২০ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৫

ডাবল ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনার হানা শঙ্কা বাড়াচ্ছে

#শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের বেশি
# আরও ১০ জেলা করোনার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ

দেশে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হচ্ছেন ৪৭ শতাংশ। এদের সবার নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি দেখা গেছে। ডেল্টা সংক্রমিত হলেও মাত্র পাঁচ শতাংশ কোভিড-১৯ আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কমেছে মৃত্যুহারও। দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হলেও মাত্র তিন শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন। যাদের কোমর্বিডিটি আছে তাদের মাঝে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ডেল্টার ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত জনসংখ্যার মাত্র তিন শতাংশকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ৫৯০টি কোভিড-১৯ সংক্রমিত নমুনার মেটাডাটা বিশ্লেষণ করে এই পরিসংখ্যান পাওয়া যায়।

গবেষণায় দেখা যায়, দেশে ২০২০ সালের জুলাই থেকে নবেম্বর মাসে ৮৬৭টি নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে শুধুমাত্র একটি বেটার ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি দেখা যায়। বাকি ৮৬৬ নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা যায় ডেল্টা। এই সময়ে দেখা যায়, অণ.১২৭ লিনিয়েজের উপস্থিতি প্রভাব ফেলে। তবে কোনো ইউনিক ভ্যারিয়েন্ট এ সময়ে দেশে দেখা যায়নি। এই নমুনাগুলোর মাঝে ডেল্টা সংক্রমিত ৫৯০টি নমুনার মেটাডাটা বিশ্লেষণ করা হয়।

২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত সংগ্রহ করা এসব নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ের সবগুলোতেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এই ৫৯০ জনের ভ্যাকসিন নেওয়ার তথ্য, হাসপাতালে ভর্তির তথ্য ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত থাকার ইতিহাস পর্যালোচনা করা হয় এ গবেষণায়। তবে এই গবেষণায় ডেল্টার কোনো সুনির্দিষ্ট লিনিয়েজের বিষয়ে জানা যায় নাই।

দেশে গেল বছরের জুলাই মাস থেকে নবেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা ৫৯০টি নমুনার বিশ্লেষণ করে তাতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি দেখা যায়। এদের মাঝে পুরুষের সংখ্যা ৩০৭ যা মোট নমুনার ৫২ শতাংশ।
বয়সসীমা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিতদের বয়স ৩৬ বছর থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। এই বয়সসীমায় ২৮৭ জনের মাঝে ডেল্টা সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে।
দেখা যায়, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সসীমার ৩৩ শতাংশের কোভিড-১৯ নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। ৫৯০ জনের মাঝে ১৯৪ জনের কোভিড-১৯ নমুনা বিশ্লেষণ করে এই পরিসংখ্যান দেখা যায়।

এছাড়াও ৫৫টি নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে ডেল্টার সংক্রমণ শনাক্ত হয় যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। ৫৪টি নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এই দুই বয়সসীমাতেই ৯ শতাংশ হারে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। দেশে গেল বছরের জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা ৫৯০টি নমুনার বিশ্লেষণ করে তাতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি দেখা যায়।

সংক্রমিতদের মাঝে সর্বাধিক ৩৫ শতাংশ বা ১৬৭ জনকে পাওয়া যায় যাদের রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ। ও পজিটিভ রক্তের গ্রুপে ১৬০ জন বা ৩৪ শতাংশকে পাওয়া যায় ডেল্টা সংক্রমিত। সংক্রমিতদের মাঝে ২০ শতাংশ বা ৯৩ জনকে পাওয়া যায় যাদের রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। এবি পজিটিভ রক্তের গ্রুপে ৩৬ জন বা ৮ শতাংশকে পাওয়া যায় ডেল্টা সংক্রমিত।

এছাড়াও যাদের মাঝে ডেল্টার সংক্রমণ পাওয়া যায় তাদের মধ্যে এ নেগেটিভ রক্তের গ্রুপে পাঁচ জন বা এক শতাংশ, বি নেগেটিভ রক্তের গ্রুপের তিনজন বা এক শতাংশ, ও নেগেটিভ রক্তের গ্রুপের সাতজন বা এক শতাংশ, এবি নেগেটিভ রক্তের গ্রুপের তিনজন বা এক শতাংশ।

জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা ৫৯০ টি নমুনার বিশ্লেষণ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি দেখা যায়। এর মাঝে ১০১ জন বা ১৭ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। সংক্রমিতদের মাঝে ৯৭ জন বা ১৬ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। অ্যাজমায় ভুগছিলেন ৩০ জন বা পাঁচ শতাংশ ডেল্টা আক্রান্ত। গবেষণায় ৫৯০ জনের মাঝে ৪৫ জন বা আট শতাংশের ধূমপান করার তথ্য জানা যায় যাদের কোভিড-১৯ নমুনায় ডেল্টা শনাক্ত হয়।

