১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার, ১১:৩৫

ডলার সংকটের কারণে বীজ আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রয়োজনীয় ডলার না মেলায় সামনের দিনগুলোতে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে বীজ আমদানি করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিড এসোসিয়েশন (বিএসএ)। সংগঠনটির উপদেষ্টা ও সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় তিন দিনের ‘বাংলাদেশ সিড কংগ্রেস’ সামনে রেখে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। আনোয়ার ফারুক বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য অন্যদের মতো ডলার ক্রাইসিস আমরাও ফেইস করছি। এর জন্য আমরা সামনে বীজ আমদানি করতে পারবো না। সেজন্য আমরা সরকারকে বারবার বলছি, আমরা যেন খাবারটাকে প্রাধান্য দেই। সাবেক এই কৃষি সচিব বলেন, আমরা যখন হাইব্রিড বীজ উৎপাদন, আমদানি শুরু করি; তখন অনেক সমালোচনা ছিল। কিন্তু আজ আমরা নিজেদের প্রয়োজনে হাইব্রিড বীজ আনছি। তখন সবাই বলতো, প্রাইভেট সেক্টরের কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এটা ঠিক না। প্রাইভেট সেক্টর না থাকলে আজ সবজির ফলন এত ভালো হতো না।

সবজির বীজের ৯০ শতাংশ সরবরাহ করছে প্রাইভেট সেক্টর।
বিএসএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. আলী আফজাল বলেন, বলা হয়- ফলন বাড়ছে না সেভাবে। কিন্তু কৃষকের জ্ঞানমানকে যদি একটু আপডেট করা যায়, তাহলে বর্তমান প্রযুক্তি দিয়েই ফলনটা বাড়ানো যাবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ১১ থেকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি ‘বাংলাদেশ সিড কংগ্রেস-২০২৩’ হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সিড এসোসিয়েশন আয়োজিত এ মেলায় দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, সমপ্রসারণ কর্মী, বীজ ডিলার, বীজ ব্যবসায়ী, বীজ শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষিবিদ, ব্যাংকার, শিক্ষক ও কৃষক প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা এ মেলায় জনা পঞ্চাশেক বিদেশি প্রতিনিধি থাকবেন। মেলায় মোট ১৩টি প্যাভিলিয়ন ও ৬০টি স্টল থাকবে, যার মধ্যে ১০টি বিদেশি স্টল থাকবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব প্রতিষ্ঠানের স্টল মেলায় থাকছে বলে সম্মেলনে জানানো হয়। আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় মেলা উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ইন্টারন্যাশনাল সিড ফেডারেশনের (আইএসএফ) সেক্রেটারি জেনারেল মাইকেল কেলার, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সিড এসোসিয়েশনের (এপিএসএ) সভাপতি ড. মানিশ প্যাটেল ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিমসনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সম্মেলনে জানানো হয়, তিন দিনের মেলায় মোট পাঁচটি কারিগরি সেশন থাকবে, যেখানে দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী ও বীজ গবেষকরা ১৫টি কারিগরি পেপার উপস্থাপন করবেন। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশের বীজ শিল্প বিকাশে অবদান রাখায় ২০ জন বীজ ব্যবসায়ীকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হবে সেদিন। অন্যদের মধ্যে বিএসএ সভাপতি এসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট এম আনিস-উদ-দৌলা, সংগঠনের প্রচার সম্পাদক ব্র্যাক সিডের প্রধান মো. আজিজুল হক, বিএসএ সদস্য ইস্পাহানি অ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক ফৌজিয়া ইয়াসমিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

https://mzamin.com/news.php?news=42327