১৮ এপ্রিল ২০১৭, মঙ্গলবার, ৭:৫১

বারাকাতের গবেষণা রিপোর্ট ও দেবী মূর্তি প্রসঙ্গ

|| গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ || একটা অশ্লীল কথা দিয়ে লেখাটা শুরু করতে হচ্ছে বলে পাঠক-পাঠিকাদের কাছ থেকে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কথাটি হিন্দু পুরানের কলিকালের বৈশিষ্ট্য নিয়ে। এতে বলা হয়েছে যে- কলি কালে ‘অমানুষ মানুষ হবে তেলি হবে পাল, নাপিত বৈদ্য হবে কে কাটিবে বাল’। হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় চুলকে বাল বলা হয়, বাংলা ভাষায় এটা অশ্লীল এবং অত্যন্ত লজ্জার কথা।
গত ৩০শে মার্চ বাংলা ট্রিবিউনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাতের একটি সাক্ষাৎকার পড়ে উপরোক্ত শ্লোকটি আমার মনে পড়লো। সাক্ষাৎকারটিতে আবুল বারাকাত বলেছেন যে, গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন গত ৪০ বছরে মৌলবাদের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে নিট মুনাফা হয়েছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। এর প্রায় ২০ শতাংশ বা ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সরাসরি বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে। এর একটা বড় অংশ ব্যয় হয়েছে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণে। এছাড়া কর্মীদের বেতন-ভাতা ও দৈনন্দিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায়ও একই পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে। তার ভাষায় বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা উগ্র রূপ ধারণ করেছে। এই সাম্প্রদায়িকতা ভেতরের ও বাইরের উভয় শক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতাভিত্তিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে প্রয়োগ করে সুসংগঠিত জঙ্গি কার্যক্রমের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন যে, মৌলবাদী জঙ্গিরা মাও সেতুং এর ন্যায় গ্রাম দখল করার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং এ বছর তারা ৪০০ গ্রামে এক সঙ্গে ইজতেমা করেছে। তাদের টার্গেট ২০১৭ সালের মধ্যে ২০ হাজার গ্রামে ইজতেমা করার। এভাবে অচিরেই পুরো দেশের গ্রাম তারা দখল করবে। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী মৌলবাদী অর্থনীতির উদ্যোক্তা হচ্ছে ‘ইসলাম’ নামাঙ্কিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী। এর পরিচালনাধীন রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টীমসহ ১৩২টি চিহ্নিত জঙ্গি সংগঠন। দলটির অন্য বাহুতে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকসহ মৌলবাদের অর্থনীতির ২৩১টি প্রতিষ্ঠান।
তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের অভিযোগকে প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করিয়ে বলেছেন যে, ঐ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ১৪৮টি অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। অস্ত্র প্রশিক্ষণে এগুলোতেই বহু অর্থ খরচ হয়। ইসলামী ব্যাংকের উপর তার সব ক্ষোভ যেন আছড়ে পড়েছে।
জনাব আবুল বারাকাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির একজন অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিরও সভাপতি ছিলেন। সমাজতান্ত্রিক একটি দেশ থেকে তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন এবং সবকিছুই একজন নাস্তিক সমাজতন্ত্রীর দৃষ্টিতেই দেখেন। মুসলমানদের তিনি মৌলবাদী ছাড়া আর কোন নামে আখ্যায়িত করতে পারেন না। সমাজতন্ত্রের পতনের পরও তিনি সমাজতান্ত্রিক আকিদা বিশ্বাস এবং চিন্তাধারাকে দুনিয়ার একমাত্র সত্য বলে মনে করেন এবং লেনিন যেমন বলতেন ‘God is the arch anemy of men’, তিনিও সরাসরি এ কথাটি না বললেও ইসলামকে মানুষের অনুসরণ অনুপযোগী একটি ধর্ম বলে মনে করেন না। তার দৃষ্টিতে ইসলামের নিয়ম-নীতি ও অবশ্য পালনীয় বিধি বিধানসমূহ যারা মেনে চলেন, আখেরাতে বিশ্বাস করেন, নামায-রোযা-হজ্ব-যাকাত ও জিহাদের বিধান মানেন, কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেন তারা মৌলবাদী এবং দুনিয়ার সর্বনিকৃষ্ট জীব। গবেষক হিসেবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর তালিকায় তিনি তৃতীয় শ্রেণীর। তিনি বাতাসের উপর ভর করে কথা বলেন এবং একটা মিথ্যাচারকে তার গবেষণালব্ধ অভিসন্ধর্ভ বলে চালিয়ে দেন। অথচ গবেষণা ও অর্থনীতি সম্পর্কে তার জ্ঞান অত্যন্ত স্থূল। আজ থেকে কয়েক বছর আগে ইসলামবিদ্বেষী পত্র-পত্রিকাসমূহে তার ‘মৌলবাদী অর্থনীতি’ সম্পর্কিত গবেষণা রিপোর্ট পড়ে তার সঙ্গে আমি যোগাযোগের চেষ্টা করি। তখন তিনি অর্থনীতি সমিতির সভাপতিও। