১৩ এপ্রিল ২০২০, সোমবার, ৫:০২

করোনা সংক্রমণ কমায় কাজে ফিরছে স্পেন


শনিবার মৃত্যু ঘটেছিল ২৭২ জনের, রোববার তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬৬। তবে এদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে আসে ৩ হাজারের নিচে। সব মিলিয়ে শনাক্ত ও মৃত সর্বোচ্চ সংখ্যার অনেক নিচে নেমে আসা সুসংবাদ হতে পারে স্পেনের জন্য। বিশেষ করে যখন আজ সোমবার থেকে দেশটির স্বাভাবিক কর্মকান্ড খুলে দেবার ঘোষণা দিয়েছে। এদিন ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে। গতকাল রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৭৩৭ (শনিবারে চেয়ে ১৮০ জন কম), ইটালিতে ৪৩১ (আগের দিনের চেয়ে ১৮৮ জন কম), বেলজিয়ামে ২৫৪, তুরস্কে ৯৭, হল্যান্ডে ৯৪, সুইজারল্যান্ডে ৫৩, জার্মানিতে ৩৬, পর্তুগালে ৩৪, পোল্যান্ড ও রাশিয়ায় ২৪, রোসানিয়ায় ১৯, হাঙ্গেরীতে ১৪, ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়ায় ১৩, সুইডেনে ১২, ইউক্রেনে জনের মৃত্যু হয়েছে। ওদিকে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৮৯৭, ইরানে ১১৭, ফিলিপাইনে ৫০, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৬, মেক্সিকোয় ৪০, ডমিনিক রিপাবলিকে ৩৮, ভারতে ৩৭, কানাডা ২১, আলজেরিয়ায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ওদিকে বিশ্বে আরো ৫০ হাজারের বেশি নতুন করোনারোগী শনাক্ত হওয়ায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ছাড়িয়ে হয়েছে ১৮ লাখ ২৭ হাজার ১৪৪। মৃতের সংখ্যা আরো সাড়ে ৩ হাজারের বেশি বেড়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৪১০ এবং সুস্থ হয়ে পরিবারে ফেরা করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ১৬ হাজার ১৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার কমে হওয়ায় স্পেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ শুরুর জন্য নতুন দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করেছে স্পেন। করোনা লকডাউনের বিধিনিষেধ অনুসরণ করে কাজে করে ফিরে আসা লোকদের জন্য শনিবার একটি বিশেষ নির্দেশিকার ঘোষণা দেয় দেশটি।

মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকেই বেশিরভাগ স্প্যানিশ তাদের বাড়িতে থাকলেও কেবল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত সেক্টরগুলি সাধারণভাবে পরিচালনার অনুমতি দেয় স্পেন সরকার। সরকারের নির্দেশনার আওতায় আরো কিছু শিল্প যেমন নির্মাণ ও উৎপাদন পুনরায় চালু হবে, যা হাজার হাজার মানুষকে কাজে ফিরতে সক্ষম করবে।


শনিবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জারি হওয়া নির্দেশাবলী অনুসারে, কাজে ফিরে আসা সংস্থাগুলিকে অবশ্যই যথাযথ প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে এবং কর্মীদের পরস্পর থেকে কমপক্ষে ২ মিটার দূরত্বে অবস্থান করার জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা জানিয়ে বলেছেন, করোনা মহমারী নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে লকডাউন একেবারে শিথীল করে দেয়া খুব তাড়াতাড়ি হতে পারে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফার্নান্দো গ্র্যান্ডে-মার্লাস্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদোর ইল্লার সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘আমরা এখনও লকডাউনে রয়েছি। আমরা কোনও বিধিনিষেধ (কোনও নিষেধাজ্ঞা) শিথিল করা শুরু করিনি।’

করোনাভাইরাস জনিত মৃত্যুহার কমে যাওয়া স্পেনের জন্য আশার সঞ্চার করে। চলতি বছরে এপ্রিলের প্রথমদিকে করোনা সংক্রমণে একদিনে ৯৫০ জনের মৃত্যুর ঘটে দেশটিতে। ইটালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর এই মহামারীতে ৩য় সর্বোচ্চ মৃত্যুর শিকার হয় স্পেন। সূত্র : রয়টার্স।

https://www.dailyinqilab.com/article/282785