৮ জানুয়ারি ২০২৩, রবিবার, ৯:৩০

১৯৯৪-৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলন ছিল সহিংস : এবারের আন্দোলন অহিংস

আসিফ আরসালান

আজ ৮ ডিসেম্বও রোববার। আগামী ১১ ডিসেম্বর বুধবার সবগুলো বিভাগীয় শহরে বিএনপি জামায়াতসহ যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দল ও জোটগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচী পালিত হবে। এ পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বে সরকার বিরোধী তথা সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে যারা শরিক হয়েছেন তাদের সংখ্যা ছিল ৩২। কিন্তু এর মধ্যে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে গণফোরাম এবং ৫ টি বাম দল মিলে বাম দলীয় জোট এই যুগপৎ আন্দোলনে শরিক হয়েছে। ফলে যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের সংখ্যা এখন ৩৪। অবশ্য অনেকে বলেন যে এই ৩৪ টি জোট বা দলের অনেকেই নামকাওয়াস্তে দল। আবার অনেকে বলেন প্যাড সর্বস্ব দল। এছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে শরিক না হলেও সরকার পতনের আন্দোলনে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে আন্দোলন করছে সিপিবি বা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন বাম জোট। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে দেশের সমস্ত বিরোধী দল, সেটি তাদের সংখ্যা বা শক্তি যাই হোক না কেন, সকলেই এই সরকারের অপসারণের আন্দোলন তথা তাদের পদত্যাগ ও নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বা কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে একমত হয়েছে। অন্যকথায়, দেশের অন্তত ৯৫ শতাংশ জনগণকে প্রতিনিধিত্বকারী এই ৩৪ টি দল এই সরকারকে হটানোর জন্য রাজপথে নেমে এসেছেন। এটি দেশের জনগণের জন্য যেমন অত্যন্ত উদ্দীপনাময়, তেমনি বিদেশীরাও দেখছেন যে শাসক দল আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ জনসমর্থন বিবর্জিত হয়ে একঘরে হয়ে পড়েছে। তাদের সাথে যারা আছে সেই মেনন এবং ইনুর দলকে খুঁজতে গেলে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখতে হবে। আর জাতীয় পার্টির কথা? এটি তো এখন জনগণের কাছে উপহাসের পাত্র।

একথা ঠিক যে দেশের ৯৫ শতাংশ জনগণের প্রতনিধিত্বকারী ৩৪ টি দল ও জোট রাজপথে নেমেছে। কিন্তু তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য কিভাবে অর্জিত হবে সেটি কিন্তু এই ৩৪ টি দলের নেতৃত্বদানকারী বিএনপি বা গণতন্ত্র মঞ্চ পরিষ্কার করেনি। নেতৃত্বদানকারী ৩৪ টি দল বা জোটের মধ্যে আমরা দুইটি দল ও জোটের নাম উল্লেখ করেছি। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও আমরা জামায়াতে ইসলামীর নাম করিনি। কারণ বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতকে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি। এটি সম্ভবত বিএনপির কৌশলগত দিক। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের কর্মসূচীতে দেখা গেছে যে বৃহত্তম গণমিছিল ছিল বিএনপির। দ্বিতীয় বৃহত্তম গণমিছিল ছিল জামায়াতে ইসলামীর।

তো যে কথা বলছিলাম। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চ বা অন্যেরা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে আন্দোলনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রকাশ করেনি। একটি বিষয় সমস্ত মহলের কাছে অত্যন্ত পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। সেটি হলো, এবারে বিরোধী দল যে আন্দোলন করছে, ১৯৯৪, ৯৫ এবং ৯৬ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় পার্টি একই আন্দোলন করেছে। তখন এই তিনটি দল ছিল বিরোধী দল। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনা ছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী। এগুলো ২৬ থেকে ২৮ বছর আগের ঘটনা। ঐ ২৬ বছর আগের আন্দোলনও ছিল ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ জামায়াত ও জাতীয় পার্টির আন্দোলন। তখন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে যা বলেছিল আজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হুবহু সেই কথাগুলোই বলছে। সেদিন বিরোধী দল হিসাবে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে যেসব কথা বলেছেন আজ বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলসমূহ হুবহু সেই সব কথাই বলছেন। সেজন্যই ২৬ বছর আগে তৎকালীন বিরোধী দলের আন্দোলনের পদক্ষেপগুলো কি ছিল সেসম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য আসুন আমরা ২৬ বছর পেছনে ফিরে যাই।

বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা আবারও চালু হওয়ার পর থেকে মোটামুটি স্থিতিশীলই ছিল দেশের রাজনৈতিক অবস্থা। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় মাগুরা-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে। মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালের ২০ মার্চ। কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি এবং জালিয়াতি হয়েছে এমন অভিযোগ উত্থাপন করে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশ নেয়নি আওয়ামী লীগ। ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার জন্য ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সরকার ছিল তাদের অবস্থানে অনড়।
এখানে সেদিনের আন্দোলনের সাথে বর্তমানের আন্দোলনের রয়েছে একটি ফারাক। সেটি হলো, তৎকালীন বিরোধী দল ও অন্যান্য দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার জন্য ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকে শুরু করে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপি সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়। কিন্তু তৎকালীন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে না নেয়ার ব্যাপারে ছিল অটল। কিন্তু বর্তমানে বিএনপিসহ ৩৪ দলীয় দল ও জোট এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারকে কোনো আল্টিমেটাম দেয়নি। ভবিষ্যতে দেবে কিনা সেটাও এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। হয়তো হতে পারে যে আন্দোলনের কৌশল হিসাবে সব কিছু এখন প্রকাশ করা ঠিক হবে না বলে তারা মনে করছেন।

২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তৎকালীন বিএনপি সরকার দাবি না মানায় পরদিন অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় পার্টির ১৪৭ জন সদস্য জাতীয় সংসদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করেন। এবারের আন্দোলনে বিএনপির ৭ জন সদস্য জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু ঐ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার শেখ আব্দুর রাজ্জাক তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। বরং তিনি তাদের পদত্যাগ সংবিধান সম্মত হয়েছে কিনা সেসম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সংবিধানের ১০৬ ধারা মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টে রেফার করেন। সুপ্রিম কোর্ট তাদের আসন শূন্য ঘোষণা করেন। তারপরেও বিএনপি তথা স্পিকার অপেক্ষা করেন পরবর্তী ৯০ টি কার্যদিবসের জন্য। ৯০ টি কার্যদিবসেও যখন তারা অনুপস্থিত থাকেন তখন সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ১৯৯৫ সালের ৩১ জুলাই ঐ সমস্ত সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।

আসন শূন্য হওয়ার পর সবগুলি আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা দেয় সরকার তথা নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলসমূহ ঐসব উপনির্বাচন বর্জন করে এবং টানা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী পালন করে। আন্দোলনের এই জায়গাতেও ২৬ বছর আগের আন্দোলনের সাথে বর্তমানের আন্দোলনের কিছুটা বেমিল দেখা যায়। তখন পদত্যাগী বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগপত্র গ্রহণে বিলম্ব করা হয়েছিল প্রায় ৮ মাস। কিন্তু এবার ৭ জন বিএনপি সদস্য পদত্যাগপত্র দাখিলের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ঐসব পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। আগামী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঐসব শূন্য আসনে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিএনপি এবং তার মিত্ররা এখন পর্যন্ত হরতাল ও অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করেনি। করবে কিনা সেটি এখনও জানা যায়নি। ২৬ বছর আগের আন্দোলন এবং তার সফলতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে বর্তমান আন্দোলনের সফলতার জন্য সঠিক কৌশল নির্ধারণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ঐ আড়াই বছরের আন্দোলন সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পেতে গেলেও একটি কলাম নয়, বেশ কয়েকটি কলাম লিখতে হবে। আমার ইচ্ছা আছে, আগামীতে দৈনিক সংগ্রামের সম্মানিত পাঠক ভাইদের জন্য এসম্পর্কে আরো কয়েকটি কলাম লিখবো ইনশাআল্লাহ।