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে তাকে পাওয়া যায়নি, অর্থনীতি সমিতিতে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে ধানমন্ডির একটি NGO অফিসে তাকে খুঁজে বের করি এবং তার গবেষণা রিপোর্টের একটি কপি মেহেরবানী করে আমাকে প্রদানের জন্য অনুরোধ করি। আমার আশা ছিল রিপোর্টে স্বাভাবিকভাবেই তার গবেষণার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, তথ্যের ধরন প্রকৃতি ও সংগ্রহ পদ্ধতি বিশ্লেষণ ও Rehability সম্পর্কে জানতে পারবো। তিনি আমাকে পরের দিন যোগাযোগ করবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু আর যোগাযোগ করেননি। আমি সপ্তাহ দুয়েক পরে স্বয়ং অর্থনীতি সমিতিতে গিয়ে তার সেক্রেটারির কাছ থেকে যা জেনেছি সেটা হচ্ছে “স্যার রিসার্সের কাজটি শুরুই করেননি, সেমিনারে যা পেশ করেছেন তা তার হাতের লেখা কিছু মন্তব্য মাত্র।” কথাটি শুনে আমি হতবাক হয়ে পড়েছি। মানুষকে বিভ্রান্ত করার কি ছলনা! এই ছলনার সুস্পষ্ট প্রমাণ পেলাম তার প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা সরকারি লোকদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাবার পর ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাখঢাক না করে পরিষ্কার ভাষায়ই বলেছেন যে, জঙ্গি অর্থায়ন অথবা জামায়াত থেকে অর্থ সরবরাহের মতো কোন ঘটনা ইসলামী ব্যাংকে ঘটেনি। তারা আরো বলেছেন যে, যোগ্য ও সৎ লোকের এতো বিশাল সমাবেশ ইসলামী ব্যাংকের ন্যায় দ্বিতীয় কোন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানে তারা দেখেননি। তাদের এই মন্তব্যে আবুল বারাকাতের মতো ব্যক্তিদের লজ্জা পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সাক্ষাৎকারের বক্তব্য থেকে তিনি লজ্জা পেয়েছেন বলে মনে হয় না। মৌলবাদীদের গ্রাম দখল, ইজতিমা অনুষ্ঠান, অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রভৃতিও তার একটি কল্পকাহিনী, বাস্তবতার সাথে এর সম্পর্ক নেই। তিনি রাষ্ট্রায়াত্ত একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির উন্নয়নের চেয়ে তার ধ্বংসে তার অবদান অনেক বেশি। কই পাঁচ বছর কাজ করেও তিনি তো ব্যাংকটি কর্তৃক তার মূলধন খাওয়া রোধ করতে পারলেন না। এটা হয়তো আমাদের দুর্ভাগ্য যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষায়তনের অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে আমরা তার গবেষণা ও অর্থ শাস্ত্রের উপর কোন পারদর্শিতা দেখতে পাইনি।
এক সময় আমি London School of Economics (LSE) এর ছাত্র ছিলাম। আশির দশকের প্রথম দিকে প্রথম প্রথম যখন সেখানে যাই এবং Orientation ক্লাসে যোগ দেই তখন ড. বটমলী নামক আমাদের এক শিক্ষক একটা তথ্য দিলেন। সেটি হচ্ছে LSE উপমহাদেশের শিক্ষার্থীদের একমাস পর্যন্ত অবজারবেশনে রাখেন। কেননা অর্থনীতি সম্পর্কে তাদের অনেকেরই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ধারণা থাকে না। তারা অনেকেই সমাজতন্ত্র বিভ্রান্ত হয়ে অর্থনীতির মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। অবজার্ভেশনের এক মাস তাদের লাইব্রেরি ওয়ার্ক করে মূল ধারায় ফিরে আসতে হয়। জনাব বারাকাত ঐ রকমের একটি বিভ্রান্তিতে ভুগছেন। জনাব বারাকাত বিভ্রান্তিমুক্ত হয়ে দেশের খেদমত করতে পারেন।
আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একটি শব্দ বেশি ব্যবহার করেন এবং তা হচ্ছেÑ রাবিশ। এই শব্দটি বারাকাত সাহেবের গবেষণা রিপোর্টের বেলায় সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। কেননা এই গবেষণার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, তথ্য ও উপাত্তের প্রকৃতি (Nature of data primary or secondary), methodology followed অথবা rehability test এর কোন পদ্ধতির উল্লেখ নেই। এ প্রেক্ষিতে সমাজে এর কোন মূল্যও নেই।
দেবী মূর্তি প্রসঙ্গ
