৪ এপ্রিল ২০২০, শনিবার, ১২:৪৩

সলঙ্গায় গাছের সাথে বেঁধে দুই যুবককে নির্যাতন

জোরপূর্বক বসতবাড়ি দখল নিতে বাঁধা দেয়ায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দুই যুববকে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ৪ জনকে আটক করেছে থানাপুলিশ। শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জ উপজেলাধীন সলঙ্গা থানার কেসিফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আটকরা হলেন, ওই গ্রামেরমৃত হরমুজ আলীর ছেলে দলিউর রহমান দুলাল (৪৫), গোলাম কিবরিয়া (২৭), মৃত হাছেন আলীর ছেলে আব্দুল হালিম (২৫) ও আব্দুল খালেকের ছেলে সমন মাহমুদ (২২)।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের কেসি ফরিদপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক হোসেন আলীর সাথে বসতবাড়ী ও জায়গা-জমি নিয়ে একই গ্রামের প্রভাবশালী দলিউর রহমান দুলাল গংদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আজ সকালে দলিউর রহমান দুলাল গং বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন সাথে নিয়ে হোসেন আলীর বসতবাড়ী জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা চালায়। এ সময় হোসেন আলীর দুই ছেলে সুলতান মাহমুদ ও রুবলে হোসেন বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালী দুলাল। তার নির্দেশে অন্যান্য সহযোগীরা ওই দুই যুববকে মধ্যযুগীয় কায়দায গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে চর-থাপ্পড় মারতে থাকে।এছাড়াও বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে হোসেন আলীর স্ত্রী আমিনা খাতুন (৫০) কে মারপিট এবং বাড়ীঘর ভাংচুর করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী ওই যুবকদের আটকে রাখার পর গ্রামের মাতব্বররা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় এমন নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর দুপুর ২টার দিকে কেসি ফরিদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই ৪ জনকে আটক করে।

সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল হুদা বলেন, এ নির্যাতনের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা, ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করছি। থানায় মামলার দায়ের হয়েছে।।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=220369&cat=1