২৭ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার, ৬:১৯

লোড শেডিং আরো বেড়েছে

সারা দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকার কারণে এক হাজারের বেশি মেগাওয়াট লোড শেডিং হয়েছে, যা আগের দিন বুধবারের দ্বিগুণ।
সারা দেশের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণে থাকা ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টারের (এনএলডিসি) গত দুই দিনের শিডিউল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কারণে গত বুধবারের তুলনায় গতকাল দ্বিগুণ লোড শেডিং দিতে হয়েছে বিতরণ কম্পানিগুলোকে।

প্রতিষ্ঠানটির গতকাল দুপুরের শিডিউলে দেখা গেছে, সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৬০৩ মেগাওয়াট, সরবরাহ করা হয় আট হাজার ৪৩০ মেগাওয়াট। এ সময় লোড শেডিং ছিল এক হাজার ১৭৩ মেগাওয়াট।

গত বুধবার দুপুরে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৩৮১ মেগাওয়াট, সরবরাহ করা হয় আট হাজার ৮১৭ মেগাওয়াট। লোড শেডিং ছিল ৫৬৪ মেগাওয়াট।
গতকাল ময়মনসিংহের গৌরীপুর এলাকায় গড়ে ছয় থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিং ছিল। গৌরীপুরের বাসিন্দা হান্নান আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা করে লোড শেডিং হচ্ছে আমাদের এলাকায়। কিছুদিন পর পাম্পের মাধ্যমে জমিতে পানি দিতে হবে, এভাবে যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’

দেশের সবচেয়ে বড় বিতরণ কম্পানি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দায়িত্বরত কর্মকর্তারা লোড শেডিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আরইবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। এতে আমাদের বিতরণ এলাকায় লোড শেডিং করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানির অভাবে রামপালসহ বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এতে সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কমেছে। ফলে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে লোড শেডিং করা হচ্ছে। তবে এ সংকট খুব দ্রুতই কেটে যাবে বলেও বিপিডিবির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।

https://www.kalerkantho.com/online/national/2023/01/27/1237416