৭ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ১১:২৪

বৈঠক শেষে জাতিসঙ্ঘ

জলবায়ুর ৩০ ঝুঁকিপূর্ণ দেশে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ৩০টি দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় আছে। সারা বিশ্বের দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকা ৩০টি দেশকে নির্বাচিত করে তাদের আগাম বার্তা কিভাবে পাওয়া যায় সে ধরনের প্রকল্পের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব। এ তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম বলে জানান জাতিসঙ্ঘের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ম্যামি মিজুটরি। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে জলবায়ু পরিবর্তন দিনে দিনে ঝুঁকির পর্যায়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে এসব মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

শেরেবাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। বিভিন্ন দুর্যোগ কিভাবে প্রশমন করা যায় এ দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনি। এর আগে তিনি ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ম্যামি মিজুটরি বলেন, আমি বাংলাদেশে এসেছি তারা দুর্যোগ মোকাবেলায় কতটুকু সক্ষম তা দেখতে। বিশেষ করে সাইক্লোন কিভাবে মোকাবেলা করে তারা। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশ এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করে মৃত্যুহার কমিয়েছে। বিশ্বের জন্য এটি বড় উদাহরণ। তিনি বলেন, আমরা এদেশকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াতে আরো সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

জাতিসঙ্ঘের এই কর্মকর্তা বলেন, আমি এখানে এসেছি কিভাবে জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা করা যায় সেটি দেখার জন্য। আগামবার্তা কিভাবে দেয়া যায় তা নিয়ে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তিনিও গুতেরেসের নির্দেশনা আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়; কিন্তু সেগুলো পুরনো। সেজন্য নতুন পদ্ধতি ব্যবহারে তাদের কিভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।
ম্যামি মিজুটরি বলেন, বাংলাদেশের অনেক প্রকল্পেই জাতিসঙ্ঘ সহায়তা করে আসছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় মানুষের সহায়তার জন্য কাজ করছে জাতিসঙ্ঘ, বিশেষ করে এসব এলাকায় নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছি। এদেশে প্রতি বছরই বন্যায় প্লাবিত হয়। সরকার বন্যা মোকাবেলায় বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে বলে জেনেছি। দরিদ্র ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে জাতিসঙ্ঘ।

আর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জাতিসঙ্ঘ বহুজাতিক সংস্থা হিসেবে আমাদের নানা ধরনের সহায়তা করে থাকে। আমাদের দেশে ঝড়, ভূমিকম্প ও আবহাওয়া সম্পর্কিত দুর্যোগ- আসার আগে এর আগামবার্তা নিয়ে কিভাবে প্রশমন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, এক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো। ৩০টি দেশকে তারা আগামবার্তার প্রকল্পের জন্য বেছে নিয়েছেন। এ পদ্ধতিকে কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বা মানবসৃষ্ট যেকোনো ঝুঁকি মোকাবেলায় তারা সহায়তা করবে। আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/760313