২৩ জুন ২০২৩, শুক্রবার, ৯:১৬

৯৯ বারের মতো পেছাল প্রতিবেদনের সময় পরবর্তী দিন ৭ আগস্ট

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৯৯ বারের মতো পেছাল। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিনও তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত আগামী ৭ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন। শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামী আটজন। অপর আসামীরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। সেই রাতে সেই ফ্ল্যাটে তাদের দুজনের সঙ্গে ছিল তাদের একমাত্র সন্তান পাঁচ বছর বয়সী মাহিন সরওয়ার মেঘ। তাকে উদ্ধৃত করে পুলিশ তখন জানিয়েছিল, খুনি ছিল দুজন।

আলোড়ন তোলা এই হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর বছরের পর বছর গড়ালেও খুনিরা অধরাই থেকে গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের রোমান। বিভিন্ন সময়ে মোট আটজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনও পান।

প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্তে নামে। চারদিন পর তদন্তের ভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। তারা রহস্যের কিনারা করতে না পারায় হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দায়িত্ব পেয়ে ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বটি, পরিধেয় কাপড়সহ বেশ কিছু বস্তু পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবেও পাঠায় র‌্যাব। এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন হিসেবে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এতদিনেও এ হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি।

https://dailysangram.info/post/528200