৯ জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার, ১২:২৭

বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি। গতকাল রোববার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়। সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটোরিয়ামে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ১ টাকা ১০ পয়সা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। এতে কিলোওয়াট প্রতি দাম আগের ৭ দশমিক ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ২৩ টাকায় দাঁড়াবে। গড়ে দাম বৃদ্ধি পাবে ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পর কিলোওয়াট প্রতি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ট্যারিফ মূল্য হয়েছিল গড়ে ৭.৫৬ টাকা। এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৬.৬৫ টাকা, ডিপিডিসি ৮.০৮ টাকা, ডেসকো ৮.১ টাকা, ওজোপাডিকো ৭.৩৫ টাকা এবং নেসকোর ৭.০৬ টাকা দাঁড়িয়েছিল। যার গড় দাঁড়ায় ৭.১৩ টাকা।

বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের খুচরা ট্যারিফ ৮.৭৪ টাকা, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের ক্ষেত্রে ৭.৬৩ টাকা, ডিপিডিসির ক্ষেত্রে ৯.৪৩ টাকা, ডেসকোর ক্ষেত্রে ৯.৪১ টাকা, ওজোপাডিকোর ক্ষেত্রে ৮.৫৪ টাকা এবং নেসকোর ক্ষেত্রে ৮.১৬ টাকা নির্ধারণ করার সুপারিশ করে।

শুনানিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের প্রস্তাবে জানায়, দাম না বাড়ালে তাদের ক্ষতি হবে ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। একইভাবে পিডিবি ২৩৪ কোটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ১ হাজার ৫৫১ কোটি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা, নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ৫৩৫ কোটি টাকা লোকসান হবে বলে জানায়। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কোনো আর্থিক অঙ্ক দাঁড় না করালেও বলেছে দাম না বাড়ালে তাদেরও ক্ষতি হবে।

গত বছরের নভেম্বরে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর ঘোষণার পরই খুচরায় দাম বাড়াতে আবেদন করে বিতরণ সংস্থাগুলো। সেসব আবেদন কারিগরি কমিটিতে মূল্যায়ন শেষে তা গণশুনানিতে আসে। ভর্তুকি কমাতে গত ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।

সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সব পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। সে সময় পাইকারিতে দাম ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহক বা খুচরা পর্যায়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়।


https://www.dailynayadiganta.com/first-page/719070