৪ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:৫৯

মূল্যস্ফীতির হার এখনো পৌনে ১০ শতাংশে

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য এখনো টালমাটাল। বাজারে পণ্য মূল্য চড়া থাকার কারণে মে মাসের তুলনায় জুনে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যেখানে মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুনে ৯ দশমিক ৭৪ বা প্রায় পৌনে ১০ শতাংশ দিয়ে শেষ হলো অর্থবছর ২০২২-২৩। মে মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সেখান থেকে দশমিক ২০ শতাংশ কমেছে বলে বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সদ্য প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এসব জানানো হয়েছে। তবে কাঁচা মরিচের মূল্যঝাল পুরো দেশটাকে উত্তপ্ত করে রেখেছে।

বিবিএসের তথ্য বলছে, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাসে (জুন) খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি মে মাসের ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে জুনে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে। এপ্রিল মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, গোশত, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। যদিও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে, যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশে এসেছে। আর খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত মে মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে খাদ্য বহির্ভূত খাতে কমে হয়েছে ৯ দশমকি ৫২ শতাংশ।

শহরের মূল্যস্ফীতির হার সার্বিক কমে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশে থেকে জুনে ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশে এসে। তবে খাদ্য খাতে এই হার গ্রামের মতোই বেড়ে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ থেকে এখন ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ থেকে কমে জুনে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ হয়েছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/759597