১৭ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার, ১২:০৬

মুরগির সঙ্গে মসলার দামও চড়েছে

বাজারে সস্তার প্রোটিন বলে পরিচিত ব্রয়লার মুরগির দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। সেই ২০০ টাকার ঘরেই ঘোরাফেরা করছে। গত সপ্তাহে বাজারে এই মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা ২৬০ টাকা কেজি।

মাংস, ডিম ও সবজির বাজার আগের মতো চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে বিভিন্ন মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। এর মধ্যে রয়েছে শুকনা মরিচ, আদা, রসুন, দারুচিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও গুলশান এলাকার কয়েকটি কাঁচাবাজারে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে ব্রয়লার মুরগি ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়, যা গত সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস এক হাজার ১০০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহেও এগুলোর দাম প্রায় একই রকম ছিল। তবে গত সপ্তাহে এলাকাভেদে গরুর মাংস ৮০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আজ ১০০ পিস ডিমের দাম ছিল ৯৭০ টাকা। ডিমের সরবরাহ ধীরে ধীরে কমছে। মুরগি কমে যাচ্ছে, খাদ্যের দাম বেশি। খামারিরা পোষাতে পারছেন না। বাচ্চা ফোটাতে পারছেন না। মুরগি যদি না থাকে, তাহলে ডিম আসবে কোত্থেকে? এর পরও রমজানে ডিমের চাহিদা কম থাকায় সে সময় দাম কমতে পারে।’

একই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, ব্রয়লার মুরগি যেটা ছোট, হোটেলে নেয়, সেটা ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি জাতের লাল মুরগির দাম এখন ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সরবরাহ মোটামুটি আগের মতোই আছে, চাহিদাও আগের মতো, কিন্তু দাম বাড়ছে। রোজায় এসবের চাহিদা বেশি থাকে বলে দাম আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

সবজির বাজার গত সপ্তাহের মতোই চড়া। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। বেগুন (সাদা) ৮০, কালো বেগুন ৯০, পেঁপে ৪০, শসা ৫০ থেকে ৬০, গাজর ৫০ থেকে ৬০, পটোল ৮০, পেঁয়াজ ৫০, করলা ১৪০ টাকা। লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি মাঝারি আকারের প্রতিটি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। শজনে ১৬০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, দেশি শুকনা মরিচ ৩৯০ থেকে ৪৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ছিল ৩২০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি। দেশি আদা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আমদানি করা চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। দারুচিনি ৪৫০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৩০ েতকে ৪৬০ টাকা কেজি।

https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2023/03/17/1261895