১০ আগস্ট ২০২০, সোমবার, ৯:০৮

৭২.১৬% শয্যাই ফাঁকা কভিড হাসপাতালে

করোনা আক্রান্তের মাত্র ৪ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন

দেশে গতকাল রোববার পর্যন্ত দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন হাজার ৩৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৭০ জন। অর্থাৎ এখনও করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ নয় হাজার ২৩০ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য নির্ধারিত ১৫ হাজার ৭৯৭ শয্যার মধ্যে মাত্র চার হাজার ৩৯৯ রোগী ভর্তি আছেন। অর্থাৎ ৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ৯৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ রোগী বাসাবাড়িতে অবস্থান করছেন। করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যার বিপরীতে ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন। আর ফাঁকা আছে ৭২ দশমিক ১৬ শতাংশ শয্যা। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ওপরের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আক্রান্তদের অধিকাংশই বাসাবাড়িতে অবস্থান করছেন। প্রায় এক লাখ ১০ হাজার রোগীর মধ্যে হাতেগোনা কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও অনেকে বাসাবাড়িতে মৃত্যুবরণ করছেন। তারপরও তারা হাসপাতালে যাচ্ছেন না। এমনটি কেন হচ্ছে- জানার জন্য সমকালের এ প্রতিবেদক বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে বিশেষজ্ঞদের পৃথক মত পাওয়া গেছে। অনেকে বলছেন, করোনা সংক্রমণ মৃদু হওয়ায় অধিকাংশ বাসাবাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এ কারণে হাসপাতালে তাদের ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না। আবার কেউ কেউ বলেছেন, চিকিৎসার ওপর আস্থাহীনতার কারণে অনেকে হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ মনে করে, টেলিমেডিসিন সেবায় সুফল মিলেছে। এ কারণে বাসাবাড়িতে অবস্থান করে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করে অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। এতে করে তাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ছে না।

হাসপাতালে রোগী ভর্তির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে মোট কভিড-শয্যার বিপরীতে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে রোগী আছে। ফাঁকা পড়ে আছে ৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ শয্যা। ময়মনসিংহে ১৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শয্যায় রোগী এবং ফাঁকা ৮৩ দশমিক ৯১ শতাংশ শয্যা। চট্টগ্রামে ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশে রোগী এবং ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ফাঁকা। রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ রোগী ভর্তি, ফাঁকা ৮৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। রংপুরে ২০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ ভর্তি, ফাঁকা ৭৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ শয্যা। খুলনায় ভর্তি ৩৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, ফাঁকা ৬৪ দশমিক ৮২ শতাংশ শয্যা। বরিশালে ভর্তি ৪০ দশমিক ১৭ শতাংশ, ফাঁকা ৫৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সিলেটে ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভর্তি, ফাঁকা ৬৫ দশমিক ১৬ শতাংশ শয্যা।

হাসপাতাল চিত্র :রাজধানী ঢাকার ৭ হাজার ৪২ সাধারণ শয্যা এবং ৩০১টি আইসিইউ শয্যার বিপরীতে মোট রোগী ভর্তি আছেন যথাক্রমে ২ হাজার ১১১ এবং ১৯৭ জন। এ হিসাবে সাধারণ শয্যার বিপরীতে ২৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং আইসিইউ শয্যার বিপরীতে ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশে রোগী ভর্তি আছেন। এ হিসাবে মোট শয্যার ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশে রোগী আছেন।

একই সঙ্গে ঢাকা বিভাগের ১ হাজার ৫৬৭ সাধারণ শয্যা এবং আইসিইউ ৬৪ শয্যার বিপরীতে যথাক্রমে ২৩৯ ও ১৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। অর্থাৎ মোট ১ হাজার ৬৩১ শয্যার বিপরীতে ২৫৬ জন রোগী ভর্তি আছেন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ১৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন। ঢাকা বিভাগের ৮ হাজার ৯৭৪ শয্যার বিপরীতে রোগী আছেন ২ হাজার ৫৬৪ জন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে রোগী ভর্তি আছেন। ফাঁকা ৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ শয্যা।

