৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার, ১২:১১

খুলনায় আবারো বাড়লো দাম গ্যাস পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা

কয়েক দিনের ব্যবধানে দফায় দফায় বেড়েই চলছে সকল প্রকার এলপির (লিকুইড পেট্রোলিয়াম) দাম । সিলিন্ডার প্রতি বর্তমানে সব ধরণের গ্যাসের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সর্বনি¤েœ ১৬০০ টাকা। এমনকি অর্ডার দিয়ে গ্যাস পাচ্ছে না ডিলার ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। যে কারণে গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছে খুচরা গ্যাসের দোকানগুলোতে।

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মেসার্স আয়ুব এন্টার প্রাইজের মালিক মো. সাকিব হোসেন বলেন, গেল ১ সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা দোকানগুলোতে গ্যাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বড় ডিলার ব্যবসায়ীরা বলছে অর্ডার করলে কোম্পানিগুলো কোন গ্যাস দিচ্ছে না যে কারণে এখন সব ধরনের লিকুইড বোতলজাত গ্যাসের দাম ১৬০০ টাকা। ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে সামান্য দাম বেড়েছিল আমারা ১৩০০ টাকায় বিক্রি করছিলাম। তবে হঠাৎ চার থেকে পাচদিনে ব্যাবধানে গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম বেড়েছে তিনশত টাকা। আমরা খুচরা ব্যাবসায়ি যারা আছি যখন যে দামে সিলিন্ডার ক্রয় করি তার থেকে মাত্র পঞ্চাশ টাকা বেশি দামে বিক্রি করি এর মধ্যে যাতায়াত খরচ ও রয়েছে। পাশপাশি প্রকারভেদে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাসের দাম বেড়েছে। যেমন ওমেরা গ্যাসের দাম ১৫৫০ টাকা। যমুনা গ্যাসের দাম ১৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সেনা কল্যাণ গ্যাসের দাম ১৬০০ টাকা, ইউনিভার্সেল গ্যাসের বর্তমানে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকায়। তাছাড়া চট্রগ্রামের বিএম গ্যাসের দাম বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৬৩০ টাকা, লাফস গ্যাসের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫০ টাকা। ওরিয়ন গ্যাসের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫৭০ টাকা, নাভানা গ্যাসের বর্তমানে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫০ টাকা। এছাড়া পেট্রোম্যাক্স ১৫৫০ টাকা। গ্রীণ গ্যাস ১৬০০ টাকা মানে আগের তুলনায় সিল্ডিার প্রতি গ্যাসের দাম বেড়েছে তিনশত টাকা।
নগরীর বয়রা এলাকার বোতলজাত গ্যাসের ডিলার ব্যাবসায়ি আলিফ-মিম এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মো. মিজানুর বলেন, গেল কয়েকদিন যাবৎ গ্যাসের দাম দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। আমাদের কাছে সর্বনি¤েœ ২ হাজার বোতলজাত সিলিন্ডার গ্যাস থাকে অথচ এখন ২০০ ও গ্যাস নেই। এছাড়া ওরিয়ন গ্যাসের জন্য গেল তিনদিন যাবৎ অর্ডার করেছি এখন কোম্পানি ফোন করে বলেছে এখনও ১৮টি গাড়ীর সিরিয়াল আছে এরপর পাবেন। এর মানে এখন দুইদন পর আমাকে গ্যাস দিবে। যে কারণে বেড়েছে গাসের সঙ্কট। এছাড়া গেল ২৪ তারিখে গ্রীন গ্যাস কোম্পানিতে গ্যাসের জন্য সিরিয়াল দিলেও এখনও কোন সাড়া দেয়নি। কোম্পানি বলছে গ্যাসের আমদানি কম।

ভুক্তভোগী ওষূধ কোম্পানির প্রতিনিধি মো. বাপ্পি বলেন, হঠাৎ করে গ্যাসের দাম বেছে বোতল প্রতি ৩০০ টাকা করে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি হলেও স্থিতিশীল ছিল রান্নার কাজে ব্যবহৃত লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। তবে হঠাৎ কয়েক দিনের ব্যবধানে এ পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়াতে সমস্যায় পড়েছি। কারণ বাসা ভাড়া বিদ্যুৎ বিলসহ সংসারে বিভিন্ন খরচ আছে তাপরপর ও মাসে দুইটা সিলিন্ডার ক্রয় করতে হচ্ছে সব মিলিয়ে আমরা নি¤œ আয়ের মানুষেরা ভাল নেই।

খালিশপুর গোয়ালখালী জাহাজের মোড় এলাকায় চায়ের দোকানদার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গ্যাস নেই বলে চায়ের ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এমনকি ১৫০০ টাকা দাম হলেও যেখান থেকে কিনি সেখানে গ্যাস সঙ্কট।

এ ব্যাপারে খুলনা জাতীয় ভোক্তা অধিাকারের উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, হঠাৎ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণ কি বলতে পারবোনা। বিষয়টি নিয়ে আজও ডিজি স্যার এর সাথে মিটিং করেছি। আজ থেকে আমরা তদন্ত করব পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা হবে।

https://dailysangram.com/post/515553