১২ এপ্রিল ২০২০, রবিবার, ১:২০

চরম ঝুঁকিতে খাদ্য নিরাপত্তা

দ্রুত লকডাউন প্রত্যাহার বিপজ্জনক; বিমান যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে লাগবে দুই বছর; করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে; অবরুদ্ধ গাজায় করোনার ছোবল

আক্রান্ত : ১৭,৬০,৮৫২, মৃত : ১০৭,৬৪৪

দেশ আক্রান্ত মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্র ৫,২১,৭১৪ ২০,০৬৪
স্পেন ১,৬১,৮৫২ ১৬,৩৫৩
ইতালি ১,৫২,২৭১ ১৯,৪৬৮
ফ্রান্স ১,২৯,৬৫৪ ১৩,৮৩২
জার্মানি ১,২৩,৮৭৮ ২,৭৩৬
চীন ৮১,৯৫৩ ৩,৩৩৯
ব্রিটেন ৭৮,৯৯১ ৯,৮৭৫
ইরান ৭০,০২৯ ৪,৩৫৭

নভেল করোনাভাইরাস স্বাস্থ্য সচেতনতার নতুন তরঙ্গ তুলেছে। করোনা দেখিয়েছেÑ দৃশ্যমান শত্রুর চেয়ে অদৃশ্য শত্রু শক্তিশালী, মিসাইলের চেয়ে ডাক্তার গুরুত্বপূর্ণ এবং সামরিক উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিগত খাতের চেয়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করা বেশি প্রয়োজন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সামনের সারিতে তালিকাভুক্ত বা ভাড়াটে সৈনিক নেই, আছেন চিকিৎসক-নার্সরাই। বহু শতাব্দীর চিন্তা-বিশ্বাস-মূল্যবোধে কুঠারাঘাত করেছে করোনা। নতুন অভিজ্ঞতা উদ্বেগহীনভাবে আনন্দে অপরকে জড়িয়ে ধরা থেকে বিরত রাখছে, মুখোশ খুলে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে নতুন ভাবনা হাজির করেছে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এখন মানব জাতি নতুনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, টেকসই বিশ্বায়নের সন্ধান করছে, মৌলিক পরিবর্তনে মনোযোগী হচ্ছে, চেনাজানা বিশ্বের আমূল পরিবর্তন চাচ্ছে, মহাযুদ্ধের চেয়েও জগৎকে পাল্টে দিচ্ছে, জীবনবোধ ও চাহিদায় স্থায়ী পরিবর্তন আনছে। বুঝতে শিখছে, আর্থিক স্বাধীনতায় জীবনের নিরাপত্তা নেই, শুধু প্রতিযোগিতায় মুক্তি নেই, আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতার সংস্কৃতিতে সুস্থতা নেই। খবর পলিটিকো, সিএনবিসি, বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স, পার্সটুডে, আলজাজিরা ও ওয়ার্ল্ডওমিটারসের।

চরম ঝুঁকিতে খাদ্য নিরাপত্তা : করোনাভাইরাস মহামারীর প্রকোপে বিভিন্ন দেশ লকডাউনের কবলে পড়ে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে এবং দেখা দিয়েছে খাদ্য নিরাপত্তার চরম ঝুঁকি। সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এক প্রতিবেদনে এ ভয়াবহতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এফএও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দেশে ভোক্তারা খাদ্যপণ্যের সরবরাহ সঙ্কটে পড়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ অতিরিক্ত খাবার ক্রয় করে আপদকালের জন্য মজুদ করছেন। সুপারিশপগুলোতে খাদ্যপণ্যের মজুদও রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়বে। কৃষক, কৃষিপণ্য, প্রক্রিয়াকরণ, জাহাজীকরণ, খুচরা বিক্রি সবই জটিলতার জালে আটকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার সরবরাহের তাগিদে খাদ্যপণ্য রফতানি বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে বিভিন্ন দেশ। একই পথে হাঁটছে এশিয়ার শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশগুলোও। ফলে এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে খাদ্যশস্য আমদানিকারক দেশগুলো চরম খাদ্য সঙ্কটে পড়বে।

