৪ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ১:২৩

এফএওর প্রতিবেদন

বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম টানা ১১ মাস কমেছে

আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম কমছেই। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতেও কমেছে। এ নিয়ে টানা ১১ মাস বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের দাম কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে মার্চে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো হয়েছে। গত বছরের মার্চের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত ফেব্রুয়ারিতে দাম প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে।

এফএওর খাদ্য সূচক অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে গড়ে বিশ্ব মূল্যসূচক ছিল ১২৯ দশমিক ৮ পয়েন্ট। জানুয়ারিতে যা ছিল ১৩০ দশমিক ৬ পয়েন্ট। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের পর এটি সবচেয়ে কম পয়েন্ট।

এ ছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূল্য সূচক ০ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। আটার তুলনায় চালের দাম কম থাকায় এই সূচকটি কমেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সূচকে তেল এবং দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। তবে এ সময়ে চিনির দাম বেড়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী পাম, সয়া, সূর্যমুখী এবং রেপসিড তেলের দাম কমেছে। দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। কিন্তু চিনির দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। গত ছয় বছরের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ। মূলত ভারতে চিনির উৎপাদন ও রপ্তানি কমার বিষয়টি চিনির মূল্যের ওপর প্রভাব রেখেছে। তবে চিনি উৎপাদনকারী অন্য দেশগুলোতে সরবরাহ বেড়েছে।

গত মাসে ডেইরি মূল্যসূচক মাসে ২.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মাংসের মূল্যসূচকও জানুয়ারি থেকে প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। প্রচুর রপ্তানির কারণে বিশ্বে হাঁস-মুরগির দাম ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে গমের উৎপাদন কমবে ৭৮৪ মিলিয়ন টন। তবে তা সত্ত্বেও বিশ্বে এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গম উৎপাদনের রেকর্ড হবে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গম উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেনের কৃষি অবকাঠামো ও ফসলের মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং অর্থনৈতিক বাধা-বিপত্তির কারণে অতিপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের উৎপাদন কমবে। বিশেষ করে ইউক্রেনের শীতপ্রধান অঞ্চলগুলোতে গম উৎপাদন ৪০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

তবে আশা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে এবার ৫১ মিলিয়ন টন গম উৎপাদিত হবে। যার মাধ্যমে ক্ষতি হয়ত কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে। ২০১৫ সাল থেকেই মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী গমের উৎপাদন বেড়েছে।



https://samakal.com/bangladesh/article/2303160227