৪ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার, ১:১৩

‘ডেথ স্কোয়াড’ নিয়ে ডয়চে ভেলে ও নেত্র নিউজের ডকুমেন্টারি

বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রচার করেছে জার্মানিভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে। নেত্র নিউজের সঙ্গে যৌথভাবে অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করে ডয়চে ভেলে। সংবাদ মাধ্যমটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এর একটি সার সংক্ষেপও প্রচার করা হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‌্যাবের সংগঠিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে নতুন করে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। দুইজন হুইসেলব্লোয়ার দাবি করেছেন যে উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনে এই অভিজাত বাহিনীকে ব্যবহার করছেন। এই প্রথমবারের মতো র‌্যাবের দু’জন সাবেক কমান্ডার, নিরাপত্তার কারণে যাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে, বিশেষ পুলিশ বাহিনীটি হত্যা, নির্যাতন এবং গুমের মতো ঘটনা কীভাবে ঘটাচ্ছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। ডয়েচে ভেলে এবং নেত্র নিউজ তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এবং তাদের প্রকৃত পরিচয় যাচাই করেছে। দুই হুইসেলব্লোয়ারের একজন র‌্যাবকে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

‘বিষয়টা এমন নয় যে আমরা শুধু কোনো একজন ব্যক্তিকে নির্মূল করছি। আমরা আসলে সেই ব্যক্তির পুরো পরিবারকে এবং তার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বাকি জীবনের জন্য বিপদে ফেলছি ও মানসিকভাবে ভেঙে দিচ্ছি,’ সাবেক দুই কমান্ডারের একজন বলেন।

অন্য হুইসেলব্লোয়ার বলেন, ‘এই সাক্ষাৎকার তাদের জন্য একটা বার্তা, যারা তাদের প্রিয়জনদের ফেরার অপেক্ষায় আছেন। যদি তাদের যাওয়া এক-দুই বছর হয়ে থাকে তাহলে তাদের জীবিত ফেরার সম্ভাবনা আমি বলবো লেস দেন ওয়ান পারসেন্ট।

মানবাধিকার কর্মীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে শত শত মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক লিখিত উত্তরে এই দাবি তাদের নিজস্ব অনুসন্ধানের সঙ্গে ‘মিলছে না’ এবং অভিযোগগুলো ‘সঠিক প্রতীয়মান হচ্ছে না’ বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং র‌্যাবের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছে ডয়চে ভেলে। র‌্যাবের একজন মুখপাত্র এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে বললে সেখান থেকে এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন এবং অসত্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়। ৩রা এপ্রিল ডয়চে ভেলে ‘অভিজাত বাহিনী র‌্যাব যেভাবে বাংলাদেশের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখে’ শীর্ষক তথ্যচিত্র ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায় ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটেও বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

আগামী কয়েকদিন এই তথ্যচিত্রের ইংরেজি, জার্মান, আরবি এবং স্প্যানিশ সংস্করণ ডিডাব্লিউ টেলিভিশনে প্রচারিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ডিডাব্লিউ রেডিওতেও এই অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র নিয়ে আধা ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।

https://mzamin.com/news.php?news=49715