দ্রুত লকডাউন প্রত্যাহার বিপজ্জনক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন, কারফিউর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা দ্রুত শিথিল করা হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। দ্রুত প্রত্যাহারের ফলে প্রাণঘাতী রূপে আবারো জেঁকে বসতে পারে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ। গত শুক্রবার জেনেভায় করোনাসংক্রান্ত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান ড. টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘লক্ষ করা যাচ্ছে ইউরোপের কয়েকটি দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ আগের চেয়ে কিছুটা শ্লথগতিতে হচ্ছে। তবে বেশ কিছু দেশে তা দ্রুত ছড়াচ্ছে; বিশেষ করে আফ্রিকার গ্রামীণ এলাকায়। ক্লাস্টার ও কমিউনিটি সংক্রমণ দেখছি আফ্রিকার ১৬টিরও বেশি দেশে। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন, কারফিউর মতো কড়াকড়ি ব্যবস্থা শিথিল করলে এই সংক্রমণের ভয়াবহ পুনরুত্থান ঘটতে পারে। করোনার ভয়ঙ্কররূপে ফেরার ব্যাপারে দেশগুলোকে সতর্ক থাকা থউচিত। এমনকি অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হলেও এটি করা দরকার। করোনার বিস্তার ঠেকাতে আরোপিত বাধানিষেধ শিথিল করা বা খুব দ্রুতই তা প্রত্যাহার করা উচিত হবে না। তড়িঘড়ি করে বাধানিষেধ তুলে নেয়া হলে সংক্রমণের মারাত্মক পুনর্জন্ম ঘটবে। যথাযথভা
বে এর ব্যবস্থাপনা না করা গেলে অবস্থা হবে ভয়ঙ্কর।’ এ দিকে ডব্লিউএইচওর ইউরোপিয়ান পরিচালক হ্যানস ক্লাজ বলেন, ‘সব দেশেরই তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দেয়া উচিত। প্রথমটি হলো স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা। প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সরবরাহের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়টি হলো সন্দেহভাজন ও সম্ভাব্য আক্রান্তদের থেকে সুস্থ মানুষদের রক্ষা করা। তাতে করোনার সংক্রমণের গতি ধীর হয়ে যাবে আর একসময় থেকে যাবে। এই লক্ষ্য অর্জনে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। আর তৃতীয়ত সরকার ও কর্তৃপক্ষগুলোকে অবশ্যই যোগাযোগ চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে মানুষ বর্তমান ও ভবিষ্যতে নেয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে সরাসরি জানতে পারে।’

করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে : দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ তিন হাজার ৫০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে তিন লাখ ৮২ হাজার ৪১ জন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ তিন হাজার ১৭৭। মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৭৬১ জনের। তবে মৃতের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪৯। আর আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩০ হাজার ৪৫৫ জন। মৃতের হিসাবে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৫৩। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৬১ হাজার ৮৫২। উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩৪০। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।

লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল ইতালিতে : করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিদ্যমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে ইতালি। গত শুক্রবার টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্টে এ ঘোষণা দেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন কার্যকর থাকবে। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড শুরুর দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন এ অনুমতি দেয়া হলে দেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে যাবতীয় অর্জনগুলোও ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে। এটি হবে আমাদের সবার জন্য পরাজয়। নতুন করে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে মরিয়া ইতালি সরকার। নাগিরকদের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

মদিনার কিছু এলাকায় কঠোর বাধানিষেধ : করোনার সংক্রমণ রোধে সৌদি আরবের পবিত্র মদিনা নগরীর কিছু এলাকায় চলাফেরার বিষয়ে কঠোর বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পূর্ণকালীন (২৪ ঘণ্টা) লকডাউনের নির্দেশনা জারি করেছে মদিনা কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনা অনুযায়ী পবিত্র মদিনা নগরীর অভ্যন্তরীণ আস শুরাইবাত, বনি যুফার, কুরবান, আল জুময়া, আল ইসকান, বানী খুদরা এলাকাগুলো থেকে বের হওয়া বা প্রবেশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি ঘর থেকে বের হওয়াও যাবে না। জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য হিউম্যান রিসোর্স মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা পর্যায়ক্রমে সেখানে টহলে থাকবেন। আর জরুরি ওষুধসহ চিকিৎসাসেবা সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা থাকবেন। এই এলাকাগুলোতে চব্বিশ ঘণ্টা হোম ডেলিভারি সার্ভিস চলমান থাকবে।

