীর্ষ স্থানীয় থিংট্যাংকের অন্যতম সদস্য শ্রী হিরনায় কর্ণেকার ২০০৮ সালে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন কেয়ারটেকার সরকারের দুর্নীতি ও সন্ত্রাস বিরোধী তৎপরতায় এতই হতাশ ও ভীত হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি ভারতের অন্যতম দৈনিক ‘হিন্দু’ পত্রিকার লিখেছিলেন, “(The fact that while the drive has devastated the Bangladesh Nationalist Party - (BNP) and the Awami League (Present Ruling Party) Jamaat-e-Islami and its offshoots remained intact which will give them a huge advantage in next Parliamentary election. Can India remain a spectator, given the Jamaat’s Pathological hatred for this country ?)” অর্থাৎ কেয়ারটেকার সরকারের সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের প্রকৃত ফলাফল যেখানে এ রকম যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং আওয়ামী লীগ বিধ্বস্ত হয়ে যাচ্ছে সেখানে। জামায়াতও তার অংগ সংগঠনগুলো পরিচ্ছন্ন ইমেজ নিয়ে অক্ষত থাকছে। বিষয়টি আগামী সংসদীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাহলে তাদের নতুন সুযোগ গৃষ্টি করে দিতে পারে। দেশটির প্রতি জামায়াতের জন্মগত বিদ্বেষের আলোকে ভারত কি এ ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে?

https://www.dailysangram.info/post/534139