দোকানপাট বন্ধ করে পুরান ঢাকার নর্থসাউথ রোডে আয়রন ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন; ইনসেটে বন্ধ মার্কেট :নয়া দিগন্ত
২০ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৫

প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহালসহ ৮ দফা দাবি

দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

ব্যবসায় প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহাল ও বিনলক, অবাস্তব ভ্যাটের হার, ভ্যাট আদায়ে আগ্রাসী ও নানামুখী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোরটার অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার দুপুরে পুরান ঢাকার সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। এর আগে একই দাবিতে বংশাল রোডে মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে ঢাকার সহস্রাধিক স্টিল ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন : এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মনজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক পরিচালক আলী জামান, আব্দুর রাজ্জাক, গিয়াস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন নুরানী, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ীদের ওপর সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায়ভাবে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। লৌহ ব্যবসায়ীরা আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট পরিশোধ করে আসছে। এর পরেও বিভিন্ন সার্কেলের ভ্যাট অফিসারেরা আমাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে এসে আমাদের খাতাপত্র নিয়ে যাচ্ছে, বিক্রীত মাল গাড়িসহ আটক করছে, হয়রানির করছে এবং বাধ্য হয়ে তারা পুনরায় সরকারি কোষাগারে ট্রেজারি ও কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে মাল ছাড় করতে হচ্ছে।
এ ছাড়া সার্কেল অফিস থেকে ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে অবহিত না করে হঠাৎ করেই ব্যবসায়ীদের রিটার্ন দাখিল না করার কারণে আমদানিকারকের বিএন বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে আমদানিকারক মাল পোর্ট থেকে খালাস করতে পারছে না। অন্য দিকে ১ জুলাই পর্যন্ত খুচরা পর্যায়ে প্যাকেজ ভ্যাট প্রদানের বিধান থাকলেও বংশাল, কেরানীগঞ্জ, মীরহাজীরবাগসহ অনেক সার্কেল অফিসার মানছে না।
আগের মতো প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহাল করাসহ ৮ দফা দাবি জানান তারা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্র্রত্যেকটি সেক্টরের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে বিভিন্ন স্লাবে ভ্যাট নির্ধারণ, ভ্যাট আইন সহজ ও সংক্ষিপ্ত করা, ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিনলক করে ব্যবসা বন্ধের বিধান বাতিল, হয়রানিমূলক রিটার্ন সাবমিটের বিধান বাতিল, লৌহশিল্পের কাঁচামালের ট্রেডিং পর্যায়ের ভ্যাট প্রত্যাহার, দেশীয় শিল্পভিত্তিক ব্যবসায়বান্ধব ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/213536