১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ৩:৪৫

ছড়াচ্ছে ওমিক্রন

গতিহীন টিকা কার্যক্রম

দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ চলছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি সুপার ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। গতকাল সোমবারও নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের ৮০ শতাংশই টিকা নেননি। ফলে করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞরা দেশব্যাপী নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। অথচ টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর মানুষের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার আগ্রহ কমে গেছে। গতকাল দেশে মাত্র ৩১ হাজার ৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অথচ বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব, প্রায় ১৮ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন লাখ নমুনা পরীক্ষা হওয়া উচিত।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলোÑ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আক্রান্তদের শনাক্ত করে অন্যদের থেকে পৃথক রাখা উচিত, যাতে অন্যদের মধ্যে ছড়াতে না পারে। সরকার এ জন্য টিকা সনদ ছাড়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া যাবে না, মাস্ক ছাড়া গাড়িতে ওঠা যাবে না, গণপরিবহণের ড্রাইভার, হেলপার, যাত্রী সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু তদারকি না থাকায় তা কার্যকর হচ্ছে না।

বিশ্বজুড়েই করোনা মোকাবিলায় টিকার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। কিন্তু দেশে টিকা কার্যক্রমে গতি বাড়ছে না। বর্তমানে সরকারের কাছে প্রায় ৯ কোটি ডোজ টিকা মজুদ আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকাদান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার কথা বললেও সার্ভার জটিলতাসহ নানাবিধ কারণ ও আইসিটি খাতের দুর্বলতায় টিকা কার্যক্রম গতি পাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইতোমধ্যেই বিশ্বকে ওমিক্রনের ঝুঁকি বিষয়ে সতর্ক করে বলেছে, এতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমাদের মতো দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার দেশে টিকাদান কর্মসূচি শক্তিশালী করার ওপর আরো মনোযোগ দেয়া উচিত। কারণ টিকা হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু কমাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রমণ রোধে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে যতটা সম্ভব জনসমাগম ও ভিড় এড়িয়ে চলা এবং সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করার কথাও বলেছেন। বিশেষ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও তরুণদের।

সূত্র মতে, করোনার সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অবশ্য ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাসে নতুন ধরন ও ওমিক্রন দিনে দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত ও আতঙ্কিত। আমরা চাই না এভাবে করোনা আবার বাড়ুক। তিনি জানান, জিনোম সিকুয়েন্সে দেখা গেছে, রাজধানীতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের ৬৯ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রনের উপস্থিতি রয়েছে। জাহিদ মালেক বলেন, আমরা ঢাকায় কিছু জরিপ করেছি। সেই জরিপে দেখা গেছে, ঢাকাতে করোনা শনাক্তের ৬৯ শতাংশই ওমিক্রন ধরন। সেটা আগে ১৩ শতাংশে ছিল। ১০ দিনের জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপটি শুধু ঢাকায় করা হয়েছে। ওমিক্রন শনাক্তের ঢাকার বাইরেও একই হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, ঢাকার বাইরেও একই হার হবে। করোনা শনাক্তের হার ২০ শতাংশ হওয়ার পেছনে কারণই হচ্ছে এটা। হাসপাতালে ১০ শতাংশ হারে রোগী ভর্তি বাড়ছে। জাহিদ মালেক বলেন, গতবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত ২৯-৩০ শতাংশে উঠতে সময় লেগেছে এক মাস। এবার করোনা যেভাবে বাড়ছে তাতে ৩০ শতাংশ হতে বেশি দিন লাগবে না। এমনকি বেড়েছে দৈনন্দিন সংক্রমণের হারও। কিন্তু দেশের স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। গণপরিবহন, কাঁচাবাজার, মার্কেট-সব স্থানেই স্বাস্থ্যবিধি এক প্রকার অনুপস্থিত। পুরো বিশ্বকে শঙ্কায় ফেলে দেয়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন যেহেতু দেশে শনাক্ত হয়েছে, সেহেতু আমাদের টিকাদান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা উচিত।


অপরদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ছে। শনাক্তের হার ইতোমধ্যে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশে চলে এসেছে। তিনি বলেন, অনেকেই ধারণা করছেন, ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, দেশে এখনও ডেল্টার সংক্রমণ হচ্ছে, তবে ওমিক্রনও ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, সংক্রমণের আশঙ্কার ওপর ভিত্তি করে টেস্ট বাড়ছে। হাসপাতাল প্রস্তুত, সরকারি হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। সচেতনতার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক বিধি মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে দ্রুততার সাথে টিকা নিতে হবে।
এদিকে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়ায় ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গত মাসের শেষ দিকে বুস্টার ডোজও শুরু হয়েছে। কিন্তু সার্ভারসহ নানাবিধ জটিলতা ও আইসিটি খাতের দুর্বলতায় টিকা কার্যক্রম গতি পাচ্ছে না। গত ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৭ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। অথচ ষাটোর্ধ্ব ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বুস্টার ডোজের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তারা এসএমএসও পাচ্ছেন না, টিকাও নিতে পারছেন না।