ময়মনসিংহ বিভাগের ৪৯৭ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৮০ জন। এ হিসাবে ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ শয্যায় রোগী আছেন। ফাঁকা ৮৩ দশমিক ৯১ শতাংশ শয্যা।

চট্টগ্রাম বিভাগের ২ হাজার ৫৫৪ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৮০০ জন। এ হিসাবে চট্টগ্রামে মোট শয্যার বিপরীতে ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশে রোগী ভর্তি আছেন এবং ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ফাঁকা।

রাজশাহীতে ১ হাজার ৩২৭ শয্যায় ১৯১ রোগী ভর্তি আছেন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ রোগী এবং ফাঁকা ৮৫ দশমিক ৬১ শতাংশ শয্যা।

রংপুরে ৭৭৭ শয্যার বিপরীতে ১৫৬ জন ভর্তি আছেন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ২০ দশমিক ০৭ শতাংশ, ফাঁকা ৭৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ শয্যা।

খুলনায় ৭৭৩ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ২৭২ জন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ভর্তি ৩৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, ফাঁকা ৬৪ দশমিক ৮২ শতাংশ শয্যা।

বরিশালে ৪৫৩ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ১৮২ জন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ৪০ দশমিক ১৭ শতাংশ, ফাঁকা ৫৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সিলেটে ৪৪২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ১৫৪ জন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভর্তি, ফাঁকা ৬৫ দশমিক ১৬ শতাংশ শয্যা।

ঢাকার সরকারি হাসপাতালে ৫৩ শতাংশ শয্যা ফাঁকা :রাজধানী ঢাকার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ২১৬ শয্যার মধ্যে ১৩০ জন, পাঁচশ' শয্যার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৮৫ শয্যায় ২৩০ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২ এবং বার্ন ইউনিটের ৯০৭ শয্যায় ৫৯৮ জন, পাঁচশ' শয্যার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ৩৩০ শয্যায় ১৩৫ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১ হাজার ২৭ শয্যায় ২২৩ জন, বিএসএমএমইউতে ৩৮৭ শয্যায় ২০০ জন, বাবুবাজারের ঢাকা মহানগর হাসপাতালে ১০৫ শয্যায় সাতজন, মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ১০ শয্যায় একজন, মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতালে ১২৫ শয্যায় ২৭ জন, কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালের ৩০ শয্যায় একজনও রোগী নেই। ২৫০ শয্যার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ১৫৩ শয্যায় ৮৯ জন, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ৭২ শয্যায় ২৬ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৭৪ শয্যার বিপরীতে ১৪০ জন রোগী ভর্তি আছেন। অর্থাৎ সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৮২১ শয্যার বিপরীতে ১ হাজার ৮০৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ৪৭ দশমিক ২৬ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন, ফাঁকা ৫২ দশমিক ৭৪ শতাংশ শয্যা।

বেসরকারি হাসপাতালের ৮৬ শতাংশ শয্যা ফাঁকা :রাজধানীর হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৪৩০ শয্যায় ১৩৩ জন, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২১০ শয্যায় ৬০ জন, বসুন্ধরা কভিড হাসপাতালে ২০১৩ শয্যায় ৩১ জন, আসগর আলী হাসপাতালে ২০৪ শয্যায় ৭৩ জন, স্কয়ার হাসপাতালে ৯৯ শয্যায় ৬৯ জন, ইবনে সিনায় ৪০ শয্যায় ২০ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ৮১ শয্যায় ৪১ জন, এভার কেয়ারে ৪২ শয্যায় ৩৬ জন এবং ইমপালস হাসপাতালে ৪০০ শয্যায় ৩৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। অর্থাৎ বেসরকারি হাসপাতালের ৩ হাজার ৫১৯ শয্যার বিপরীতে ৫০২ জন রোগী ভর্তি আছেন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন, ফাঁকা ৮৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ শয্যা।

