২৩ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ৯:৩৪

সুইস ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশীরা

-এক বছরে কমেছে ৯৪ শতাংশ

সুইস ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশীরা। গত এক বছরে কমেছে প্রায় ৯৪ শতাংশ বা বাংলাদেশী টাকায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, মাত্র এক বছরেই সুইস ব্যাংকগুলো থেকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশীরা। ২০২১ সালে যেখানে বাংলাদেশী আমানত ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০২২ সালের শেষে তা কমে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ কোটি ফ্রাঁ-এ। এক বছরে এত বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশীরা কী করেছে, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই প্রতিবেদনে।

সারা বিশ্বের ধনীদের অর্থ, গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুদিনের খ্যাতি সুইজারল্যান্ডের। কঠোরভাবে গ্রাহকদের নাম-পরিচয় গোপন রাখে সুইস ব্যাংকগুলো। যে কারণে প্রচলিত বিশ্বাস, অবৈধ আয় আর কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা জমা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে। নির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও, এক দশক ধরে, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-এর ডিসেম্বরে, সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশীদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫২ লাখ সুইস ফ্রাঁ; প্রতি ফ্রাঁ ১২১ টাকা করে ধরলে, দেশী মুদ্রায় এটি দাঁড়ায় প্রায় ৬৬৮ কোটি টাকায়। অথচ ঠিক এক বছর আগে, এ অঙ্ক ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ ফ্রাঁ। অর্থাৎ, এক বছরেই, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের আমানত কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। যার অর্থ, ২০২২ সালজুড়ে এই বিপুল অঙ্কের টাকা সুইস ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশী আমানতকারীরা।

প্রতিবেদনে এখন পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যায়, তাতে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের আমানত সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২১ সালে। বছর না গড়াতেই যা নেমে এটি এসেছে সর্বনিম্ন অবস্থানে। এক বছরে ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশীদের আমানত কমেছে ৯৪ শতাংশ। প্রায় এক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে যে আমানত বাড়ল; মাত্র এক বছরেই সেটি এত কমল কেন তার ব্যাখ্যা নেই প্রতিবেদনে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডে গোপনীয়তা কমতে থাকায়, অনেক ধনী এখন অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য ঝুঁকছেন, লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড কিংবা বারমুডার মতো ট্যাক্স হ্যাভেনের দিকে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/757547