সূত্র মতে, বিশ্বজুড়েই করোনা মোকাবিলায় টিকার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যে জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় এনেছে। এরফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে কমেছে। ওইসব দেশে দুই ডোজ টিকা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। বুস্টার ডোজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেকে দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশে ভারত-পাকিস্তানেও দুই ডোজের পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। ভারতে ১৫ বছরের ওপর এবং পাকিস্তানে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা কার্যক্রম এখনও শেষ হয়নি। যদিও ১৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ শেষ করার কথা ছিল।

সূত্র জানায়, গত বছর ১ নভেম্বর ঢাকায় ১২ বছরের বেশি বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ সামনের দিকে অনেক বাড়তে শুরু করবে এমন আশঙ্কা থেকে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঘোষণা দেয়া হয়, দেশজুড়ে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি সব শিক্ষার্থীকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এক ডোজ টিকা নেয়া না থাকলে শিক্ষার্থীরা সশরীরে ক্লাসে যেতে পারবে না বলেও জানানো হয়। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরে জানুয়ারিতে সেটি আরো সম্প্রসারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, এখনো টিকা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে প্রায় ৭৬ লাখ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ টিকার আওতায় আসেনি ৬৫ শতাংশের বেশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে এ বিষয়ে দ্রুত টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া শেষ হবে বলেও ওই দিন জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

যদিও গত ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরেরে তথ্য মতে, শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ২ হাজার ২৪৫ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ১৫০ জনকে। অথচ শিক্ষার্থীদের টিকা প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি সহজ করতে শিক্ষার্থীর প্রমাণটুকু নিয়ে গেলেই তারা টিকা পাবে- বারবারই এমনটা বলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীর প্রমাণ হিসেবে স্কুলের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) থাকলেই চলবে। জন্ম সনদ দিয়েও টিকা নিতে পারবে তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এমন নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে। তারপরও আশানুরূপ গতি নেই। কারণ এখনো অনেক স্থানেয় জন্ম সনদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র নিয়েও টিকা কেন্দ্রে গিয়ে মিলছে না টিকা। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেই নিবন্ধন করার পরও এসএমএস না আসায় টিকা নিতে পারছেন না।

রাজধানীর গোপীবাগের শিক্ষার্থী নাজমুন আরা (১৮) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এখনো তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড হয়নি। জন্ম সনদের নম্বর দিয়ে টিকার জন্য নিবন্ধনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজের পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ নিয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের টিকা কেন্দ্রে কয়েকবার গিয়েও বিষয়টির সুরাহা হয়নি বলে জানান নাজমুন।

ইডেন মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মনামী ইসলাম (২১) টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন প্রায় মাসখানেক আগে। টিকা কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) করোনা নির্ধারিত হাসপাতালকে। মনামী বলেন, কলেজ থেকে টিকা নেয়ার বিষয়ে বরাবরই জোর দেয়া হচ্ছে। আমার এসএমএস আসছে না। অনেকের পরামর্শে পরিচয়পত্র, এনআইডি ও নিবন্ধন কার্ডসহ ডিএনসিসি টিকা কেন্দ্রে চারবার গিয়েছি। টিকা কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, এসএমএস না এলে টিকা দেয়া হবে না। ফিরে এসেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসি করোনা হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে, সার্ভার ডাউন থাকায় এসএমএস না এলে কাউকেই টিকা দেয়া হচ্ছে না। তাদের অপেক্ষা কারার জন্য বলা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও মুখপাত্র প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে। বিষয়টি আমাদের কাছে আগে কেউ জানায়নি। খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম গত মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছে। যদিও গতকাল সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেয়ার কথা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৮০ লাখের মতো মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করেও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেনি, এমন মানুষের সংখ্যা আড়াই কোটি প্রায়। ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেক মানুষ এখনো টিকার বাইরে রয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, আমাদের টিকা প্রয়োগের হার খুবই কম। আমরা যদি ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে দুই ডোজের টিকার আওতায় আনতে পারতাম, তখন হয়ত একটু দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারতাম যে, সংক্রমণ ততটা ঝুঁকিতে নেই। কিন্তু আমরা এখনও অনেকটাই পিছিয়ে আছি। তিনি বলেন, এই অবস্থায় আমাদের করণীয় হলো দ্রুত সময়ে শতভাগ টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করা। কারণ, একজন মানুষও টিকার বাইরে থাকলে পরবর্তীতে তিনি ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন। এর বাইরে একমাত্র অবলম্বন হলো স্বাস্থ্যবিধিসহ সামাজিক রীতিগুলো পালন করা। এছাড়াও আক্রান্ত শনাক্তে আমাদের পরীক্ষা হার খুবই কম বলে উল্লেখ করেন তিনি।

https://www.dailyinqilab.com/article/454212