২৮ জুন ২০২৩, বুধবার, ৭:৫৫

কমলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়েছে বিলম্বে ভোগান্তি যাত্রীদের

অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ এবং ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হওয়ার কারণে ঈদযাত্রার আনন্দ কিছুটা মøান হয়। ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিল যাত্রীদের অত্যাধিক চাপ। কয়েকটি ট্রেন দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে ঢাকা ছেড়ে গেছে। তবে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ার জন্য তারা দায়ী নয়। কিছু ট্রেন দেরিতে স্টেশনে এসেছে এবং একইভাবে ছাড়তে অতিরিক্ত সময় নিয়েছে। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সন্তোষজনক পরিদর্শন করতে হয়েছে। এ কারণে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি ট্রেন আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা বিলম্বিত হয়েছে।

রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টার নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে ছেড়ে যায় সকাল ৮টা ৪ মিনিটে। দুই ঘণ্টা চার মিনিট দেরিতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনে পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা দেরি করে।

চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায় সকাল ৮টা ১৭ মিনিটে।

রংপুর এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছেড়ে গেলেও পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ২২ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়।

খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ৫০ মিনিট দেরিতে ৯টা ৫ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছেড়ে গেছে।

এর ফলে স্টেশনে এসে ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ।
স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজশাহী যাচ্ছেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রী শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোরে ট্রেন ছাড়বে, তাই নাশতা করে বের হতে পারিনি। এ অবস্থায় দুই ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করা খুবই কঠিন বলে জানান তিনি।

নীলসাগর এক্সপ্রেসে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে নীলফামারী যাচ্ছেন জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, ট্রেন সময়মতো আসেনি। প্ল্যাটফর্মে বসার জায়গাও নেই।

আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় ১৪ জুন থেকে। সেদিন ২৪ জুনের টিকিট বিক্রি হয়েছে। ২৭ জুনের অনলাইনে ছাড়া হয় ১৭ জুন। সেদিনই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। তবে শোভন ক্যাটাগরির মোট ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং হিসেবে ট্রেন ছাড়ার আগে বিক্রি করা হচ্ছে। সে টিকিটের জন্য কাউন্টারে এবং গেটে দীর্ঘ সারি দেখা যায়।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রি এবং ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির কারণে রেলের লাভ-ক্ষতি বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের লক্ষ্য হলো যাত্রীদের নিরাপদ এবং আরামদায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা।’

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/758697