২৮ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার, ৬:৫৬

নতুন দর তালিকায় খরচ হাজার কোটি

নির্ধারিত মেয়াদে ও রেট সিডিউলে শেষ হয় না দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সিংহভাগই। মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে সাথে চলে আসে নতুন রেট শিডিউলের প্রশ্ন। ফলে নতুন দরের কারণে বেড়ে যাচ্ছে খরচ। তেমনি ঘটনা ঘটেছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট যশোর, কক্সবাজার, পাবনা ও আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ এবং জননেতা নূরুল হক আধুনিক হসপিটাল ও এনসিলারি ভবন স্থাপন প্রকল্পে। নির্ধারিত ২০২১ সালের জুনে শেষ না করার কারণে এখন ব্যয় ও সময় দ্বিগুণ বাড়ছে। খরচ এক হাজার ৫৪ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে চারটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং অ্যানাসিলারি ভবন স্থাপন, মানুষের জীবন ব্যবস্থায় মানোন্নয়নে সরকার প্রকল্প নেয়। ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট যশোর, কক্সবাজার, পাবনা ও আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ এবং জননেতা নূরুল হক আধুনিক হসপিটাল ও এনসিলারি ভবন স্থাপনের জন্য ২০১৮ সালে প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। তিন বছরে বাস্তবায়নের জন্য এই প্রকল্পের খরচ অনুমোদন করা হয় দুই হাজার ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। কিন্তু নির্ধারিত ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প সমাপ্ত হয়নি। ফলে ব্যয় এক হাজার ৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফলে নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় তিন হাজার ১৫৭ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায় উন্নীত হচ্ছে। আর মেয়াদ বেড়ে হচ্ছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ ছয় বছর। এই খরচের মধ্যে ভারতীয় এলওসি ঋণের এক হাজার ৪৪০ কোটি টাকা রয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের ডিপিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলছে, গণপূর্ত অধিদফতরের রেট শিডিউল ২০২২ এর আলোকে এখন ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। সে আলোকে সংশোধিত ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে। মূল প্রকল্পটি ২০১৭ সালের রেট শিডিউল ধরে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/723620