ঢাকার পার্শ্ববর্তী তিন জেলায় ৭৫ শতাংশ শয্যা ফাঁকা :ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ২০ শয্যার হাসপাতালে ৮ জন, নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যার হাসপাতালের ১১০ শয্যায় ২২ জন, কাঁচপুরের সাজেদা ফাউন্ডেশনে ৫৮ শয্যায় ৫০ জন, গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১০ শয্যায় দু'জন রোগী ভর্তি আছেন। অর্থাৎ, ৩২৫ শয্যার বিপরীতে ৮২ রোগী ভর্তি আছেন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন, ফাঁকা ৭৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ শয্যা।

চট্টগ্রামে ৬৯ শতাংশ শয্যা ফাঁকা :চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭৫ শয্যায় ১১০ জন, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইটির ৩২ শয্যায় নয়জন, চট্টগ্রামের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের ১৬০ শয্যায় ৮০ জন, চট্টগ্রামের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ১১০ শয্যায় একজন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে ১০০ শয্যায় একজনও রোগী নেই, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৪ শয্যায় ৩৯ জন, পাহাড়তলী বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ৫০ শয্যায় তিনজন, ভাটিয়ারী ফিল্ড হাসপাতালে ৪০ শয্যায় তিনজন এবং চট্টগ্রামের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের ১০০ শয্যায় ১৫ জন ভর্তি আছেন। ৮২১ শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন ২৬০ জন। এ হিসাবে মোট শয্যার বিপরীতে ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন, ফাঁকা ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ শয্যা।

বিশেষজ্ঞরা যা বললেন :অধিকাংশ মানুষ বাসাবাড়িতে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক সমকালকে বলেন, কয়েকটি কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। সংক্রমণ মৃদু হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়েনি অনেকের। আবার সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ার পরও ভোগান্তির ভয়ে অনেকে হাসপাতালে যেতে আগ্রহী হননি। এর প্রমাণ বাসাবাড়িতে মৃত্যুর ঘটনা। অর্থাৎ, সংক্রমণ গুরুতর হওয়ার পরও ওই সব রোগী হাসপাতালে যাননি। অনেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও আগ্রহী নন। এ কারণে লক্ষণ-উপসর্গ থাকার পরও অনেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশনে বাসায় অবস্থান করেন। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর মানুষের আস্থা ফেরানো জরুরি বলে তিনি মনে করেন। তাহলে মানুষ হাসপাতালে যেতে আগ্রহী হবেন।

তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, মোট আক্রান্তের মধ্যে বড় একটি অংশ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাননি। তার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে সংক্রমণ ততটা মারাত্মক ছিল না। যারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, তারাই কেবল চিকিৎসার জন্য হাসপাতালমুখী হয়েছেন। আবার অনেকের সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ার পরও হাসপাতালে যাননি। তাদের অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। আবার বাসাবাড়িতে টেলিমেডিসিন কিংবা প্রাইভেট চিকিৎসকের চেম্বার থেকে পরামর্শ নিয়েও অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এটি ভালো দিক। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর মানুষের ধারণা খুব একটি ভালো নয়, সেটিও মানতে হবে। এ থেকে উত্তোরণের জন্য সরকারকে পথ বের করতে হবে।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, করোনার সংক্রমণ মারাত্মক হলে এতসংখ্যক মানুষ বাসাবাড়িতে অবস্থান করতে পারতেন না। সংক্রমণ মৃদু ছিল বলেই তারা বাসাবাড়িতে অবস্থান করে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রায় সাড়ে চার হাজার চিকিৎসক টেলিমেডিসিন সেবায় নিয়োজিত আছেন। হটলাইনে ফোন দিয়ে সার্বক্ষণিক তাদের পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ এই সেবা গ্রহণ করেছেন। এতে করে হাসপাতালের ওপর চাপ কম পড়েছে। করোনা আক্রান্তদের অধিকাংশই টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন। এই সেবা গ্রহণ করে তারা সুস্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টেলিমেডিসিন সেবার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট সময়ে খোঁজখবর নিতেন। একই সঙ্গে তারা ওষুধের পরামর্শ এবং করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সুতরাং এই সেবার পর অধিকাংশ মানুষের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি বলে মনে করেন তিনি।

https://samakal.com/bangladesh/article/200833160