২২ জুলাই ২০২৩, শনিবার, ১২:১৭

মাছের দামে আগুন, এখনো আকাশচুম্বী কাঁচামরিচ টমেটো

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা লেগেই আছে। একেক সময় একেক পণ্যের বাজার নিয়ে অস্থিরতা শুরু হয়। তা আর সহজে কমে না। কখনো পেঁয়াজ, কখনো মরিচ, কখনো ব্রয়লার মুরগী আবার কখনো সবজির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। সম্প্রতি বৃদ্ধি পাওয়া কাঁচা মরিচের দাম এখনো আকাশচুম্বী। এদিকে মাছের বাজারে আগুন। সকাল প্রকার মাছের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বর্ষার ভরা মৌসুমেও কমেনি মাছের দাম। বরং তা আরও বেড়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে বাড়তি দামের তালিকায় যুক্ত হয়েছে কয়েক পদের সবজি ও রসুন। এখনো রাড়তি আদা, আলু ও চিনির দাম।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মাছ বাজারে দেখা গেছে, আকারভেদে তেলাপিয়ার কেজি ২২০ থেকে ২৬০ টাকা, পাঙ্গাশের কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, সিলভার কাপ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অথচ কিছুদিন আগেও এই তিন পদের মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকার কম ছিল। শুধু পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া বা সিলভারই নয়, সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি চাষের নলা মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আর আকারভেদে রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া চিংড়ি মাছের মধ্যে ছোট আকারের প্রতি কেজির দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি ৯০০ থেকে হাজার টাকার বেশি। আর আকারে বড় হলে ক্রেতাকে কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ১২০০ টাকারও বেশি।

বাজারে দেখা গেছে, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, আলু ও শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সেই অর্থে দাম কমেনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এসব নিত্যপণ্যের দাম চড়া। টমেটো ও কাঁচা মরিচের দাম থেমে থেমে বেড়েই চলেছে। এ দুই পদের সবজি কিনতে ক্রেতাকে বাজারভেদে কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকার কিছু কমবেশি। বাজারে আলুর কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭৫ টাকায়। আদার দাম প্রায় দুই মাস ধরে ৩০০ টাকার উপরে। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। স্বস্তি ফেরেনি চিনির দামে। প্রতি কেজি চিনি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং কচুমুখি ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিকে দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। গত সপ্তাহ লেয়ার মুরগির কেজি ছিল ৩৮০ টাকা। মুরগি বিক্রেতারা জানান, এ সপ্তাহে বাজারে মুরগির দাম কম। উৎপাদন ভালো থাকায় ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম কমেছে। গরুর গোশতের দাম আগের মতোই ৮০০ টাকা কেজি খাসির গোশত ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

https://dailysangram.info/post/530578