আজকে ঐ আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয় যে বিরোধী দল তখন এমন প্রবল হরতাল এবং অবরোধ শুরু করে যে জনজীবন এবং অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তারপরেও সরকার এবং বিরোধী দল নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকে। ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচী হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই রাজপথের আন্দোলন ছিল প্রায় সর্বাংশে সহিংস। প্রবল আন্দোলন এবং সহিংসতার মুখে ১৯৯৫ সালের ২৪ নভেম্বর ৫ম জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়া হলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এখানে যে সত্যটি সুধী সমাজ এবং গণমাধ্যম চেপে যায় সেটি হচ্ছে এই যে ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ এক সাথে আন্দোলন করে। ‘প্রতিচিন্তা’ ম্যাগাজিনে ৩রা এপ্রিল ২০১৭ সালে মরহুম সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান লিখেছিলেন যে প্রথমবারের মতো অনির্বাচিত ব্যক্তি সমন্বয়ে ‘তত্ত্বাবধায়ক’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলেছিল জামায়াতে ইসলামী। দলটির মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রামকে উদ্ধৃত করে তিনি লেখেন, ১৯৮৩ সালে জামায়াত এক জনসভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ফর্মুলা দিয়েছিল।

রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে এই সংহিংস আন্দোলনের ফলে যে স্থবিরতা দেখা দেয় সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেলের বিশেষ দূত হিসেবে মধ্যস্থতা করার জন্য ঢাকায় আসেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন গভর্নর জেনারেল স্যার নিনিয়ান স্টিফেনস। বেশ কিছুদিন ঢাকা অবস্থান করে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সুধী সমাজের সাথে বিরামহীন বৈঠক করেন। তিনি ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি জাতীয় সরকার গঠনেরও প্রস্তাব দেন। এই সরকারে থাকবে সরকার ও বিরোধী দল থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি। আর থাকবেন একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি আওয়ামী লীগ স্যার নিনিয়ানের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ অবলম্বনের অভিযোগও করে। এই পটভূমিতে স্যার নিনিয়ান স্টিফেনস অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান। বিদেশীদের মধ্যস্থতার আরো কয়েকটি ঘটনা রয়েছে। কিন্তু আজকের এই লেখায় সেগুলোর স্থান সংকুলান হবে না। তবে আমি পরবর্তী কলামগুলোতে বিদেশী মধ্যস্থতা সম্পর্কে আরো কিছু লেখার আশা করি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তৎকালীন বিএনপি সরকার জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয় এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণা করে। বর্তমান আন্দোলনে বিদেশী মধ্যস্থতার কোনো সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না। আর আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করবেন এমন কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।

যাই হোক, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেটি ছিল একতরফা নির্বাচন। ঐ নির্বাচনে বিএনপি ২৮৯ টি আসন পায়। অতঃপর বিএনপিই জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল উত্থাপন করে এবং সেটি পাশ হয়। এই বিলটি আমাদের সংবিধানে ৫৮ নং অনুচ্ছেদ হিসাবে সংযোজিত হয় এবং ত্রয়োদশ বা ১৩ নং সংশোধনী হিসাবে আখ্যায়িত হয়।
তারপরেও আওয়ামী লীগ ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা হরতাল এবং অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচী চালিয়ে যায়। এরফলে মার্চ মাসে বেগম জিয়ার সরকার পদত্যাগ করেন এবং প্রধান বিচারপতি মরহুম হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করেন।

আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে যে সহিংস আন্দোলন শুরু করে সেখানে তৎকালীন মেয়র হানিফের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের সামনে রাজপথের ওপর একটি মঞ্চ বানানো হয়। এই মঞ্চটির নাম দেয়া হয় জনতার মঞ্চ। জনতার মঞ্চে আন্দোলন শুরু করেন সচিবালয়ের সচিব থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর অফিসার এবং কর্মচারী। তাদের আন্দোলনও সচিবালয়ের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। জনতার মঞ্চ নিয়েও আমি স্বতন্ত্র একটি কলাম লেখার আশা করি।

এই ছিল অতি সংক্ষেপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলনের শুরু এবং শেষ। এই বিষয়গুলি আজ বিরোধী দল সমূহের বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। যে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের হাতেই সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে হত্যা করা হয়েছে।

Email: asifarsalan15@gmail.com