৩ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার, ১:১০

আগামী বাজেট নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মত

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেই গুরুত্ব

আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব আয় বাড়ানোসহ ১০ সুপারিশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এগুলো হচ্ছে ভর্তুকি ও বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনা, অভ্যন্তরীণ ঋণ কম গ্রহণ ও বৈদেশিক ঋণ বাড়ানো।

এছাড়া সুপারিশে আরও আছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক করা। যুগান্তরের সঙ্গে আলাদা আলাপচারিতায় তারা এসব সুপারিশ তুলে ধরেন।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমানে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে সামষ্টিক অর্থনীতি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এটা নিয়ন্ত্রণেই তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তারা মনে করেন, আগামী অর্থবছরে ঘাটতি বাজেট সংকোচন করে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ কমাতে হবে। কারণ, বড় ঘাটতি মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বৃদ্ধি করে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি বাজেটের তুলনায় প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বেশি। ৫ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ে সম্পদ কমিটির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হবে।
কয়েকটি কারণে আসন্ন বাজেট সরকারের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রথম হচ্ছে-বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের এটি শেষ বাজেট। এ বছরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

সেদিক থেকে এটি জাতীয় নির্বাচনি বছরের বাজেটও। কাজেই মেগা প্রকল্পগুলো শেষ করার পাশাপাশি নতুন বড় প্রকল্পের দিকনির্দেশনা থাকতে পারে। তবে এবারের বাজেটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের প্রভাব থাকছে।

কারণ, ঋণের শর্তের অনেককিছুর প্রভাবই পড়তে পারে এর ওপর। ফলে কেমন হওয়া দরকার এ বাজেট, এ নিয়ে কয়েকজন অর্থনীতিবিদের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদাভাবে তুলে ধরা হলো।
বাজেটে ভর্তুকি কমাতে হবে: ড. মির্জ্জা আজিজ

আগামী বাজেট নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এবার বাজেটে আইএমএফ’র শর্তের প্রভাব থাকবে। তবে কর জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে সরকারকে।
বর্তমান কর জিডিপির অনুপাত পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। পাশাপাশি সরকারের ব্যয় বাড়াতে হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আগের তুলনায় বেশি ব্যয় করতে হবে। তিনি বলেন, বাজেটে ভর্তুকি অনেক বেশি যাচ্ছে। এটি ধীরে ধীরে কমাতে হবে। এতে কিছুটা মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে, যা গরিবদের কিছুটা সমস্যায় ফেলতে পারে। এজন্য নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে হবে। রোববার যুগান্তরের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জ্জা আজিজ বলেন, সার্বিক সুদ খাতে ব্যয়ের বড় অংশ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ ঋণের। আর অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে বেশি সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে সঞ্চয়পত্রে। যদিও এ বছর সঞ্চয়পত্রের সুদ কিছুটা কমেছে। বৈদেশিক ঋণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রিজার্ভের জন্য এটি ভালো। বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন আছে। বৈদেশিক ঋণ আমাদের জিডিপির অনুপাত অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। এটি নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। বাজেট ঘাটতি পূরণ করতে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।
কর কমিশন গঠন করা দরকার: মাহবুব আহমেদ

সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে বেশ কিছু সমস্যা আছে। তবে বড় ধরনের সংকট নেই। বর্তমান সঞ্চয় থেকে বিনিয়োগ হার বেশি। মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। অপরদিকে এটা নির্বাচনি বছর। এমন অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় ধীরে ধীরে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কৃষি খাত ছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমাতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ বাড়াতে হলে প্রবৃদ্ধির দরকার আছে। রোববার যুগান্তরকে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব আহমেদ বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি না হলে অভ্যন্তরীণ পর্যায় থেকে কর আহরণ হবে না। প্রবৃদ্ধি দরকার আছে, আবার মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এসব ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

বাজেটের দুটি দিক আছে-একটি আয়, অপরটি ব্যয়। আমরা ব্যয় বা বরাদ্দ নিয়ে যত কথা বলি, আয় নিয়ে বলা হয় না। এখন ফোকাস দিতে হবে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে কর আহরণের দিকে। রাজস্ব বোর্ডকে সংস্কার করতে হবে।

আমি আগে বলেছি, এখনো বলি-আমাদের রাজস্ব আদায় বাড়াতে একটি কর কমিশন গঠন করা দরকার। এটি গঠন হলে বাস্তবসম্মত পরামর্শ নেওয়া যাবে। আয়করকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ডব্লিউটিও থেকে প্রাপ্য সুবিধা বন্ধ হবে। ওই সময় কাস্টমস ডিউটি কমে যাবে। তখন মুক্তবাণিজ্যের দিকে জোর দিতে হবে। পাশাপাশি আয়করকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাজেট প্রণয়নে সংযত হওয়ার পরামর্শ: ড. আহসান মনসুর

পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেট হবে চ্যালেঞ্জিং। কারণ, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়, রাজস্ব পরিস্থিতি ভালো নয়, ডলার সংকট বিরাজমান।
এছাড়া আমদানি কম হওয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আদায় কম হবে। এই সংকটের মধ্যে বড় বাজেট হাতে নেওয়া হলে বাস্তবায়ন কঠিন হবে। ফলে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংযত হতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। রোববার যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এইচ মনসুর বলেন, পুরো সামষ্টিক অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে আছে, যা আমাদের প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। সরকার একদিকে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারছে না। কারণ, টাকা ছাপাতে হচ্ছে। টাকা ছাপিয়ে বাজেটে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
অন্যদিকে ঋণের সুদের হারে ক্যাপ দিয়ে রাখা হয়েছে। আবার ডলারের সংকট থেকে বেরও হয়ে আসতে পারছে না। ডলার সংকট যতদিন থাকবে, পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত হবে না, বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি কোনোটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, চলতি বাজেটে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হবে। আগামী বছরও যদি বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়ন না হয়, সেখানেও বড় ধরনের ঘাটতি হবে।

