১৮ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ৫:৫৩

রোজার আগেই অস্থির সবজির বাজার, কমেনি মুরগির দাম

পবিত্র মাহে রমজান শুরু হতে এখনো এক সপ্তাহ বাকি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমার পরিবর্তে বাড়ছে। রোজার আগেই শাক-সবজিসহ বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজিভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা করে। দুই একটি ছাড়া কোনও সবজিই ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।

এছাড়া নতুন করে ব্রয়লার মুরগির দাম না বাড়লেও গত সপ্তাহের মতো ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাকিস্তানি কর্ক ও দেশি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। ডিমের দামও আগের মতেই বেশি। তবে ছোলা ও ডালের দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ- এমন খবরে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত। রমজানে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে তুলনামূলক প্রায় প্রতিটি সবজিরই দাম বেড়েছে। দুই একটি ছাড়া কোনও সবজিই ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। সজনে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, করলা ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। কেজিপ্রতি সিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু পোলান্ড ৩০, দেশি ছোট আলু ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা এবং বরবটি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও কাঁচামরিচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, ফুলকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালীন সবজি শেষ হয়ে যাওয়া এবং অনেক সবজির ক্ষেতে ধান লাগানোর কারণে উৎপাদন কমে গেছে। সেই কারণে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি। এরমধ্যে রোজার প্রভাবও রয়েছে। এই সবজি বিক্রেতা বলেন, রোজা শুরু হলে বেগুন, শসা, লেবু, টমেটো ও ধনেপাতার দাম কিছুটা বাড়তে পারে। সঙ্গে কাঁচামরিচও।

এদিকে বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ২৪০-২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য মুরগির দাম ২০-৫০ টাকা বেড়ে পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৮০ টাকা ও বড় কর্ক মুরগি ৩২০-৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির দাম এখন প্রতি পিস ৫০০-৫৫০ টাকা।

অন্যদিকে ছোলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯৫ টাকা। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মসুর ডাল ১৩৫-১৫০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০-৯০ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৭৫-৮৫ টাকা এবং বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।

বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের দাম বেশি। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকায়। দেশি জলাশয়ের মাছের দাম ৮০০-১০০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইলিশ মাছ এক হাজার ৩৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাছ বিক্রেতারা জানান, গোশতের দাম বেড়ে যাওয়ায় পর থেকে মাছের চাহিদা বেড়েছে। তাই মাছের বাজারও একটু বাড়তি। মাছের দাম কেজিতে ন্যূনতম ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

https://dailysangram.com/post/519586