৩১ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ১:৩১

অযৌক্তিকভাবে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয়?

গ্রেপ্তার আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর ক্ষেত্রে নীতিমালা করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জানাজায় হাজির করার সময় ডাণ্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা ও তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, কারা মহাপরিদর্শক, গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার ওসি এবং শরীয়তপুর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট মাহমুদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে মায়ের জানাজায় হাজির করার ঘটনার শুনানিতে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন। জনমনে ভীতি সঞ্চার করার জন্য বিএনপি’র দুই নেতা আলী আজম ও সেলিম রেজাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে মায়ের জানাজায় হাজির করা হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এটা করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ অন্যায় ও আইন বহির্ভূতভাবে এটা করা হয়েছে, এটা অমানবিক। আমাদের সংবিধানও এটা সমর্থন করে না। এর আগে গাজীপুর ও শরীয়তপুরে বিএনপি’র দুই নেতা আলী আজম ও সেলিম রেজাকে কারাগার থেকে মায়ের জানাজায় ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করার ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন কায়সার কামাল। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজীপুরে একজন আসামি ডাণ্ডাবেড়ি পরিহিত অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়াচ্ছেন। তার পরপরই গত ১৭ই জানুয়ারি ছবিসহ আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানেও দেখা যায়, শরীয়তপুরে আরেকজন আসামি একইভাবে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়াচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যেই একজন আইনজীবীসহ কয়েকজনকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে ঢাকা কোর্টে আনা হয়।

https://mzamin.com/news.php?news=40805