এ প্রেক্ষাপটে আসন্ন বাজেটে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানো উচিত হবে না। নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ কোটি টাকা বলা হচ্ছে। এটি অর্জন করা কঠিন হবে। এ বছর যে রাজস্ব আহরণের হার, সেটি খুব বেশি বাড়ানো যাবে না।
এছাড়া ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হলে কমপক্ষে আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতি থাকবে। এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে। এত বড় ঘাটতির অর্থায়ন সরকার কীভাবে জোগাড় করবে, সেটিও ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে এ কাজটি করতে গেলে মূল্যস্ফীতির ওপর বড় ধরনের চাপ পড়বে এবং ডলারের আরও অবমূল্যায়ন হতে পারে।

রাজস্ব আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর সুযোগ নেই। সংস্কার করতে গেলেও দুই থেকে তিন বছর সময়ের প্রয়োজন। রাজস্ব সংস্কার কার্যক্রমের ঘোষণা আমরা বাজেটে দেখতে চাই। কিন্তু এসংক্রান্ত কোনো রাজস্ব আয় বাজেটে আনা সম্ভব হবে না। তবে রাজস্ব খাতে যেসব স্থানে সরকার ইতঃপূর্বে অনেক ছাড় দিয়েছে, সেগুলো কমিয়ে এনে রাজস্ব ছাড়ে সাশ্রয় করার পরামর্শ দেন তিনি।

ঘাটতির আকার কমানো প্রয়োজন: ড. জাহিদ হোসেন
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, সামষ্টিক অর্থনীতি এখন স্বল্প মেয়াদে সর্ববৃহৎ চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির স্বাভাবিক গতির বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মূল্যস্ফীতি মানুষের সঞ্চয় ও ক্রয়ক্ষমতা কমিয়েছে। অনেকে ঋণ করছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী বাজেট ঘাটতি কমাতে হবে। কারণ, ওই ঘাটতির চাপই মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দেয়। এখন প্রয়োজন ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কারণ, বড় ঘাটতি মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে আগামী বাজেটে ঘাটতি সংকোচনের পথে যেতে হবে। রোববার যুগান্তরকে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, আইএমএফ’র শর্ত অনুযায়ী আগামী বাজেটে জিডিপির শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় আসলে কতটা বাড়ানো সম্ভব, তা নিয়ে ভাবা দরকার।

তিনি মনে করেন, এখন সরকারকে বিশ্লেষণভিত্তিক নীতিতে যাওয়া উচিত। কারণ হিসাবে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত তিন বছরে বিভিন্নভাবে করপোরেট কর হার কমানো হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল বিনিয়োগে উৎসাহিত করা।

এখন দেখা উচিত যেভাবে করছাড় দেওয়া হয়েছে, বিপরীতে সেভাবে বিনিয়োগ বেড়েছে কি না। এছাড়া পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরাতে নীতি সংস্কার করা হয়েছে। এর সুফল পাওয়া গেছে কিনা। নাকি এই সুবিধা নিয়ে দেশ থেকে টাকা পাচার আরও বেড়েছে, সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।

উন্নয়ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক তুষ্টির জন্য নেওয়া এবং দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে না, এ ধরনের প্রকল্পগুলো স্থগিত করার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণ কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তার মতে, এটি করতে হলে বাজেট ঘাটতি কমাতে হবে। পাশাপাশি পাইপলাইনে থাকা বৈদেশিক ঋণ ছাড় বাড়াতে পারলে এর ইতিবাচক প্রভাবে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া কমবে। কিন্তু বৈদেশিক ঋণ প্রকল্পনির্ভর। এক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়ন হারও বাড়াতে হবে।
বাজার ব্যবস্থাপনায় নজর জরুরি: ড. সেলিম রায়হান

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, সংকটের মধ্যেই আসছে আগামী বাজেট। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে দেশ। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায়ও কিছু সমস্যা আছে।

কয়েক মাস আগেও দুটি জিনিস আমাদের সামনে আসে। এক, সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাপ। দ্বিতীয়, মূল্যস্ফীতি। আমার মনে হয়, গত কয়েক মাসে সামষ্টিক অর্থনীতির চাপ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সামলানোর একটি প্রক্রিয়ায় আছে।

বিশেষ করে আইএমএফ’র ঋণ পাওয়া গেছে এবং আমদানি ব্যয় টেনে ধরা গেছে। এখন রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রভাব ইতিবাচক। তবে সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাপ আছে, যা গত কয়েক মাসের তুলনায় কম।
আমি মনে করি, আগামী বাজেটে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে। এর কারণে একটি বিশাল জনগোষ্ঠী ভয়ানক চাপের মুখে আছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।

আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির কারণে দুর্ভোগে পড়া মানুষগুলোর সমস্যা কীভাবে লাঘব করা যায়, এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকা দরকার। তিনি বলেন, বাজেটে দীর্ঘদিনের বড় সমস্যা কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় না হওয়া।

এ বছর আইএমএফ থেকে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে। সংস্থাটি ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করার ক্ষেত্রে এই শর্তের অগ্রগতি দেখবে। তবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য কর খাতে সংস্কার সরকার আদৌ করতে চায় কি না, সেটি দেখার বিষয়।
আগেও শোনা গেছে, কর খাতে সংস্কার করা হবে। কিন্তু অনেকদিন পার হলেও সেটি দেখা যায়নি। তিনি মনে করেন, আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আদায় ও বাজারব্যবস্থার তদারকি বাড়ানোর উদ্যোগ থাকতে হবে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/661399