গেল বছরের জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা ৫৯০ টি নমুনার বিশ্লেষণ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি দেখা যায়। এর মাঝে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন ৩৫৩ জন বা ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ তারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পরে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়। দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পরে ২৭৬ জন বা ৪৭ শতাংশ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয় যাদের নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে ডেল্টার উপস্থিতি পাওয়া যায়।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কোভিড-১৯ এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হলেও মাত্র ৩২ জন বা পাঁচ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এর মাঝে মাত্র একজনকে (.২ শতাংশ) দেখা যায় ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও সংক্রমিত হলেও তার অন্যান্য অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস ছিল।

গেল বছরের জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা ৫৯০ টি নমুনার বিশ্লেষণ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি দেখা যায়। এই ৫৯০ জনের মাঝে ৭৭ জন বা ১৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এর মাঝে দেখা যায় ১৬ জন বা তিন শতাংশ আগে থেকেই অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। এর মাঝে ১৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, মেটাডাটা হচ্ছে গবেষণার বিষয় আর এতে কিছুটা সময় লাগাটা বিশ্বের যে কোনো স্থানের মতন বাংলাদেশেও স্বাভাবিক। এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, আমরা সবাইকে প্রথম থেকেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে, এখনো আহ্বান জানাই। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মৃত্যুঝুঁকি কমে আসে অনেকক্ষেত্রে যা আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি। এখানে যাদের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে তারা কোনো না কোনো ভ্যাকসিন নিয়েছিল। আর তাই এ ক্ষেত্রে কোন ভ্যাকসিন ভালো বা কোন ভ্যাকসিন কার্যকর তা ভাবার প্রয়োজন নেই। সব ভ্যাকসিনেই মৃত্যুঝুঁকি কমাবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেনো সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। দেশে বর্তমানে ভ্যাকসিন প্রয়োগ চলছে। সবাইকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি যদি মানা হয় তবে ভ্যারিয়েন্টের পক্ষে মানুষকে সংক্রমিত করা সম্ভব না। কিন্তু সেটা না করে ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভাবাটা আসলে ঠিক না। ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেনো কোভিড-১৯ এর ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন কিন্তু একই থাকবে। আর তাই সবাইকে সচেতন হয়ে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান অধ্যাপক ডা. এ এস এম আলমগীর।

এদিকে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে দেশে গত এক দিনে আরও ৯ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত বছরের ১২ অগাস্ট, সেদিন ১০ হাজার ১২৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। বুধবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ১১ শতাংশে, যার মানে হল, প্রতি চারজনের নমুনা পরীক্ষায় একজন কোভিড রোগী পাওয়া গেছে
দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই হার গতবছরের ১৩ অগাস্টের পর সর্বোচ্চ। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৪০৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। সে হিসাবে গত একদিনে রোগী বেড়েছে ১ হাজার ৯৩ জন, যা আগের দিনের চেয়ে ১৩ শতাংশের বেশি। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৪৭৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।

এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ৮৫০ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৮৪৫ জন। ১০ জানুয়ারি ছিল ১৬ হাজার ৭১৩ জন হয়। মহামারীর বছর গড়ানোর পর ডেল্টার দাপটে বাংলাদেশে দিনে রোগী শনাক্তের হার ৩২ শতাংশে উঠেছিল ২০২১ সালে। তবে এরপর সংক্রমণের হার কমতে কমতে নেমেছিল ২ শতাংশের নিচে।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রনের ত্রাস। জানুয়ারির শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ১২ জানুয়ারি যেখানে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজারের নিচে ছিল, সাত দিনের মাথায় তা বেড়ে তিন গুণের বেশি হল।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক আহমেদ মনে করেন, একদিনে ৩০ থেকে ৫০ হাজার রোগী শনাক্তেরও আশঙ্কা আছে, যদি যথেষ্ট পরিমাণে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের মধ্যে গতবছর অগাস্টে এক দিনে ৫০ হাজারের বেশি নমুনাও পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানেব গত এক দিনে পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ হাজারের মত।

সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় দেশের জেলাগুলোকে উচ্চ, মাঝারি ও স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ভাগ করে যথাক্রমে রেড বা লাল, ইয়েলো বা হলুদ ও গ্রিন বা সবুজ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ ১২ জেলাকে উচ্চ ঝুঁকির লাল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর মাঝারি ঝুঁকির হলুদ এলাকায় রয়েছে ৩১ জেলা গত এক দিনে যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ১০ জন পুরুষ, ২ জন নারী। তাদের ৮ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন খুলনা রাজশাহী এবং ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

তাদের মধ্যে ৬ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল। আটজন সরকারি হাসপাতালে, তিনজন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১২ জানুয়ারি তা ১৬ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরও ১০ জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৩২ জেলা। আর এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত ১৬ জেলা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, রাঙামাটি, লালমনিরহাট, খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড়। এর আগে ১২ই জানুয়ারি ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ এবং রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১। করোনার মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর সংক্রমণ ৫-১০ শতাংশের মধ্যে। আর কম ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর করোনা শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে।

https://dailysangram.com/post/478020