১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৪৯

ডিম ও ব্রয়লার মুরগির বাজারে অস্থিরতা

ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল ও আটার দাম বাড়তি

এক মাস ধরে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাড়ছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। পাশাপাশি খুচরা বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল ও আটার দাম বেড়েছে। রাজধানীর কাওরান বাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও নয়াবাজার ঘুরে বৃহস্পতিবার এমন চিত্র দেখা গেছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. নাজিম বলেন, বাজারে ডিম বা মুরগির কোনো সংকট নেই। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কারণেই মূলত বাজারে এমন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। একদিনেই এমন অবস্থা করা হয়নি। ধাপে ধাপে দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা লুটে নেওয়া হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৯০ টাকা ছিল। ছোট দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাত দিন আগে ১৩৫ টাকা ছিল। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ১৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা।

রাজধানীর নয়াবাজারে আসা ক্রেতা মো. জিসান বলেন, বাজারে এখনই প্রতি কেজি ছোলা ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে ৮০ টাকায় কিনেছি। দুই মাস আগেও দাম ছিল ৭৫ টাকা। রোজা আসার আগেই কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ কোন জগতে আমরা বসবাস করছি। আর কিছু জোগাড় করতে না পারলেও ডিম ভেজে ভাত খাব, এরও উপায় নেই। একটা ডিমের দাম ১৩ টাকা। বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা দেখার কেউ নেই। মনে হচ্ছে, তদারকি সংস্থাগুলো অসাধু ব্যবসায়ীদের পণ্যের দাম বাড়াতে সুযোগ দিচ্ছে। আর নিত্যপণ্যের আগুনে দামে কপাল পুড়ছে ভোক্তার। তবে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রতিদিন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত বছরের মতো শিগগিরই ডিম ও ব্রয়লার মুরগির খুচরা বাজার, পাইকারি ও খামার পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো অনিয়ম পেলে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/645879