২৯ জানুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ৫:৪০

সেচনির্ভর বোরো চাষে বিদ্যুৎ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা কৃষকের

আমনের পর বোরো ধানের আবাদের মওসুম শুরু হয়েছে। তবে রাজশাহীতে সম্পূর্ণ সেচনির্ভর এই বোরো চাষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন কৃষকেরা। এই জেলায় এবার ১ লাখ ৬১ হাজার একর জমিতে বোরোর আবাদ হবে।

জানা গেছে, আমন ধান কাটার পর এক মাস আগে থেকে বোরো চারা রোপণের প্রস্তুতি শুরু হয়। জমি প্রস্তুত করার পর এখন চারা রোপণের কাজ চলছে। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। কিন্তু শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকে। ফলে এমন লোডশেডিং নিয়ে চিন্তিত বোরো চাষিরা। এ ধরনের লোডশেডিং দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে বোরো উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট ১ লাখ ৬১ হাজার একর জমি বোরো আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক দশমাংশের বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো চারা রোপণ করা হয়েছে এবং বাকি জমিতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রোপণ করা হবে। যেহেতু বোরো আবাদ মূলত ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল, তাই তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার কৃষকরা উৎপাদন নিয়ে চিন্তিত।

নেসকো রাজশাহী অঞ্চলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, রাজশাহী বিভাগে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ২৫০ থেকে ২৬০ মেগাওয়াট। তবে সরবরাহে ঘাটতি থাকছেই। বোরোর পিক সিজনে এই ঘাটতি আরো বেড়ে যাবে। তখন সেচযন্ত্রগুলো চালু রাখা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যাবে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, কৃষকরা বোরো চাষের জন্য জমি তৈরিতে ব্যস্ত এবং এলাকার প্রায় সব জমিই গভীর নলকূপের পানির ওপর নির্ভরশীল।

গোদাগাড়ীর একজন কৃষক জানান, তারা বৈদ্যুতিক চালিত পাম্প দিয়ে তাদের ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে তাদের এলাকায় দীর্ঘ লোডশেডিং থাকায় তারা বোরো চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারেনি। চলতি মৌসুমের শুরুতে এমনকি শীতকালেও যদি লোডশেডিং হয়, তাহলে পরবর্তীতে কী হবে তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। একই উপজেলার আরেক কৃষক জানান, আমন কাটার পর তিনি তার তিন বিঘা জমিতে বোরোর চারা রোপণ করেছেন। তবে এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে জমি শুকিয়ে যাবে এবং সেচের পানির অভাবে ধানের চারা উঠবে না।

https://dailysangram.com/post/515064