প্রসঙ্গক্রমে উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন বোধ করছি। বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ এবং এখানে জনসংখ্যার শতকরা আট শতাংশ মাত্র হিন্দু ও মূর্তি পূজারী। পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখলাম আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং হাইকোর্ট/সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন সম্পর্কে কিছু জানেন না। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কে জানেন? প্রধান বিচারপতি কি বিষয়টি জানেন? কার অনুমতি নিয়ে সেখানে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে? আগে টেলিভিশন চ্যানেলসমূহে আদালত সংক্রান্ত কোন খবর পরিবেশনের সময় ন্যায় বিচারের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার ছবি প্রদর্শন করা হতো। এখন শুনছি দাঁড়িপাল্লার পরিবর্তে গ্রীক দেবীর মূর্তি দেখানো হয়। লোগো পরিবর্তনের এই কাজটিই বা কার অনুমতিতে হচ্ছে? বিষয়টি রহস্যজনক বলেই মনে হয়।
আমাদের হাইকোর্ট/সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ কোন খেলার মাঠ নয়, এখানে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা হয় না। প্রতি বছর মুসলমানদের দুই ঈদে এখানে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। মাঠটির কাঠামোও ঐভাবে তৈরি করা হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, মূর্তি স্থাপনের পর কোর্ট প্রাঙ্গণে কি ঈদের নামায পড়া হবে না? আর পড়া হলেও কি মূর্তি সামনে রেখে হবে যা ইসলামে হারাম। মূর্তি প্রতিষ্ঠার আয়োজকরা কি মনে করেন যে মূর্তিকে সামনে বা পাশে রেখে ঈদের নামায পড়ার ব্যবস্থা একবার চালু করে দিতে পারলে মুসল্লীরা আস্তে আস্তে মূর্তি সহনশীল হয়ে পড়বেন এবং পরবর্তীতে তাদের ঘরে মূর্তি ঢুকতেও অসুবিধা হবে না।
বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শত শত বছরের ট্রাডিশন। বাল্যকালে আমরা হিন্দু পরিবেষ্টিত এলাকায় বড় হয়েছি। আমাদের বাড়ির পূর্ব-পশ্চিম উভয় দিকেই ছিল হিন্দু বসতি এবং স্কুলও ছিল হিন্দু বাড়ির সামনে। হিন্দু বাড়ির প্রত্যেকটি পরিবারে নির্দিষ্ট আসনে তারা মূর্তি স্থাপন করে পূজা করতো। তাদের বাড়ির সামনে বটগাছের গোড়ায় কালিমূর্তি স্থাপন করেও তারা পূজা করতো। কিন্তু কখনো মুসলমানদের সাথে এ নিয়ে সংঘাত হতো না বা হয়নি। খেলার মাঠ, ঈদগাহ ময়দান অথবা পাবলিক প্লেসে তারা কখনো মূর্তি স্থাপন করেনি কিংবা মুসলমানদেরও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কোন কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করেছে। হিন্দু বাড়িতে সারারাত ঢাকঢোল বাজিয়ে পূজা কীর্তন হয়েছে মুসলমানরা আপত্তি করেনি। এটা আমাদের ধর্মীয় সহনশীলতার ঐতিহ্য। কিন্তু এখন পশ্চিম বাংলার বা অন্যান্য রাজ্যে আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা কি করছেন? মুসলমান পরিবারে রেফ্রিজারেটার বা ফ্রিজের মধ্যে গরুর গোশত থাকার সন্দেহে (গোশত গরুর কিনা সে সম্পর্কে নিঃসন্দেহ না হয়েও) নারী শিশুসহ মুসলিম পরিবারের সদস্যদের হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার বানাচ্ছে। আবার এখানে ঈগদাহ ময়দান হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন করে যারা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এবং আমাদের কালচার হিসেবে তাদের কাজকে ডিফেন্ড করছেন তাদের উদ্দেশ্য শুভ হতে পারে না।
মুসলিম দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের অনুভূতি উপলব্ধি করার জন্য অনুরোধ করবো। কয়েক মাস পরেই ঈদ আসছে। তার আগেই যেন দেবী মূর্তিটি উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নেয়া হয় এই বিষয়টি তিনি যেন নিশ্চিত করেন। এ কাজ করতে গেলে নিঃসন্দেহে কিছু লোক নাখোশ হবেন, তবে তাদের সংখ্যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সিকি শতাংশেরও কম হবে বলে আমার বিশ্বাস। মূর্তি আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। দেবী মূর্তির প্রতিষ্ঠা ছাড়াই আদালত প্রাঙ্গণ যদি কয়েকশ’ বছর ধরে সুন্দর থাকতে পারে নতুন করে তার প্রতিষ্ঠা তাকে আরো সুন্দর করতে পারবে না বরং মুসলিম মানসকে বিষাক্ত করেই তুলতে সহায়তা করবে। এটা আমাদের কাম্য হতে পারে না। শুধু হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ নয় সারা দেশে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ও স্থাপত্যের নামে মূর্তি প্রতিষ্ঠার যে প্রতিযোগিতা চলছে তারও অবসান হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

http://www.dailysangram.com/post/280207-