৭ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ৭:৫৭

হজ্বের কোটা খালি ৭০ হাজার ব্যয় কমানোর দাবি সব মহলের

চলতি ২০২৩ সালের হজ্ব¡ নিবন্ধনের শেষ দিন আজ ৭ মার্চ মঙ্গলবার। গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত হজ্বে যেতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৫৬ হাজার ১৯৩ জন। দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও এখনো হজ্বের কোটা খালি রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার। এদিকে হজ্বের ব্যয় বেশি হওয়ায় ব্যয় কমানোর জন্য দাবি জানানো হচ্ছে সকল মহল থেকে। গতকাল একজন আইনজীবী হজ্ব ব্যয় কমানোর জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। হাব ও আটাবের পক্ষ থেকে বিমান ভাড়া কমানোর জন্যও দাবি জানানো হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী- ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্বে যাওয়ার কথা। কিন্তু ৬ মার্চ রাত ৮টা পর্যন্ত হজ্বে যেতে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৫৬ হাজার ১৯৩ জন। এ হিসেবে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার হজ্বযাত্রীর কোটা খালি রয়েছে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ্বযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজ্বে যেতে ইচ্ছুক দুই লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন আট হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

প্রাক-নিবন্ধন করতে ৩০ হাজার টাকা (ফেরতযোগ্য) জমা দিতে হয়। আর নিবন্ধনের চূড়ান্ত সময় জমা দিতে হয় অবশিষ্ট টাকা। তবে পাহাড়সম এই খরচ না জোগাতে পেরে অনেকেই চূড়ান্ত নিবন্ধন করছেন না। বরং প্রাক-নিবন্ধনের টাকা ফেরত নেয়ার আবেদন করছেন।

সর্বশেষ সোমবার ৬ মার্চ রাত ৮টা পর্যন্ত হজ্বে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৫৬ হাজার ১৯৩ জন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ হাজার ৮৭৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৭ হাজার ৩২০ জন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, আজ নিবন্ধনের শেষ দিন। তবে কোটা পূরণ না হওয়ায় নিবন্ধনের মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়ানো হতে পারে।

এ বিষয়ে হজ্ব এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী বলেন, আগেও অনেকবার এমন হয়েছে যে নিবন্ধনের জন্য হজ্বযাত্রী পাওয়া যায়নি। তবে শেষের দিকে ৪/৫ দিনে আবার কোটা পূরণও হয়ে যায়। আমাদের বিশ্বাস এবারও সব কোটা পূরণ হয়ে যাবে এবং ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশিই হজ্বের জন্য নিবন্ধন করবেন।
এদিকে আটাবের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক বিমানভাড়া কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হজ্ব ব্যয় কমানোর জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ্ব-১ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধনকারীদের হজ্বের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

https://dailysangram.com/post/518593