বড় সমস্যায় পড়তে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন ধনকুবের এবং মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন, ‘করোনা পরীক্ষায় দক্ষিণ কোরিয়ার মতো একটি একক পদ্ধতি গ্রহণে আগ্রহী নয় মার্কিন সরকার। করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে এখনো পুরোপুরি ভুল অগ্রাধিকার দিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাপকভাবে করোনার পরীক্ষা চালানোর ব্যবস্থা না করায় বড় সমস্যায় পড়বে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়ার মতই একই পদ্ধতি গ্রহণ করাই ছিল আমেরিকার জন্য স্বাভাবিক কিন্তু মার্কিন ফেডারেল সরকারের এ কাজে কোনো আগ্রহই দেখা যায়নি। ৯৫ শতাংশের বেশি সেরে উঠবে করোনা চিকিৎসায় অলৌকিক এমন কিছুর অপেক্ষা করছে মার্কিন সরকার কিংবা ব্যাপকভাবে ব্যবহারযোগ্য টিকার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। আগামী বছরের আগে হয়তো করোনার হাত থেকে আমেরিকা পুরোপুরি নিরাপদ হবে না।’

অবরুদ্ধ গাজায় করোনার ছোবল : ১৪ বছর ধরে ইসরাইলি কঠোর অবরোধের শিকার গাজা উপত্যকার হামাস সরকার সম্ভাব্য করোনা আক্রান্ত রোগীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য এক হাজার ইউনিটের আবাসস্থল তৈরি করেছে। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়াদ আল-বাজম শুক্রবার বলেছেন, উপত্যকার প্রকৌশলী ও কর্মীরা রাত-দিন পরিশ্রম করে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ২৭ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর এক হাজার করোনা ইউনিট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। গাজার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে জনমানবহীন প্রান্তরে এসব ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়ায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গাজা উপত্যকায় করোনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সেখানে প্রবেশকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযাযী, এ পর্যন্ত ২৬৩ ফিলিস্তিনি নাগরিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০০০ ছাড়াল : ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে মোট এক হাজার ৩৫টি নয়া সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের বেড়ে হয়েছে সাত হাজার ৪৪৭। এ পর্যন্ত ৬৪৩ জন সুস্থ হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে ওই তথ্য জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেছেন, রাজ্যের ৯-১০টি জায়গাকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে ‘সম্পূর্ণ লকডাউন’ করছে সরকার। পশ্চিমবঙ্গে করোনায় এ পর্যন্ত ১১৬ জন আক্রান্ত হয়েছে যাদের মধ্যে মারা গেছে পাঁচজন এবং সুস্থ হয়েছে ১৬ জন।

বিমান যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে লাগবে দুই বছর : বৈশ্বিক ভ্রমণবিষয়ক গবেষণা সংস্থা অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ গ্রুপ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ পরবর্তী সময়ে এ স্থবির বিমান যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে টানা দু’বছরের মতো সময় লাগতে পারে। ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে যদি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে স্থবির হয়ে যাওয়া প্লেন চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে ২০২৩ পর্যন্ত সময় লাগবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ফিরে আসার পরিবর্তে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণব্যবস্থা চালু হবে সবার আগে। করোনা নিয়ন্ত্রণ ঘোষণা করার পর প্রথম ৬ থেকে ৯ মাস কোভিড-১৯ উত্তর ভ্রমণগুলো চালু হবে। সে সময় সতর্ক ‘টিপটো ভ্রমণকারী দল’ ভ্রমণে বের হবেন। ৮ থেকে ১৬ মাসের মধ্যে আরেকটি দল ভ্রমণ শুরু করবে। ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে ভ্রমণ করতে শুরু করবেন ব্যবসার কাজে স্বাভাবিকভাবে প্লেনে চলাচল করা যাত্রীরা।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/495178