২৭ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:১৬

রাস্তা নেই, সাঁকো পেরিয়ে উঠতে হয় সেতুতে

তিন মাস আগে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুতে উঠতে হচ্ছে। ১৫০ ফুট দীর্ঘ সেই সাঁকোও তৈরি করেছে এলাকাবাসী, নিজেদের চাঁদার টাকায়। সেতুটি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচরের তিস্তা খালের ওপর।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ১৫ মিটার দীর্ঘ এই আরসিসি গার্ডার সেতুটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা।

সেতুটি নির্মাণের সময় স্থানীয় লোকজন অনেক আনন্দিত হয়েছিল। কিন্তু তাদের সে আনন্দ চুপসে গেছে অ্যাপ্রোচ সড়কের অভাবে। সেতুটির নির্মাণ শেষ হলেও এর দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক আর হয়নি, যার দরুন টেঙ্গারচর, খারাকান্দি-পয়েস্ত ও হোসন্দি গ্রামের হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। গ্রামগুলোর স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

সেতু পাকা হলেও এর সুফল পাচ্ছে না এলাকার সাধারণ মানুষ।
খারাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস মোল্লা বলেন, ‘এই পথ দিয়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে যেতে হয়। সাঁকো দিয়ে সেতুতে ওঠার সময় বাঁশের খোঁচায় পা জখম হয়, ঠিকমতো পা ফেলতে না পারলে সাঁকো থেকে নিচে পড়ে যেতে হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থী এই সাঁকো ব্যবহার করতে গিয়ে এ রকম সমস্যায় পড়েছে।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসী মুসা সরকার বলেন, ‘সেতুতে ওঠার ব্যবস্থা না করেই সেতু নির্মাণ করে বসে আছে কর্তৃপক্ষ। সেতুটি নির্মাণের সময় এখানে বিকল্প সড়কে চলাচল করা যেত। কিন্তু বর্ষার পানিতে বিকল্প সড়কটিও তলিয়ে গেছে। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী চাঁদা তুলে সেতুর দুই পাশে প্রায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটি বানিয়েছে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি গত অর্থবছরের বাজেটে নির্মিত হয়েছে।
তবে শুকনা মৌসুমে খালে পানি না থাকায় ড্রেজারে মাটি এনে ব্রিজের অ্যাপ্রোচে ভরাট করা সম্ভব হয়নি। এখন বর্ষা মৌসুমে খালে পানি হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব অ্যাপ্রোচে মাটি ফেলে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।’



https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2023/07/27/1302705