৩ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:৫৯

সবজি ছাড়া নিত্যপণ্যে স্বস্তি নেই


নতুন বছরে নতুন করে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। গত সপ্তাহে ১২৫ টাকায় বিক্রি হওয়া খোলা পাম তেল এই সপ্তাহে ১৩০ থেকে ১৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯১০ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ৯০৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, খোলা তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১ হাজার টাকা বেড়েছে। শীতে আমদানি কম থাকার কারণে তেলের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির এজেন্টরা। তেলের মতোই আটাসহ অনেক পণ্যের দাম চড়া। বিদায়ী বছরে নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস উঠেছিল সাধারণ মানুষের। এমন অবস্থায় নতুন বছরে নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সবজি ছাড়া অন্যসব নিত্যপণ্যের দামে কোনো সুখবর নেই।
গত সপ্তাহে ৬২ টাকায় বিক্রি হওয়া খোলা আটার দাম বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছে। আটার দাম বাড়লেও কেজিতে ২ টাকা কমেছে ময়দার দাম।

ওদিকে ফার্মের ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া লাল ডিম ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে জিরা ও দারুচিনিও। এরমধ্যে জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫১০ থেকে ৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০ থেকে ৫৭০ টাকা। দারুচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি ও মসুর ডাল।
বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমনের মোটা চাল বাজারে এসেছে। ফলে এখন চালের সরবরাহ ভালো। এ কারণে মোটা চালের দাম কমেছে। স্বর্ণা জাতের চাল আগে প্রতিকেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো, সেটা এখন ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চিকন চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

একইসঙ্গে বাজারে নতুন পিয়াজ ওঠায় দাম কমেছে। নতুন পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। তাতে কমে এসেছে আমদানি ও পুরোনো দেশি পিয়াজের দামও। সেগুলো এখন কেজিতে ৫ টাকা কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে আদার দাম। আগের সপ্তাহে ৯০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া আদা এ সপ্তাহে ১১০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশি রসুনের দাম কমলেও আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ১০০ টাকা। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়, আগের সপ্তাহে এই রসুনের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

শীতের বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় সবধরনের সবজির দাম কমেছে। সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝারি আকারের প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ২০ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ টাকা, নতুন আলুর কেজি ২০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, করলার কেজি মানভেদে ৬০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা ও ধুন্দুলের কেজি ৫০ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে।


https://mzamin.com/news.php?news=36702