১৭ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ৯:০১

ছয় দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সাব্বির হাসান

চট্টগ্রাম মেডিকেলের দুটি শিশুস্বাস্থ্য ও তিনটি মেডিসিন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, দিন দিন হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। ডেঙ্গুর জন্য আলাদা কর্নার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আলাদা ওয়ার্ড করার চিন্তা চলছে।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন অনেকের পরিবারের একাধিক সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কাট্টলী থেকে আসা আনাছের বাবা আলাউদ্দিন জানান, তাঁর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সানজিদা ও চার মাসের মেয়ে মিফতি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঘরে চিকিৎসা নিচ্ছে।

একইভাবে হাসপাতালের ১৩ নম্বর মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছে নিলয় শীল (১৬) নামের এক কিশোর। সে যে ভবনে থাকে, ওই ভবনের বাসিন্দা তার খালাতো ভাই মৃত্যুঞ্জয়ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সে।
১৩ নম্বর মেডিসিন বিভাগে রোববার বিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৬ জন। সেখানে কর্তব্যরত নার্স জানান, এক সপ্তাহ আগেও ডেঙ্গু রোগী কম ছিল। এখন প্রতিদিন বাড়ছে। ওয়ার্ডটির বারান্দায় মশারি টানিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিছু রোগীকে ওয়ার্ডের ভেতরেও রাখা হয়েছে।

১৪ নম্বর মেডিসিন বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২১ জন রোগী ভর্তি আছেন। এখানে ভর্তি হওয়া পূজা মুখার্জী (৩৬) এসেছেন নগরের এনায়েত বাজার থেকে। তাঁর স্বামী নয়ন মুখার্জী জানান, তিন দিন পূজা জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এখন প্লাটিলেট কমতে থাকায় ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শুধু নগরে নয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা এবং বাইরের জেলা থেকেও রোগী আসছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানীয় হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁরা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
১৬ নম্বর মেডিসিন বিভাগে গতকাল শনিবার ভর্তি হয়েছেন নিউটন ত্রিপুরা। তিনি এসেছেন খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা থেকে। নিউটন বলেন, ‘আমার ডেঙ্গু রিপোর্ট এখনো নেগেটিভ। কিন্তু প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে। তাই এখনো ডেঙ্গু আছে বলে চিকিৎসকেরা ধরে নিয়েছেন।’

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা থেকে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন আদনান (২০) নামের এক যুবক। মেঝেতে শয্যা পেয়েছেন তিনি। প্লাটিলেট কম যাচ্ছে তাঁর। তাঁর মা আয়েশা বেগম বলেন, ‘সেখানে (ফেনী) ডাক্তার দেখিয়েছি। তিনি বলেছেন এখানে নিয়ে আসতে। তাই গতকাল নিয়ে এসেছি।’

এ বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৭৭ জন। মারা গেছেন ১৬ জন। গত বছর জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৪৪৫ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের।

https://www.prothomalo.com/bangladesh/7aqwijhons