২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার, ৩:২৮

দুই মাসেই গুচ্ছ পরীক্ষা শেষ করতে নতুন ফর্মুলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

দীর্ঘ সময় ধরে গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আগ্রহীদের দুর্ভোগ কমছে না। গত দুই বছর ধরে একটি মাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে চালু করা হয় গুচ্ছ পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা গ্রহণের পর থেকে নানা ধরনের প্রক্রিয়া থাকায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদেরও ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য দৌড়াতে হয়। কিন্তু চলতি বছরে মাত্র দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা ও ভর্তিসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ শেষ করতে নতুন ফর্মুলা নিয়ে আসতে কাজ করছে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অন্য দিকে এ বছর গুচ্ছ পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে কি না সে বিষয়ে আজ বুধবার সিদ্ধান্ত জানাবে তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরেও গুচ্ছ বা সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে আগ্রহী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে এবার অল্প সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করার ইচ্ছা তাদের। বিগত দুই বছরে যেভাবে সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ছিল তা কাটাতেই নতুন করে ভাবছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই আগামী ঈদের পরেই পরীক্ষা নিয়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ জুলাই মাসেই ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিরা।

সম্প্রতি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সমন্বয়ের গঠিত কোর কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সভায় অংশ নেয়া কমিটির একজন সদস্য জানান, সময়ের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছে গুচ্ছ পরীক্ষায়। তাই এ বছর সময় কমিয়ে আনতে চেষ্টা করা হবে। এরই অংশ হিসেবে এ বছর মাত্র দুই মাসের মধ্যেই সব প্রক্রিয়া শেষ করার চিন্তা করা হচ্ছে। ভিসি আরো বলেন, ভর্তি কার্যক্রমে সময় কমিয়ে আনার বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হবে। তবে এখনো যেহেতু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা ঠিক হবে না। আরো কয়েকটি সভা করে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হবে।

এ দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের। এর পরিপ্রেক্ষিতে গুচ্ছ ভর্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে কি না, এ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার বিশেষ অ্যাকাডেমিক সভায় বসবে প্রশাসন।

গত দুই বছর ধরে গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/729587