৩০ মার্চ ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৩

ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের

কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত

কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম (৪২) নামের এক ব্যক্তি। গত মঙ্গলবার রাতে মশান এলাকায় কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।
পরিবারের লোকজনের দাবি, রফিকুল ইসলামকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা চার দিন আগে মিরপুর উপজেলার বাধবাজার এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের ভাষ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতে গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল দুর্বৃত্ত। খবর পেয়ে মিরপুর থানা-পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে এক ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে রফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তিনি ২০ বছর ধরে সাওতা এলাকায় থাকতেন। তাঁর চারটি সন্তান আছে। একসময় তিনি চুরি-ডাকাতি করতেন। আট-নয় মাস থেকে সেসব ছেড়ে দিয়ে স্থানীয় চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেনের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু করেন। কুমারখালীর লাহিড়ীপাড়ায় মনির হোসেনের একটি অবৈধ ‘বালুঘাট’ আছে। সেখানে কাজ করতেন রফিকুল।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, শুক্রবার রাতে ওই চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে রফিকুলকে স্থানীয় বাধবাজারে ইউপি সদস্য লালনের কার্যালয়ে ডেকে নেন। তবে সেখানে তিনি ছিলেন না। লালনের সামনে থেকেই রফিককে একটি সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায় ডিবি পরিচয়ধারী তিন-চারজন। পরে কোথাও যোগাযোগ করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার সকালে টেলিভিশনে খবর দেখে তাঁরা থানায় ছুটে গিয়ে রফিককে শনাক্ত করেন।
চেয়ারম্যান মনির হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে প্রথম আলোর ঢাকা কার্যালয় থেকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, তিনি রফিকুলের সঙ্গে কোনো দিনই ফোনে কথা বলেননি। তাঁর সঙ্গে সে রকম কোনো সম্পর্কও নেই। তাই তাঁকে বাজারে ডেকে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, রফিকুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তখনই তাঁকে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য লালন। এ ছাড়া আর কিছু তাঁর জানা নেই।

 

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1127041/